আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমরা সবার কাছেই যেন জিম্মি

আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি

- বাংলাদেশের ঔষধ কম্পানির কাছে লুকিয়ে জিম্মি। রপ্তানি করার জন্য ভালো ঔষধ তৈরী করে, আর আমাদের খাওয়ায় ময়দার বড়ি। কিছু করতে গেলে সবাই মিলে বন্ধ করে দিবে প্রোডাকশন, তাহলে ঐ ময়দার বড়িও পাব না। ডাক্তার প্রজাতিকে বড় অঙ্কের প্রোমোশন দিয়ে লিখিয়ে নিচ্ছে নিজের কম্পানির ঔষধ। - ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারেরা (ISP) ইচ্ছেমত চার্জ বসাচ্ছে ইন্টারনেট ব্যাবহারের জন্য।

ব্যাবহার করলে কর, নাইলে ভাগ। বাংলাদেশের মত ঘনবসতিপূর্ন দেশে অনেক মানুষের জন্য অল্প খরচেই দেশ ছেয়ে ফেলা যায় নেটওয়ার্কে, যেটা কম ঘনবসতিপুর্ন দেশে হয় না। সেখানে মাঝে মাঝে ৫-১০ ফ্যামিলির জন্যই নতুন টাওয়ার দরকার হয়। তারপরে সরকার তো ব্যান্ডউইথের দাম কমই রাখছে, তাহলে এই ব্লাকমেইলিং কেন??? সরকার তাদের দিচ্ছে স্পীড হিসেবে, আর আমরা পাচ্ছি ভলিউম হিসেবে, তাও কয়েক গুন দাম দিয়ে। - স্কুল কলেজের ছাত্ররা জিম্মি হয়ে যাচ্ছে তাদের শিক্ষকের প্রাইভেটের কাছে।

ক্লাশে ঢুকে বই খুলে রিডিং পড়া শুরু করে, কোন কিছু না বুঝলে আবার বুঝতে চাইলে ক্লাশে এমন ডায়লগ দেয়া হয় যে, ‘আমি ক্লাশে এত কষ্ট করতে পারব না, প্রাইভেটে এসো বুঝিয়ে দিব’। আর প্রাইভেট না পড়লে তার প্রতি বিদঘুটে আচরন প্রদর্শন করা হয়। ঐ খাটাশের বাচ্চা খাটাশ, তোরে সরকার বেতন দেয় কি ক্লাসে অ্যাটেন্ডেন্স দেবার জন্য??? - ভার্সিটির ছাত্ররা ২ ভাবে জিম্মি হচ্ছে। হলের সীট পেতে গিয়ে বাধ্যতামুলক রাজনীতিতে জড়াও। নয়তো সীট পাবা না, উপরন্তু মাইর ও খেতে পারো।

দ্বিতিয়ত, ভার্সিটির স্যারদের কাছে। কথামত কাজ কর নইলে প্রশ্ন কঠিন করব নতুবা মার্ক কেটে দিব। কারো বাপ কিছু করতে পারবে না। - সব ধরনের প্রশ্নপত্র ফাস হয়ে যাচ্ছে ইদানিং। মেধাবীরা জিম্মি হয়ে যাচ্ছে টাকাওয়ালাদের কাছে।

ভর্তি পরীক্ষা থেকে চাকুরীর পরীক্ষার প্রশ্ন সব ফাস হয়ে যাচ্ছে। - ৫৫% কোঠার কাছে ধরাশয়ী তো আছেই। আমার গ্রামের একটা প্রাইমারী স্কুল আছে। ওখানে এক স্যার দুই ধরনের কোঠায় চাকুরীখানা পেয়েছেন (পোষ্য কোঠা + মুক্তিযোদ্ধা কোঠা), তিনি ক্লাশে শেখান ‘সকল বিজোড় সংখ্যাই মৌলিক সংখ্যা’, ‘আমি স্কুলে যাই- I goes to school’ । কেমেন কি? - সরকারী চাকুরীজীবীদের বা অফিসের কাছে দেশের গুষ্টি শুদ্ধ জিম্মি।

ভিখারির মত হাত পেতে বলে টাকা দে, নইলে তোর কাজ করব না। তোর কাজ না করলে কার কি? আমার তো চাকরী যাবে না। - বাংলাদেশের পোষাক মালিকদের কাছে তো পোষাক শ্রমিকেরা জিম্মি আছে আগে থেকেই। তোমরা মামা অত টাকা ইনকাম করবা, আর শ্রমিকদের দিবা উচ্ছিষ্ট অংশ, যেটা দিয়ে একার পেট চলে না।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.