আরেকটু হলেই হিরোশিমা নাগাসাকির ভাগ্য বরন করতে হত যুক্তরাষ্ট্রকে। যেটা এতদিন ভিত্তিহীন বলেই উড়িয়ে দেয়া হচ্ছিল। এমন কথাই জানাচ্ছে সম্প্রতি ডিক্লাসিফাইড হওয়া একটি ফাইল, যেটা গত শুক্রবার ব্রিটেনের দি গার্ডিয়ানে প্রকাশিত হয়েছে।
২৩ জানুয়ারি, ১৯৬১ সাল। উত্তর ক্যারোলিনার গোল্ডসবোরোর উপর দিয়ে ঘুরে যাচ্ছিলো একটি বি-৫২ বোমারু বিমান।
সাধারণ রুটিন ফ্লাইট। সিমোর জনসন বিমানঘাঁটি থেকে ওড়ার পর আকাশে থাকা অবস্থায় হঠাৎই বিপর্যয়। ভেঙে পড়ে বি-৫২। আর সে সঙ্গে গোল্ডসবোরোর মাটিতে আছড়ে পড়ে বিমানে থাকা দু’-দু’টি হাইড্রোজেন বোমা। ৪০ লক্ষ টন টিএনটি বিস্ফোরকে ভরতি বোমাদু’টির একটি গিয়ে পড়ে ফারোর চাষজমিতে।
দ্বিতীয়টি বিগ ড্যাডি’স রোডে। বিস্ফোরণ ঠেকাতে তৈরি বোমার চারটে নিরোধক ব্যবস্থার তিনটেই তখন আর কাজ করছে না। এ দিকে মাটি ছোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফায়ারিং সিগনাল পৌঁছে গিয়েছে বোমার ভেতরের ডিভাইসে। রক্ষা হয়ে দাঁড়ালো কেবল একটা সুইচ। সে দিন যদি সেটাও কাজ না করত, নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারত গোটা ওয়াশিংটন, বাল্টিমোর, ফিলাডেলফিয়া এমনকী নিউ ইয়র্ক শহরের বেশ কিছুটা অংশটা।
লক্ষ লক্ষ মানুষকে শেষ করে দিত পলকে।
এটা ছিল হিরোশিমায় নিক্ষিপ্ত ফ্যাটম্যানের চেয়ে ২৬০ গুন বেশী শক্তিশালী। কেবল মাত্র একটি ডায়নামো টেকনোলোজি, একটি লো- ভোল্টেজ সুইচ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্র এবং একটি ভয়াবহ বিপর্যয়ের মাঝখানে। বলছিলেন লেখক পার্কার এফ জোনস। স্যান্ডিয়া জাতীয় গবেষণাগারের পরমাণু অস্ত্র নিরাপত্তা দফতরের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন তিনি।
দি গার্ডিয়ান সূত্রমতে, ডকুমেন্টটি পেয়েছেন এরিক শ্লসার যিনি আণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার উপর গবেষণা করছেন ।
View this link
http://www.anandabazar.com/22bdesh1.html
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।