আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এইচএসসি পরীক্ষা প্রস্তুতি

[পূর্ব প্রকাশের পর]

ঘ. বাংলাদেশের গ্রাম উন্নয়নে এই সংস্থার ভূমিকা উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করা হলো-

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংস্থার কারিগরি সহযোগিতা কর্মসূচির বেশির ভাগই চালানো হয় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির অর্থনৈতিক সহযোগিতায়। এ কারিগরি সাহায্যের আওতায় যে সব ক্ষেত্রে সর্বাধিক জোর দেওয়া হয়, তা হলো- গ্রাম-উন্নয়ন, বৃত্তিমূলক শিক্ষা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও পরিবার কল্যাণ ব্যবস্থাপনা বিকাশ, নারীর দক্ষতা উন্নয়ন এবং জনশক্তি ও জনসম্পদের বিকাশ সাধন।

বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদস্যপদ লাভের পর প্রথম দশকে কারিগরি সহযোগিতা কর্মসূচিতে বাংলাদেশের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির কর্মসূচি এবং গ্রাম-উন্নয়ন খাতে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়। যেমন-

১. গ্রামীণ পূর্ত কর্মসূচি প্রণয়ন, তার মূল্যায়ন ও তাকে জোরদার করা।

২. কুটির শিল্পের বিকাশ।

৩. যৌথ হাঁস-মুরগির খামারে গ্রামীণ যুব সমাজের অংশগ্রহণ বাড়ানো। ৪. গ্রামবাসীর উপকারে আসে এমন কিছু গ্রামীণ কর্মোদ্যোগ প্রশিক্ষণ দান।

৫. গ্রামাঞ্চলে খামার-বহিভর্ূত কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র বাড়ানো। বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার কারিগরি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রথম দশকে যা যা করা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনকে কারিগরি সহায়তা প্রদান।

উদ্দীপক ৩ : '২০০০ সাল নাগাদ সবার জন্য সুস্বাস্থ্য' জাতিসংঘ ঘোষিত এ ঘোষণার সঙ্গে একাগ্রতা প্রকাশ করে বাংলাদেশ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল।

অনেক ক্ষেত্রে সফলও হয়েছে। শিশু ও মাতৃমৃত্যু রোধে বাংলাদেশ অনেকাংশে সফল হয়েছে। বাংলাদেশের এ ধরনের কর্মসূচিতে সর্বাত্দক সহায়তা দিচ্ছে জাতিসংঘ।

ক. ILO এর পূর্ণরূপ লেখ। ১

খ. জাতিসংঘের প্রশাসনিক বিভাগ কোনটি? ব্যাখ্যা কর।

গ. জাতিসংঘের কোন সংস্থাটি উদ্দীপকে বর্ণিত কাজে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে? আরও কোন ক্ষেত্রে এটি দেশকে সহায়তা দিচ্ছে? বর্ণনা কর। ৩

ঘ. উক্ত সংস্থাটির উদ্দেশ্য এবং কাজের ধরন সম্পর্কে লিখ। ৪

প্রশ্নোত্তর

উত্তর ক : ILO'র পূর্ণরূপ হলো- International Labour Organisation.

উত্তর খ : জাতিসংঘের প্রশাসনিক বিভাগ হলো সেক্রেটারিয়েট জাতিসংঘের বিভিন্ন বিভাগ, এজেন্সি ও বিশেষ সংস্থাগুলোর মধ্যে সার্বক্ষণিক সংযোগ রক্ষার দায়িত্ব সেক্রেটারিয়েটের ওপর ন্যস্ত। জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল যিনি নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশক্রমে সাধারণ পরিষদের গোপন ভোটে নির্বাচিত হন। তার নেতৃত্বে সেক্রেটারিয়েট গঠিত হয়।

তিনি কার্যনির্বাহী প্রধান হিসেবে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেন।

উত্তর গ: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) উদ্দীপকে বর্ণিত কাজে বাংলাদেশকে সহায়তা দিচ্ছে। ১৯৭৭ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা করে ২০০০ সালের মধ্যে সবার জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে। এ ঘোষণার সঙ্গে বাংলাদেশ একাত্দতা ঘোষণা করে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল। বাংলাদেশে এ সংস্থার সহায়তা দানের ক্ষেত্রেগুলো হলো_

১. সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ ও নিমর্ূল।

২. চিকিৎসা শিক্ষার উন্নয়ন। ৩. চিকিৎসার সুযোগ বৃদ্ধি। ৪. মা ও শিশুর স্বাস্থ্য উন্নয়ন। ৫. স্বাস্থ্য সংরক্ষণ সেবা সম্প্রসারণ। ৬. স্থিতিশীল স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়নে সহায়তা দান।

৭. স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে গবেষণা পরিচালনায় আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দান।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গ্লোবাল স্ট্রাটেজি গ্রহণের মাধ্যমে ১৯৭৭ সালে ঘোষিত ২০০০ সালের মধ্যে সবার জন্য সুস্বাস্থ্য অর্জনের চেষ্টা চালায় এর অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো হলো:_

১. স্বাস্থ্যবিষয়ক শিক্ষা দান। ২. খাদ্য সরবরাহ ও পুষ্টি ব্যবস্থা। ৩. পানি ও নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিরাপদ রাখা। ৪. মা ও শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষা।

৫. পরিবার-পরিকল্পনা। ৬. সংক্রামক ব্যাধি থেকে মুক্তি। ৭. জরুরি ওষুধ হাতের কাছে রাখা।

উত্তর ঘ : উদ্দীপকে বর্ণিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশকে সর্বাত্দক সহায়তা দিচ্ছে। এ সংস্থার সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যগুলো হলো_

১. রোগ প্রতিরোধ ও সংক্রামক ব্যাধি নিমর্ূলে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহায়তা করা।

২. স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য সরবরাহ।

৩. স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়নে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহায়তা করা।

৪. স্বাস্থ্যবিষয়ক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যক্রম সমূহ :

১. বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য খাতে নির্দেশনা প্রদান।

২. জাতীয় স্বাস্থ্য কর্মসূচি পরিকল্পনা ব্যবস্থাপনা ও মূল্যায়ণ প্রক্রিয়াকে শক্তিশালীকরণ।

৩. বিশ্বের জনগণকে স্বাস্থ্য সম্পর্কে পরামর্শ দানের জন্য বিভিন্ন দেশে বিশেষজ্ঞ প্রেরণ, যথাযথ স্বাস্থ্য প্রযুক্তি তথ্য ও মান স্থানান্তর।

৪. স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিজ্ঞানবিষয়ক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মানোন্নয়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

৫. মহামারী প্রতিরোধকল্পে অনুন্নত রাষ্ট্রসহ অন্যান্য রাষ্ট্রকে উৎসাহিত করা।

৬. ওষুধ প্রস্তুত ও উৎপাদিত ওষুধের মান বজায় রাখা।

৭. স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টির জন্য তথ্যসংগ্রহ।

স্বাস্থ্য সম্মেলন আলোচনা চক্র অনুষ্ঠান স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রকাশনা প্রভৃতি কার্যক্রম সম্পাদন।

জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থাগুলোর মধ্যে অন্যতম সফল সংস্থা হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য রক্ষা এবং প্রসারের সঙ্গে সম্পর্কিত সব কার্যক্রমের সমন্বয় সাধনের দায়িত্ব পালন করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.