আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হানিফ ফ্লাইওভার উদ্বোধন আজ

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান উড়াল সড়ক (ফ্লাইওভার) যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত

। মেয়র হানিফ নামের এ উড়াল সড়কটি আজ উদ্বোধনের পরই খুলে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা সোয়া ৩টায় যাত্রাবাড়ী কুতুবখালী পয়েন্টে ফ্লাইওভারের ফলক উন্মোচন করবেন। এ উপলক্ষে ৪টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দেবেন। বহুল প্রত্যাশিত দীর্ঘ এ উড়াল সড়কের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ঢাকার সড়ক যোগাযোগে সূচিত হতে যাচ্ছে এক নতুন দিগন্ত।

রাজধানীর দক্ষিণ-পূর্ব দিকের প্রবেশপথ যাত্রাবাড়ী দিয়ে চলাচল করতে অসহনীয় যানজটের যন্ত্রণা আর পোহাতে হবে না। এ উড়াল সড়কের ফলে ঢাকার সঙ্গে ৩০ জেলার সরাসরি যোগাযোগ আরও সহজ হবে। উড়াল সড়কটি দেশের বৃহত্তম এবং প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপ (পিপিপি)-ভিত্তিক বাস্তবায়িত প্রথম প্রকল্প।

প্রকল্প সূত্র জানায়, ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল সড়কের আপাতত ৬ দশমিক ৭ কিলোমিটার অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। ২০০ টন ধারণক্ষমতার এ উড়াল সড়কটির স্থায়িত্বকাল ১০০ বছর।

১৯৯৮ সালে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের কাজ ১৫ বছর ধরে চলেছে। প্রকল্পের প্রথম অংশের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় অংশের (গুলিস্তান-পলাশী পর্যন্ত) কাজ শেষ হতে আরও সময় লাগবে বলে প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। সূত্র জানায়, যাত্রাবাড়ী থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত উড়াল সড়কের দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ৭ কিলোমিটার। এ ছাড়া গুলিস্তান থেকে পলাশী পর্যন্ত (দ্বিতীয় অংশ) পুরো নির্মিত হলে ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে।

উড়াল সড়কের প্রকল্প পরিচালক আশিকুর রহমান জানান, মূল উড়াল সড়কের নির্মাণকাজ ২৫ সেপ্টেম্বর শেষ হয়েছে। কয়েক দিন আগে রাষ্ট্রপতি উড়াল সড়ক এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি নির্মাণকাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। পিপিপি পদ্ধতিতে নির্মিত এ উড়াল সড়কের মূল স্থাপনা যাত্রাবাড়ী থেকে পলাশী পর্যন্ত দাঁড়িয়ে গেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আপাতত গুলিস্তান থেকে যাত্রাবাড়ী অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান ওবায়দুল করিম বলেন, মূল ফ্লাইওভার নির্মাণে বঙ্গার্ডার প্রি-কাস্ট সেগমেন্ট প্রযুক্তি ব্যবহার এবং নির্মাণ পদ্ধতিতে আমেরিকার সর্বশেষ কোড ও স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করা হয়েছে। ফ্লাইওভার দিয়ে মসৃণ গতিতে গাড়ি চলাচলের জন্য বিটুমিনাস মেমব্রেন ব্যবহার করা হয়েছে, যা উপমহাদেশে প্রথম ব্যবহৃত উন্নত প্রযুক্তি। এ মেমব্রেন ব্যবহারের কারণে ফ্লাইওভারটির ভেতরের অংশ পানি নিরোধক হিসেবেও কাজ করবে। নির্মাণকাজে ফ্রান্সের জিইএ কোম্পানির সহায়তায় উড়াল সড়কের টোল প্লাজায় অটোমেটিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করার কাজ শেষ হয়েছে। প্রথমবারের মতো টোল আদায়ে অটোমেটিক ভেহিক্যাল ক্ল্যাসিফিকেশন-এভিসি পদ্ধতির ব্যবস্থা রয়েছে।

এসব যন্ত্রপাতি পরিচালনার জন্য আগামী ছয় মাস তারা প্রশিক্ষণ দেবে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের। এর পর থেকে ওরিয়ন এ টোল প্লাজা পরিচালনা করবে। ওরিয়ন গ্রুপের এক কর্মকর্তা জানান, ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি এবং নির্মাণসামগ্রীর উচ্চমূল্যের কারণে নির্মাণ ব্যয় কয়েক গুণ বাড়লেও ২০০৫ সালে নির্ধারিত টোলের হারই বহাল আছে। টোল আদায়ের সময়সীমা ২৪ বছর রাখা হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক আশিকুর রহমান জানান, ইউটিলিটি স্থানান্তর জটিলতা না থাকলে আগেই এ উড়াল সড়কের নির্মাণকাজ শেষ করা সম্ভব হতো।

বিশেষ করে ঢাকা ওয়াসার লাইন স্থানান্তর নিয়ে এবং একাধিক স্থানে অবৈধ স্থাপনা দখলমুক্ত করার কাজে দীর্ঘসূত্রতার কারণে পাঁচটি সংযোগ র্যাম্প বাদ রেখেই মূল ফ্লাইওভার উদ্বোধন করতে হচ্ছে। ফ্লাইওভারটি উচ্চ ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এবং ট্রেইলারসহ সব ধরনের ভারী যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।