আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তারবিহীন যান্ত্রিক বিড়াল

চিতা নামের এক যান্ত্রিক বিড়াল তৈরি করা হয়েছিলো ২০১২ সালে। চার পেয়ে এই রোবটটি দৌড়ে ঘণ্টায় পেরিয়ে যেতে পারতো ২৯ মাইল। অর্থাৎ দৌড়বিদ উসাইন বোল্টের চেয়েও অনেক দ্রুত গতির ছিলো রোবটটি। এসবই পুরনো খবর। নতুন খবর এই যে, চিতা রোবট এখন কোনো রকম তারের সঙ্গে যুক্ত না থেকেই স্বাধীনভাবে দৌড়াতে পারে।

রোবট জাতীয় যন্ত্রের ডিজাইনের জন্য বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান বোস্টোন ডায়নামিকস এই তারবিহীন চিতা রোবটটি তৈরি করেছে। চিতা রোবটের এই তারবিহীন সংস্করণের নাম দেয়া হয়েছে ওয়াইল্ড ক্যাট। চিতা এবং ওয়াইল্ড ক্যাট – এই দুইটি প্রজেক্টেই অর্থায়ন করেছে আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি উন্নয়নকরণ প্রোগ্রাম ডারপা।

তবে পুর্বপুরুষ চিতার চেয়ে ওয়াইল্ড ক্যাট দৌড়ে বেশ খানিকটা ধীরগতির। ঘণ্টায় এটি ১৬ মাইল পেরিয়ে যেতে পারে।

বিশের দ্রুততম মানব উসাইন বোল্টের গতি ঘণ্টায় প্রায় ২৭.৭৯ মাইল। অ্যাথলেটিক্সের ভাষায় বলতে গেলে, ‘ফোর-মিনিট মাইল’ গতির চেয়ে কিছুটা ধীর গতিতে দৌড়াবে এই তারবিহীন রোবট। ১৯৫৪ সালে বিখ্যাত দৌড়বিদ রজার ব্যানিস্টার প্রথমবারের মত চার মিনিটে প্রায় ১৭৬০ গজ অতিক্রম করে এই ‘ফোর-মিনিট মাইল’ এর ধারণাটির প্রতিষ্ঠা করেন। তারপরে অনেক দৌড়বিদ এই রেকর্ড ভাঙলেও মধ্যম সারির দৌড়বিদেরা এখনো এই গতি অর্জনকেই লক্ষ্য হিসেবে ধরে। বোস্টোন ডায়নামিকস তাদের ইউটিউবের চ্যানেলে ওয়াইল্ড ক্যাটের যে ভিডিওটি ছেড়েছে তাতে দেখা গেছে, তারবিহীন রোবটটি ধীর গতি বা দ্রুত গতি – যে কোনো গতিতে সমতলের ওপর চলতে পারে।

এটি সরলরেখা ধরে চলা ছাড়াও মাঝে মাঝে মোড়ও ঘুরতে পারে। চলার সময় ভেতরে থাকা মোটরটির বেশ জোর গুঞ্জন চলতে থাকে।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।