আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিদেশী ওষুধ কোম্পানির পরিবর্তে স্বদেশী ভালো ওষুধ কোম্পানির ওষুধই বিনামূল্যে বিতরণ হচ্ছেনা কেন ?



গতকাল জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালিত হয়েছে। গতকাল ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে ১টা নীল ক্যাপসুল এবং ১ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুকে ১টি লাল ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সারা দেশে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখেরও অধিক শিশুকে এ কার্যক্রমের আওতায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে বলে প্রচারণা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি ২ কোটি ৫০ লাখ শিশুকে বিভিন্ন ইউনিটের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা ছিল। হঠাৎ ৩ জানুয়ারি জনস¦াস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক চিঠি দিয়ে এ কর্মসূচি স্থগিত রাখার কথা বলে।

ভারতের অলিভ হেলথ কেয়ার নামক একটি অনভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১০ কোটি ক্যাপসুল ক্রয় করা হয়। অভিযোগ উঠে, মেসার্স অলিভ হেলথ কেয়ার অনভিজ্ঞ এবং ভিটামিনজাতীয় ক্যাপসুল সরবরাহের বিষয়ে বিশ্বস¦াস্থ্য সংস্থার তালিকায়ও এর নাম নেই। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানটি ইতিপূর্বে অন্যকোনো দেশে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল সরবরাহও করেনি। এমনকি নিজ দেশ ভারতেও নয়। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের ঘটনা এবারই প্রথম ঘটেনি।

গত দশ বছর ধরে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল সরবরাহের নামে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছে। শতভাগ ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বিদেশি কোন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সরবরাহের কথা বলে সিন্ডিকেটটি ৪০ ভাগ সরবরাহ করে বিদেশ থেকে। বাকি ৬০ ভাগ দেশীয় নিম্নমানের ও ভেজাল ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল সরবরাহ করে আসছে। এভাবে সিন্ডিকেটটি কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রমের ব্যাপারে স¦াস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) কিছু কর্মকর্তা ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সমন¦য়ে গঠিত সিন্ডিকেট।

শক্তিশালী এই সিন্ডিকেটটি গত ১০ বছর ধরে একচেটিয়াভাবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল সরবরাহ করে আসছে। সিন্ডিকেটের কোটি কোটি টাকার ভাগ বড় দুই রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতার পকেটেও যায়। এছাড়া দরপত্র প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত কমিটিসমূহের কিছু কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কয়েকজন কর্মকর্তার কাছে টাকার ভাগ একইভাবে পৌঁছে যায়। এ বছর ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল সরবরাহের কাজটি ওই সিন্ডিকেটের হাতছাড়া হয়ে যায়। ফাঁস হয়ে যায় তাদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের পুকুরচুরির ঘটনা।

মূলত দরপত্রের মাধ্যমে যে বিদেশি কোম্পানি ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল সরবরাহের কাজ পায়, তাদের এ দেশীয় এজেন্টরাই সিন্ডিকেটের সদস্য। বিভিন্ন বছর প্রয়োজনীয় ভিটামিন ক্যাপসুলের ৪০ থেকে ৫০ লাখ ক্যাপসুল ঠিকই বিদেশ থেকে আনা হয়। বাকি ক্যাপসুল এ দেশীয় নিম্নমানের ও ভেজাল ক্যাপসুল বিদেশি কোম্পানির কৌটা ও লেভেল লাগিয়ে সরবরাহ করে থাকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিনামূল্যে বিদেশী ওষুধ খাওয়ার পেছনে মূলত কাজ করে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। এ ষড়যন্ত্র এদেশের নতুন প্রজন্মদের পঙ্গু করে ফেলার এবং চূড়ান্তভাবে মেরে ফেলার।

আরো উল্লেখ্য, ওষুধ উৎপাদনে বাংলাদেশই সমৃদ্ধ। ২০১৫ সালে বাংলাদেশের ওষুধ রফতানি হবে ৫ বিলিয়ন ডলার। সেখানে বিদেশ থেকে আমদানি করে এনে এদেশের শিশুদের খাওয়ানোর পেছনে হাক্বীক্বতটা কী? এটা হলো বিদেশীদের মুসলিম জনসংখ্যা বিরোধী ষড়যন্ত্র আর তাদের এদেশী এজেন্টদের লুটপাটের পাঁয়তারা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।