আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাজেট ঘোষণার তিন মাস পর বাস্তবায়ন নীতিমাল

বাজেট ঘোষণার তিন মাস পর বাস্তবায়ন নীতিমালা জারি করেছে অর্থ বিভাগ। নীতিমালা মেনে প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে বাস্তবায়ন পরিকল্পনা ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত চিঠি অর্থ বিভাগ থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

অর্থ বিভাগ মনে করছে, প্রচলিত রীতিতে বাজেট বাস্তবায়নের ফলে প্রথমার্ধে কাজ হয় ধীরগতিতে। শেষার্ধে তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে সরকারি ব্যয়ের গুণগতমান নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। উপরন্তু বছরের শেষে এসে সরকারকে অপরিকল্পিত ঋণের দায়ভার গ্রহণ করতে হয়। এর ফলে নষ্ট হচ্ছে বাজেট শৃঙ্খলা। বাজেট বাস্তবায়নে গতি আনার পাশাপাশি সরকারের ঋণ ও অপচয় কমাতেই নীতিমালা জারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। তবে এ প্রসঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, নীতিমালা দিয়ে বাস্তবায়ন গতি বাড়ানো যাবে না। কারণ বাজেট বাস্তবায়ন নীতিমালার ওপর নির্ভর করে না। এটা বাস্তব পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। এদিকে অর্থ বিভাগ থেকে সচিবদের কাছে পাঠানো এ সংক্রান্ত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারের আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্যহীনতার একটি প্রধান কারণ রাজস্ব আহরণ ও সরকারি অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সুষ্ঠু পরিকল্পনা না থাকা। বাজেট সুষ্ঠুভাবে সময় মতো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগাম পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করা গেলে অপরিকল্পিত সরকারি ঋণ এড়ানোর পাশাপাশি ঋণজনিত ব্যয় হ্রাস করা সম্ভব। এ লক্ষ্যেই নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের বাজেট বাস্তবায়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা জরুরি বলে উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।

নীতিমালায় যা আছে : নীতিমালায় প্রতিটি অর্থবছরকে চারটি প্রান্তিকে ভাগ করে (তিন মাস) প্রতিটি প্রান্তিকে সমানভাবে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে বাজেট বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক থেকেই প্রকল্পের মেরামত ও সংরক্ষণ কাজ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে যেন বিভিন্ন প্রান্তিকে মেরামত ও সংরক্ষণ কাজের বিল মোটামুটি ভারসাম্যপূর্ণভাবে পরিশোধ করা যায়। নীতিমালায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য ব্যয় ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সমানুপাতিক হারে নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। তবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনের ক্ষেত্রে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি এক্ষেত্রে বিবেচনায় রাখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া উৎসব ভাতা ও শ্রান্তিক বিনোদন ভাতা বাবদ প্রয়োজনীয় অর্থ সংশ্লেষও ত্রৈমাসিক ব্যয়ে দেখাতে বলা হয়েছে। প্রতি মাসের ৩য় সপ্তাহের মধ্যে আগের মাসের সব ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করতে বলা হয়েছে নীতিমালায়। সে অনুযায়ী প্রতি ত্রৈমাসিকে প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ দেখাতে হবে। সরবরাহ ও সেবাখাতে অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য আইটেমের ক্ষেত্রে বিগত বছরগুলোর ব্যয়ের চিত্র বিবেচনায় নিয়ে ত্রৈমাসিক বরাদ্দ নির্ধারণ করতে হবে। এ ছাড়া সম্পদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে অনুন্নয়ন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সংগৃহীতব্য পণ্য ও সেবার জন্য সংগ্রহ পরিকল্পনা প্রস্তুত করতে হবে। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রত্যেক প্রান্তিকে যে পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করার প্রয়োজন পড়বে, ব্যয় পরিকল্পনায় তার যথাযথ প্রতিফলন থাকতে হবে। নীতিমালা অনুযায়ী অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ কর্তৃক বৈদেশিক অনুদান ও ঋণসংগ্রহ পরিকল্পনা প্রণয়ন করে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে অর্থ বিভাগে পাঠাতে হবে। সাহায্য মঞ্জুরি ও অনুদানের অর্থ সাধারণত অর্থবছরের চার প্রান্তিকে ৪টি সমান কিস্তিতে অবমুক্ত করা হয় বলে সেভাবেই অর্থ ছাড়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.