আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গ্রীক মিথলজি ২০ (আফ্রোদিতির গল্পকথা- লেমনসের নারী এবং অন্যান্য)

দেব-দেবীদের কাছ থেকে মানবেরা যেমন অনেক সাহায্য পেয়েছেন, আবার ঠিক তেমনি কোনো কোনো কারণে তাদের ক্রোধেরও শিকার হয়েছেন। দেবী আফ্রোদিতি প্রেমের আর ভালোবাসার দেবী হলেও, সবসময় মানুষকে ভালোবাসা বিলোতে পারেন নি। কখনো কখনো কেউ কেউ তার প্রতিহিংসা বা ক্রোধের শিকার হয়েছেন। যেমন হয়েছিলেন সাইপ্রাস দ্বীপের প্রোপেওটাসের সুন্দরী কন্যারা। তারা দেবী আফ্রোদিতির পুজা – অর্চনা বন্ধ করে দিলে দেবী তাদেরকে চকমকি পাথরে পরিণত করেছিলেন।

কিন্তু একই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত লেমনস দ্বীপের নারীদের দিয়েছিলেন অন্যরকম এক অদ্ভুত শাস্তি।
এজিয়ান সাগরের উত্তর দিকে লেমনস নামে একটি দ্বীপ অবস্থিত। এই দ্বীপের প্রধান শহর হচ্ছে মাইরিনা। দ্বীপটি বর্তমানে গ্রীসের অষ্টম বৃহৎ দ্বীপ। গ্রীক দেবতা হেফাস্টাসের জন্মের পর যখন হেরা বা জিউস তাকে স্বর্গ থেকে ছুড়ে ফেলেন, তখন হেফাস্টাস এই দ্বীপেই পতিত হয়েছিলেন।

সেই থেকেই এই দ্বীপটি ছিলো হেফাস্টাসের প্রিয় দ্বীপ, পবিত্র দ্বীপ।
গ্রীসের লেমনস দ্বীপের বর্তমান অবস্থা
যে সময়ের গল্প বলা হচ্ছে, সেই সময়ে দেবতা ডায়োনিসাসের ছেলে থোয়াস ছিলেন এই দ্বীপের রাজা। জ্যাসন তখনো আর্গোনটদের নিয়ে কলচিস অভিমুখে যাত্রা শুরু করেননি। রাজা থোয়াসের কন্যার নাম ছিলো হিপসিপাইলে। যেমন সুন্দরী, তেমনি বুদ্ধিমতী।

কিন্তু বুদ্ধিমতী হলে কী হবে! ভুল যা করার, তা করেই ফেললেন! কি কারণে জানা যায় না, হঠাৎ করেই লেমনস দ্বীপের নারীরা দেবী আফ্রোদিতির পুজা করা বন্ধ করে দিলেন। আফ্রোদিতি ব্যাপারটিকে ভালো চোখে দেখলেন না।
লেমনসের সব নারীদের শরীরের গন্ধ ক্রমশ পরিবর্তন হতে লাগলো, সুমিষ্ট থেকে হতে লাগলো দুর্গন্ধে। ধীরে ধীরে সে গন্ধ হয়ে উঠলো তীব্র অসহনীয়। অবস্থা এমন পর্যায়ে উপনীত হলো যে, স্বামীরা পর্যন্ত দুর্গন্ধের জন্য স্ত্রীদের পাশে শু’তে পাচ্ছিলেন না।

এই সমস্ত কিছুর পিছনে ছিলেন অবশ্যই আফ্রোদিতি। কিন্তু কতদিন এভাবে স্ত্রী বঞ্চিত হয়ে থাকা যায়? লেমনসের সব পুরুষেরা এক কাজ করলেন। তাদের দাসী হিসেবে থাকা থ্রাসিয়ান নারীদের তারা বিয়ে করলেন, তাদের সাথে থাকতে শুরু করলেন। লেমনসের নারীরা তাদের এই অপমান সহ্য করতে পারলেন না।
১৯২৫ সালে রাসেল ফ্লিন্টের আঁকা- লেমনসের নারীরা
রাজা থোয়াসের কন্যা হিপসিপাইলের নেতৃত্বে সব নারীরা (অবশ্যই তাদের স্বামীদের থ্রাসিয়ান স্ত্রী ছাড়া) শপথ গ্রহন করলেন, লেমনসের কোনো পুরুষকে তারা জীবিত রাখবেন না।

একরাতে সবাই একযোগে তাদের স্বামীদের এবং পিতাদের হত্যা করতে শুরু করলেন। হিপসিপাইলে তার পিতাকে হত্যা করতে পারলেন না। দয়াপরবশ হয়ে একটি নৌকায় করে গোপনে এজিয়ান সাগরে ভাসিয়ে দিলেন। এভাবেই লেমনস হয়ে পড়লো পুরুষশুণ্য নারীতে পূর্ণ একটি দ্বীপ, লেমনসের নারীরা প্রথমে স্বামীদের দ্বারা পরিত্যাক্তা হলেন আর এখন তারা নিজেরাই স্বামীদের হত্যা করে ঘাতকে পরিণত হলেন। এভাবেই দেবী আফ্রোদিতি লেমনসের নারীদের তাকে ভুলে যাওয়ার জন্য শাস্তি দিলেন।


শিল্পীর তুলিতে হিপসিপাইলে রাজা থোয়াসকে এজিয়ান সাগরে ভাসিয়ে দিচ্ছেন
লেমনিয়ান নারীদের শেষ পরিণতির কথা না বললে এই কাহিনী অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। এই ঘটনার প্রায় এক বছর পর জ্যাসন ও তার সহযাত্রী আর্গোনটরা কলচিস অভিযানের সময় লেমনস দ্বীপে তাদের আর্গো জাহাজ ভিড়ান। দূর থেকেই লেমনসের নারীরা সেটা দেখতে পেয়ে বর্শা, তলোয়ার নিয়ে বাধা দিতে তীরে আসেন। তারা ভেবেছিলেন থ্রাসিয়ানরা প্রতিশোধ নিতে এসেছে। যখন দেখলেন, তারা বিখ্যাত সব বীরদের সমন্বয়ে এক অভিযাত্রীদের দল, হিপসিপাইলে তখন বললেন, “তাদেরকে আমরা জাহাজে খাবার এবং মদ পাঠাই, তাদেরকে আমরা সম্মান জানাই, যতদিন তীরে থাকতে চায়, আমরা থাকতে দিই।

কিন্তু কোনো অবস্থাতেই আমাদের শহরে প্রবেশ করতে দিবো না, আমাদের সম্পর্কে জানতে দিবো না”।
শিল্পীর তুলিতে রানী হিপসিপাইলে (পনেরশ শতকের মিনিয়েচার)
হিপসিপাইলের বৃদ্ধা সেবিকা পোলিক্সো কথা বলে উঠলেন, “রানী হিপসিপাইলে যা বলেছেন সঠিক বলেছেন। কিন্তু ভেবে দেখুন আজ যদি অভিযাত্রীদের বদলে থ্রাসিয়ানরা আসতো, অথবা অন্য কোনো যুদ্ধবাজ জাতি? আমাদের মধ্যে অনেকই বৃদ্ধা হয়েছেন, তারা একসময় মারা যাবেন। কিন্তু যারা আজ যুবতী আছে, তারা কি পারবে সেই রকম কোনো পরিস্থিতিতে লেমনসকে বাঁচাতে? আমাদের যদি বাচ্চা না হয়, তাহলে একদিন এই লেমনস জনশূন্য হয়ে পড়বে এবং আমাদের কথা কেউ জানবে না। এই জাহাজের অভিযাত্রীরা সবাই বীর, আমাদের সন্তানেরা যদি তাদের ঔরসে হয়, তাহলে তারাও বীর হবে।

তাই আমি রানী হিপসিপাইলেকে বলছি- তাদেরকে শহরে আসতে দিন”।
হিপসিপাইলে খুব মনোযোগ সহকারে পোলিক্সোর কথা শুনলেন, বাস্তবতা অনুধাবন করে তিনি আর্গোনটদের শহরে প্রবেশ করার অনুমতি দিলেন। দীর্ঘদিন পর লেমনিয়ান নারীরা আবার পুরুষ সংসর্গ পেলেন। অভিযাত্রীরা কয়েক মাস থাকলেন লেমনসে। লেমনসের প্রায় প্রতিটি নারী অভিযাত্রীদের দ্বারা অন্তঃসত্ত্বা হলেন।

জ্যাসনের ঔরসে হিপসিপাইলে জন্ম দিলেন যমজ সন্তান- ইউনিয়াস এবং নেব্রোফোনাস। এরপর অভিযাত্রীরা কলচিসের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলেন, জ্যাসনও হিপসিপাইলের কথা ভুলে গেলেন। বেশকিছুদিন পরে লেমনসের নারীরা হিপসিপাইলের বিশ্বাসঘাতকতার কথা জানতে পারেন। রাজা থোয়াসকে বাঁচিয়ে রাখার অপরাধে তারা হিপসিপাইলেকে তার সন্তানসহ লেমনস দ্বীপ থেকে বের করে দেন। পথিমধ্যে তাদেরকে দস্যুরা আক্রমন করে এবং নিমিয়ার রাজা লাইকুরগাসের কাছে বিক্রি করে এবং লাইকুরগাস তখন হিপসিপাইলেকে তার সন্তান আরকেমোরাস-কে দেখভাল করার দায়িত্ব দেয়।

হিপসিপাইলের সন্তান ইউনিয়াস পরবর্তীতে লেমনস দ্বীপ দখল করেন এবং এর রাজা হোন।
এইতো গেলো লেমনসের নারীদের কাহিনী। এইবার শুনবো হালিয়ার ছয় পুত্র সন্তানের কাহিনী। হালিয়া হচ্ছেন একজন নিম্ফ, এক দ্বীপে বাস করতেন। তার একমাত্র কন্যার নাম ছিলো রোডস, তার নামানুসারেই হালিয়া যে দ্বীপে থাকতেন, সেই দ্বীপটার নামকরণ করা হয় রোডস।

সে যাই হোক, সমুদ্র দেব পসাইডনের ঔরসে হালিয়ার ছয় পুত্র সন্তান জন্মগ্রহন করেছিলো। দেবী আফ্রোদিতি তখন মাত্র জন্মগ্রহন করেছিলেন। জন্মগ্রহনের পর ভাসতে ভাসতে সাইথেরা থেকে সাইপ্রাস যাওয়ার পথে তিনি এই রোডস দ্বীপে এসেছিলেন। কিন্তু হালিয়ার যুবক, আত্মম্ভরী ছয় সন্তান আফ্রোদিতিকে দ্বীপে থাকতে দিলেন না। ক্ষুদ্ধ, অপমানিত আফ্রোদিতি সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে মানসিক ভারসাম্যহীন করে দিলেন।

এই অবস্থায় ছয় পুত্র তাদের মা হালিয়ার শ্লীলতাহানি করে। পসাইডন এই খবর শুনে ক্রোধে তাদেরকে দ্বীপের নিচে সমুদ্রের গভীরে পুতে ফেলেন আর হালিয়া লজ্জায় সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এর আগে আমরা পিগম্যালিয়ন এবং গ্যালাতিয়ার কথা জেনেছিলাম। তাদের কন্যা সন্তানের নাম ছিলো মেথারমে। মেথারমে বিয়ে করেছিলেন সাইপ্রাসের রাজা সিনাইরাসকে।

তাদের সংসারে তিন কন্যার জন্ম হয়েছিলো- ওরসেডাইস, ব্রায়েসিয়া এবং লাওগোরে। কেনো, কি কারণে আফ্রোদিতি এই তিন বোনের উপর ক্ষুদ্ধ হলেন, সেটি কেউ বলতে পারলেন না। কিন্তু জানা গেলো, কি শাস্তি দিয়েছিলেন। আফ্রোদিতির অভিশাপে এই তিন বোন গণিকাগিরিকে পেশা হিসেবে নিলেন। এমনকি বিদেশীদের সাথে বসবাস করার জন্য তারা শেষ পর্যন্ত মিশরে চলে যান, এবং সেখানেই তাদের বিড়ম্বিত জীবনের চির অবসান ঘটে।

রাজা সিনাইরাসের পরিবারের উপরেই মনে হয় আফ্রোদিতির ক্রুদ্ধভাব বেশি ছিলো! রাজা সিনাইরাসের আরেক স্ত্রী সেনস্রেইসের গর্ভে জন্ম নিয়েছিলেন স্মার্না। স্মার্না এতো বেশি সুন্দরী ছিলেন যে, রানী সেনস্রেইস বললেন, স্মার্না আফ্রোদিতির চেয়েও বেশি সুন্দরী। স্বাভাবিকভাবেই আফ্রোদিতি খুশি হলেন না, কিন্তু সেনস্রেইসকে শাস্তি না দিয়ে, শাস্তি দিলেন নিরপরাধ স্মার্নাকে। স্মার্না তার পিতা সিনাইরাসের প্রেমে পড়েন এবং নিষিদ্ধ সম্পর্কে জড়িয়ে যান।
যারা অন্যের প্রবল ভালোবাসাকে অবজ্ঞা করেছেন, আফ্রোদিতি তাদেরও শাস্তি দিয়েছেন।

যেমন- আনাক্সারাটে। আনাক্সারাটে ছিলেন সাইপ্রাসের এক অভিজাত সুন্দরী কুমারী, রাজা সালামিসের বংশধর। আর ইপহিস ছিলেন ভদ্র, সুশ্রী এক রাখাল বালক। ইপহিস খুব ভালোবাসতেন আনাক্সারাটেকে। বিভিন্ন জনের মাধ্যমে আনাক্সারাটের কাছে প্রেম নিবেদন করেছেন, চিঠি পাঠিয়েছেন।

কিন্তু আনাক্সারাটে কোনোভাবেই সাড়া দেননি। অবশেষে একদিন, ইপহিস আনাক্সারাটের বাড়িতে গেলেন, দরজার সামনে দাঁড়িয়ে তার প্রবল ভালোবাসার কথা প্রকাশ করতে লাগলেন। কিন্তু আনাক্সারাটে ছিলেন অবিচল, তিনি ইপহিসের ভালোবাসাকে উপহাস করতে লাগলেন। রাগে, দুঃখে, অপমানে ইপহিস সেই দরজার সামনেই আত্মহত্যা করলেন। ইপহিসের মা যখন, শেষ কৃত্যানুষ্ঠানের জন্য ইপহিসের মরদেহকে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনো উপহাস করতে লাগলেন আনাক্সারাটে, অবজ্ঞা ভরে স্মরণ করতে লাগলেন ইপহিসের বোকামীকে।

দেবী আফ্রোদিতি এবার আর সহ্য করতে পারলেন না। তিনি সঙ্গে সঙ্গে আনাক্সারাটেকে পাথরে পরিণত করেন। আমাদের এই কাহিনী বলেছিলেন রোমান লেখক ওভিদ। তিনি বলেছেন, তার সময়কাল পর্যন্ত সাইপ্রাসের সালামিসের ‘ভেনাস প্রসপিসিয়েন্স’ নামের মন্দিরে সেই পাথর খন্ডটি সংরক্ষিত ছিলো।
ভার্জিল সোলিসের আঁকা- আনাক্সারাটের দরজার সামনে ইপহিস আত্মহত্যা করছেন
যুদ্ধদেবতা, আফ্রোদিতির প্রেমিক অ্যারিসের এক নাতনী ছিলেন পলিফোন্টে।

পলিফোন্টে ছিলেন দেবী আর্টেমিসের প্রবল ভক্ত, আর্টেমিসের মতোই কুমারী থাকবেন বলে স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন এবং বাস করতেন পাহাড়ে। শুধু তাই নয়, প্রেম, ভালোবাসাকে খুব অবজ্ঞা করতেন, অবজ্ঞা করতেন আফ্রোদিতিকেও। তাই আফ্রোদিতি পলিফোন্টেকে এক ভালুকের প্রেমে পড়ালেন এবং সেই ভালুকের সাথে মিলিত হলেন। দেবী আর্টেমিস পলিফোন্টের এই কাজে খুব ক্রুদ্ধ হলেন এবং বনের সব পশুদের পলিফোন্টেকে সাহায্য না করতে আদেশ দিলেন। বাধ্য হয়ে তিনি বাবার বাড়িতে ফিরে এলেন, সেখানে জন্ম দিলেন যমজ এগ্রিয়াস এবং ওরেয়াসকে- অর্ধেক মানব, অর্ধেক ভালুক।

এরা ছিলো নরখাদক, দেবতা এবং মানুষ-উভয়েরই কাছে ছিলো ঘৃনার পাত্র। এদের উপর বিরক্ত হয়ে জিউস হার্মিসকে আদেশ দিলেন যে কোনো উপায়ে শাস্তি দিতে। হার্মিস প্রথমে চেয়েছিলেন এই দুই ভাইয়ের শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আলাদা করে ফেলতে। কিন্তু যুদ্ধ দেবতা অ্যারিস বাধা দিলেন। ফলে হার্মিস এদেরকে মাংসাশী পাখিতে পরিণত করেন, এগ্রিয়াস রুপান্তরিত হয় শকুনে এবং ওরেয়াস পরিণত হয় ঈগল পেঁচায়।

পলিফোন্টে নিজে পরিণত হয়েছিলেন এক ছোট পেঁচায়, বিশ্বাস করা হয়, যে পেঁচা কখনো কিছু খায় না বা পান করে না।
একিলিস- ট্রোজান যুদ্ধের বিখ্যাত বীর নয়, এক লিবিয়ান যুবক। যুবক না বলে ডেমিগড বলা উচিত, কারণ এই একিলিসের বাবা স্বয়ং জিউস আর মা হচ্ছেন লামিয়া (এক লিবিয়ান রাজকুমারী)। একিলিস ছিলেন অসম্ভব সুন্দর এক যুবক। সৌন্দর্য্য নিয়ে তার এতো গর্ব ছিলো যে, একবার তিনি দেবতা প্যানের কাছে গিয়ে বিচারের ভার দিলেন- দেবী আফ্রোদিতি এবং তার মধ্যে কে বেশী সুন্দর? আফ্রোদিতি একিলিসের এই অবিবেচনাপ্রসূত কাজে খুব বিরক্ত হলেন।

তিনি একিলিসকে সাগরের এক কুৎসিত হাঙ্গরে পরিণত করলেন।
আফ্রোদিতি শুধু মানব-মানবী বা ডেমিগডদেরই উপর তার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করেননি, দেবতারাও তার প্রতিশোধ থেকে রক্ষা পাননি, যেমন, সূর্য দেবতা হেলিয়াস। তার প্রতিশোধের আরো দুইটি বিখ্যাত কাহিনী হচ্ছে রাজা থিসিয়াসের পুত্র হিপ্পোলাইটাসের কাহিনী এবং হিপ্পোমেনেস ও আটলান্টার কাহিনী। এই দুইটি কাহিনীই পরিবর্তীতে বিস্তারিত দেওয়া থাকবে বলে, এখানে লেখা হলো না।
এই সিরিজের আগের লেখাগুলোঃ
সৃষ্টিতত্ত্বঃ পর্ব-১: বিশ্ব-ব্রক্ষ্মান্ডের সৃষ্টি এবং ইউরেনাসের পতন পর্ব-২: টাইটান যুগের সূচনা এবং অলিম্পিয়ানদের জন্ম পর্ব-৩: প্রথম টাইটান যুদ্ধ এবং জিউসের উত্থান পর্ব-৪: মানবজাতির সৃষ্টি, প্রমিথিউস এবং পান্ডোরা উপাখ্যান পর্ব-৫: প্রমিথিউসের শাস্তি এবং আইও পর্ব-৬: আবার যুদ্ধ- জায়ান্ট এবং টাইফোয়িয়াস পর্ব-৭: ডিওক্যালিয়নের প্লাবন
দেবতাদের গল্পঃ এথেনা এবং আফ্রোদিতি পর্ব-৮: জিউস, মেটিস এবং এথেনার জন্ম পর্ব-৯: এথেনার গল্পকথা-প্রথম পর্ব পর্ব-১০: এথেনার গল্পকথা- দ্বিতীয় (শেষ) পর্ব পর্ব-১১: আফ্রোদিতির গল্পকথাঃ আফ্রোদিতি, হেফাস্টাস এবং অ্যারিসের ত্রিমুখী প্রেমকাহিনি পর্ব-১২: আফ্রোদিতির গল্পকথাঃ অ্যাডোনিসের সাথে অমর প্রেমকাহিনী পর্ব-১৩: আফ্রোদিতির গল্পকথাঃ এনকেসিসের সাথে দূরন্ত প্রেম
ভালোবাসার গল্পঃ পর্ব-১৪: পিগম্যালিয়ন এবং গ্যালাতিয়া পর্ব-১৫: পিরামাস এবং থিসবি পর্ব-১৬: হিরো এবং লিয়েন্ডার পর্ব-১৭: বোসিস এবং ফিলোমোন পর্ব-১৮: কিউপিড এবং সাইকী- প্রথম পর্ব পর্ব-১৯: কিউপিড এবং সাইকী- শেষ পর্ব
লেখকঃ
এস এম নিয়াজ মাওলা
ছবি সূত্রঃ ইন্টারনেট


সোর্স: http://www.sachalayatan.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.