আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চমকে যাবেন মানচিত্র দেখে

http://www.bigganblog.com/

সেই কৌতুকটা নিশ্চয়ই আপনারা সবাই জানেন, কোনো এক আড্ডায় এক লোক গালপট্টি মারছিলো যে সে সারা দুনিয়া ঘুরেছে। দুনিয়ার প্রায় এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে সে যায় নি। শেষে তাকে যখন প্রশ্ন করা হলো আপনি যেহেতু এতো জায়গা ঘুরেছেন, তাহলেতো জিওগ্রাফি সম্বন্ধে আপনার বেশ ভালো ধারনা আছে? লোকটির চটপট উত্তর, "হ্যাঁ, তাতো বটেই। গত মাসেইতো সেখান থেকে ঘুরে এলাম!" যা হোক এই কৌতুকটা আমার এক বড়ভাইকে বলার পর তিনি গম্ভীর হয়ে উত্তর দিলেন 'আমি জিওগ্রাফিতে তিন বছর ছিলাম!' অর্থাৎ কিনা তিনি জিওগ্রাফি ডিপার্টমন্টে অনার্স কোর্সে ভর্তি হয়ে তিন বছর কাটিয়েছেন! আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি অনিন্দ্যসাধারণ ও চমক সৃষ্টিকারী বেশ কিছু মানচিত্র । যারা কখনো ভুগোলে ছিলেন না কিংবা যারা ভুগোলে কয়েকবছর কাটিয়েছেন তারা সবাই সম্ভবত এই মানচিত্রগুলো দেখে চমৎকৃত এবং উপকৃত হবেন।

প্রথমে যেই বিশ্বমানচিত্র দেখাব সেটা একই সঙ্গে চমৎকারী এবং আতঙ্কসৃষ্টকারী। এই মানচিত্রে যে বৃত্তটি দেখা যাচ্ছে তার ভিতরকার জনসংখ্যা, বৃত্তের বাইরের জনসংখ্যার চেয়ে বেশী। এবারের ম্যাপের মাঝে যেই রেখাটি দেখছেন সেটি আসলে সরলরেখা। গোল পৃথিবীর চামড়া খুলে নিয়ে টানটান করে মেলে ধরায় রেখাটিকে বাঁকা দেখাচ্ছে। এই রেখাটি হচ্ছে পৃথিবীর শুধুমাত্র জলভাগের উপরে দিয়ে আঁকা সম্ভব এমন সবচেয়ে বড় রেখা।

অর্থাৎ আপনি যদি পাকিস্তান থেকে এই রেখা বরাবর পালতুলে যাত্রা শুরু করেন এবং দিক পরিবর্তন না করেন তাহলে কোনো রকম ভু-ভাগের বাধা অতিক্রম ছাড়াই এই পথে রাশিয়ার একপ্রান্তে গিয়ে পৌছাবেন। এই মানচিত্রের আরেকটি বৈশিষ্ট্য আছে। এই রেখাটির উপরের অংশে যেপরিমান মানুষ বাস করে নিচের অংশে বাস করে তার চৌদ্দ গুণ। মানচিত্রে উত্তর দিকটিকে উপরে দেখানো আমাদের অভ্যাস। কিন্তু এটা আসলে কোনো নিয়ম নয়।

কেবল মাত্র প্রচলিত হয়ে যাওয়ায় আমরা এভাবেই মানচিত্র আঁকতে পছন্দ করি। কেউ চাইলে দক্ষিনদিক কিংবা অন্যদিকটিও উপরের দিকে রেখে মানচিত্র আঁকতে পারেন। এবারে দক্ষিনপন্থীদের জন্য পৃথিবীর এই মানচিত্রটি। ১৯৯২ সালে প্রশান্তমহাসাগরের মাঝখানে একটি কার্গোজাহাজ থেকে ২৯০০০ ভাসমান হলুদ রবারের হাঁস (এই হাঁসগুলো সরা বিশ্বে সুপরিচিত) এবং আরো কিছু জিনিস পড়ে যায়। এরপর মহাসগরীয় স্রোতের টানে এই হাঁসগুলো সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে।

এই সময় তারা হাজার হাজার মাইল অতিক্রম করে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন উপকুলে পৌঁছায়। এই মানচিত্রে দেখতে পাবেন কোনপথে এই হাঁসগুলো ভ্রমণ করেছিলো। রেখার পুরুত্ব থেকে হাঁসের পরিমানও অনুমান করতে পারবেন। 20 কোটি বছর আগে এই পৃথবীর সমস্ত ভূ-ভাগ একত্রে সংযুক্ত ছিলো। এই সংযুক্ত অবস্থায় এটি একটি সুপার মহাদেশ ছিলো যার নাম প্যানজিয়া।

কোটি কোটি বছর ধরে প্লেট টেকটোনিক্সের প্রভাবে মহাদেশগুলো ক্রমশঃ বিচ্ছিন্ন হতে থাকে। এই মানচিত্রে দেখতে পাবেন বর্তমান বিশ্বের কোন দেশ ২০ কোটি বছর আগে কোন অবস্থানে ছিলো। খুঁজলে বাংলাদেশের অবস্থানও বের করতে পারবেন। তবে বাংলাদেশের একটি বিরাট অংশ হিমালয় বিধৌত পলি দিয়ে গঠিত হয়েছে মাত্র কয়েক হাজার বছর আগে। তাই এই মানচিত্রে বাংলাদেশের অস্তিত্ব খুব একটা উজ্জ্বল নয়।

পৃথিবীর কিছু দেশে গাড়ি চালনোর জন্য স্টিয়ারিং থাকে গাড়ির বাম দিকে আর কিছু দেশে স্টিয়ারিং থাকে ডান দিকে। এই মানচিত্রের লাল অংশের গাড়িতে স্টিয়ারিং বাম দিকে এবং নীল অংশের গাড়িতে ডান দিকে থাকে। সমগ্র আমেরিকান যুক্তরাষ্ট্রকে কেটে নিয়ে যদি চাঁদে বসানো যায় তাহলে আকারে তা হবে নিচের মানচিত্রটির মতো। এই ম্যাপে দেখানো হচ্ছে বিভিন্ন দেশের প্রতি একমিলিয়ন মানুষের মধ্যে গবেষকের সংখ্যা। পৃথিবীর জনসংখ্যা ৭০০ কোটিরও বেশী।

এই জনসংখ্যার প্রতি ১০০ কোটিকে একসাথে রেখে যদি পৃথিবীকে ৭ ভাগে ভাগ করা যায় তাহলে সেটা দেখতে হবে এমন। ম্যাপে বাংলাদেশের অবস্থান উল্ল্যেখযোগ্য। ১৮৯৮ সাল থেকে সংঘটিত ভুমিকম্পসমূহের অবস্থান অনুযায়ী এই মানচিত্র: আজ এই পর্যন্তই। আরো চমৎকার এবং mind blowing পোস্ট নিয়ে হাজির হব অচিরেই। ততক্ষণ পর্যন্ত বিদায়।

সবগুলো মানচিত্রের উৎস: Click This Link

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।