আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খাবারের বর্জ্য থেকে তৈরি হবে কাচ!

আমাদের বিভিন্ন খাবারের পরিত্যক্ত অংশ বা বর্জ্য পচে দুর্গন্ধ ছড়ায় এবং বাতাস দূষিত করে তোলে। তাই সেগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা জরুরি। বিজ্ঞানীরা এসব বর্জ্য রূপান্তরের মাধ্যমে আবার ব্যবহারযোগ্য করে তোলার জন্য বিস্তর গবেষণা করে চলেছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাফল্যও এসেছে।
এবার যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক খাবারের বর্জ্যকে (চাল, ডিম ও কলার খোসা ইত্যাদি) কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে কাচ তৈরির একটি নতুন পদ্ধতি বের করেছেন।

কলোরাডো স্কুল অব মাইনসের শিক্ষক ইভান করনেজোর নেতৃত্বে উদ্ভাবিত পদ্ধতিটির সহজ ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে।
শুরুতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে খাবারের বর্জ্য সংগ্রহ করেন গবেষকেরা। এসব বর্জ্য মাটিতে ছড়িয়ে রেখে রোদে শুকিয়ে পরে মিশ্রণযন্ত্রে চূর্ণ করে সাদা গুঁড়ার মতো বস্তুতে পরিণত করা হয়। এই মিশ্রণে থাকে অক্সাইড ও সিলিকার মতো খনিজ পদার্থ, যেগুলো হচ্ছে কাচের মূল উপাদান। সাধারণত ভারী যন্ত্রপাতি ও বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে খনি থেকে এ ধরনের খনিজ উত্তোলন করা হয়।


বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত-করণের মাধ্যমে প্রাপ্ত সিলিকাসমৃদ্ধ সাদা গুঁড়ার মিশ্রণকে তিন হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করে গলিয়ে ফেলা হয়। সেই গলিত তরল মিশ্রণকে একটি নির্দিষ্ট আকৃতির ছাঁচের (মাটির তৈরি) মধ্যে ঢেলে দেওয়া হয়। ঠান্ডা হওয়ার পর সেই ছাঁচের মধ্য থেকে পাওয়া যায় নির্দিষ্ট আকৃতির স্বচ্ছ কাচ।

গবেষকেরা বলেন, বর্জ্য খোলা স্থানে ফেলে রেখে মাটিতে পচতে দিলে সেগুলো আবহাওয়ার জন্য ক্ষতিকর গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করে। কিন্তু খাদ্য ও কৃষি উপকরণের বর্জ্য থেকে কাচ তৈরি করা হলে সেই বর্জ্য মাটিতে পচার সুযোগ পায় না।

তাই গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের হারও কমে আসে।

এদিকে, করনেজোর নেতৃত্বে গবেষকেরা কাচ উৎপাদনের নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবনের পাশাপাশি খনিজ উত্তোলন সীমিত রাখার নতুন ধারণা নিয়ে এসেছেন। তাঁদের মতে, বিপুল অর্থ খরচ করে বিশাল যন্ত্রপাতি ও রাসায়নিক বস্তু ব্যবহার করে ভূপৃষ্ঠের গভীর থেকে খনিজ উত্তোলন না করে খাদ্য ও কৃষি উপকরণের বর্জ্য থেকেই কিছু খনিজ সংগ্রহ করা যেতে পারে। প্রতিদিনের বর্জ্য থেকে কাচ তৈরির উপাদান ছাড়াও হয়তো আরও অনেক প্রয়োজনীয় খনিজ পাওয়া যেতে পারে। লাস ভেগাস গার্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

 

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।