আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হেফাজতের মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ, ইউপিএস না বোমা ??

যে জেলে নিরুপায় বুকে হাত দিয়ে বসে আছে আমি তার কথা ভাবি

হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীর লালখান বাজার জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ যন্ত্র 'ইউপিএস' বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগার ঘটনায় 'বোমা' বিস্ফোরণ বিতর্ক তৈরি হয়েছে। 'বোমা' বিস্ফোরণ হয়েছে দাবি করে এ পর্যন্ত চারজন মাদ্রাসা ছাত্রকে আটক করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি)। তারা মাদ্রাসাটি থেকে তিনটি তাজা গ্রেনেড ছাড়াও ৫০টির বেশি হাতে তৈরি গ্রেনেডের খোসা উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী মাদ্রাসা ছাত্ররা জানান, মাদ্রাসা কমপ্লেক্সের একটি চারতলা ভবনের অবস্থিত দারুল ইফতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের একটি কক্ষে ল্যাপটপ চার্জ দেয়া হচ্ছিল। ওই কক্ষে চার্জরত ইউপিএসের সাহায্যে আরেকটি ডেস্কটপ কম্পিউটার চলছিল।

যার পাশেই ছিল একটি কেরোসিন চালিত স্টোভের চুলা। তারা জানান, সকাল ১১টার দিকে বিকট শব্দে ইউপিএস বিস্ফোরিত হয়। সাথে সাথেই ডেস্কটপ, ল্যাপটপ ও স্টোভের চুলাটিও বিস্ফোরিত হলে পুরো কক্ষে আগুন লেগে যায়। এ সময় কিতাব অধ্যয়নরত কয়েকজন ছাত্র অগ্নিদগ্ধ হন। বাকিরা দ্রুত ওই কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন।

তারা আরো জানান, ছাত্ররা পানি ও বালি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কিছুক্ষণ পরে আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশন থেকে একদল দমকল কর্মী মাদ্রাসায় পৌঁছায়। আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা মোনায়েম বিল্লাহ জানান, মাদ্রাসা থেকে দমকল বাহিনীর সদস্যরা বিস্ফোরণে আহত আবদুল্লাহ, আবদুল জব্বার, আবদুল করিম, আবদুল খালেক ও আমানুল্লাহ নামে চার জন মাদ্রাসা ছাত্রকে উদ্ধার করে হাপাতালে পাঠায়। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি বিস্ফোরণের কারণ জানাতে পারেননি। স্থানীয়রা জানান, দমকল বাহিনীর সদস্যরা মাদ্রাসা ছাত্রদের উদ্ধারের পর মাদ্রাসা সংলগ্ন মোড় এলাকায় সরকারদলীয় সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকে। কিছুক্ষণ পর মাদ্রাসায় বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে দাবি করে তারা মিছিল শুরু করেন।

‘বোমাবাজদের আস্তানা জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও’ শ্লোগান দিয়ে তারা মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে প্রবেশের চেষ্টা করলে মাদ্রাসা ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। এর পরপরই গোয়েন্দা পুলিশ, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও বোমা নিস্ক্রিয়কারী দলসহ সিএমপির কমিশনার শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত কমিশনার বনজ কুমার মজুমদার, উপ-কমিশনার (গোয়েন্দা) কুসুম দেওয়ান ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) মো. শহিদুল্লাহ ঘটনাস্থল এসে উপস্থিত হন। পরে দুপুর ২টা থেকে বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ করে অভিযান শুরু করে পুলিশ। প্রথমেই স্থানীয় হালিশহর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুজন মাদ্রাসা ছাত্রকে আটক করে পুলিশ। রাত পৌনে ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযান চলছিল।

উল্লেখ্য, লালখান বাজার মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের পর সোমবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে যোগাযোগ করা হলে সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) মো. শহিদুল্লাহ জানিয়েছিলেন, বোমা নয় ইউপিএস বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই জন আহত হয়েছে বলেও তখন তিনি জানিয়েছিলেন। তবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সিএমপির সহকারী কমিশনার (পাঁচলাইশ) শাহ মোহাম্মদ আবদুর রউফ টাইম নিউজকে জানান, দুপুরের দিকে খবর ছিল ইউপিস বিস্ফোরণ। তবে আমরা প্রাথমিকভাবে অগ্নি নির্বাপন ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। পরে পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা এসে প্রাথমিক তদন্ত শেষে বড় ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য ছিল বলে জানালে আমরা দুপুর ২টায় অভিযান শুরু করি।

হালিশহর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দু'জনসহ চার মাদ্রাসা ছাত্রকে আটক করা হয়েছে উল্লেখ করে আবদুর রউফ জানান এখনো অভিযান চলছে। আটক মাদ্রাসা ছাত্রদের নাম পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা এখনো অভিযানে ব্যস্ত আছি। আটককৃতদের পরিচয় জানতে পাঁচলাইশ থানায় যোগাযোগ করুন। ' পরে পাঁচলাইশ থানায় যোগাযোগ করলে উপ-পরিদর্শক (তদন্ত) শিপ্রা জানান, আটকের ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। আমাদের থানায় এমন কেউ আটক নেই।

সূত্র: http://timenewsbd.com/city/2013/10/07/11936

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.