তিনি বলেছেন, “জামায়াতের ‘বি টিম’ হিসেবে কাজ করছে বিএনপি। এজন্য সামনে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি মোকাবেলায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিতদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ”
বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমমএফের বার্ষিক সম্মেলন শেষে সোমবার ওয়াশিংটন ডিসি থেকে নিউ ইয়র্কে ফিরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে একথা বলেন মুহিত।
ছোট ভাই জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে এ মোমেনকে পাশে রেখে অর্থমন্ত্রী কথা বলার সময় দেশের বর্তমান পরিস্থিতির পাশাপাশি গ্রামীণ ব্যাংকের বিষয়টিও উঠে আসে।
মুহিত বলেন, “২৪ অক্টোবর ডেডলাইন ধরে বিএনপিসহ অনেকে নানা কথা বলছেন, হুমকিও দিচ্ছেন।
প্রকৃত অর্থে সেটি কোনো বিশেষ দিন নয়।
“২৪ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হবে। সে অনুযায়ী ৪৫ দিন আগে সংবিধান অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করবে এবং বর্তমান মন্ত্রিসভার বিলুপ্তি ঘটবে। ”
‘অন্তর্বর্তী’ সরকারে কোনো টেকনোক্রেট মন্ত্রী থাকবে না বলে জানান মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ এই সদস্য।
বিএনপির আন্দোলনের হুমকির প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “আন্দোলনের যে হুমকি দিচ্ছে বিএনপি, তা নিতান্তই ফাঁকা আওয়াজ।
“বিএনপি যদি নিজের বিবেক-বুদ্ধিতে পরিচালিত হয়, তাহলে তারা নির্বাচনেই আসবে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ের গতিবিধিতে আমার মনে হচ্ছে, বিএনপিকে চালাচ্ছে জামায়াত-শিবির। ”
দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে দাবি করে তা মোকাবেলায় সরকার প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।
গ্রামীণ ব্যাংকের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “ড. মুহম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক বক্তৃতা-বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়েছিল। জাতিসংঘ এবং আইএমএএফের বিভিন্ন ফোরামে আমি গ্রামীণ ব্যাংকের বর্তমান পরিস্থিতি বিবৃত করেছি।
“আগের চেয়ে অনেক ভালোভাবে চলছে গ্রামীণ ব্যাংক, এটা তাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। আমার মনে হয়, শিগগিরই গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের অহেতুক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দূর হয়ে যাবে। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।