আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাঁদপুর-মঠবাড়িয়া-সীতাকুণ্ডে ঈদ উদযাপন

রাত পোহালেই কাল বুধবার সারা দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। কিন্তু এর এক দিন আগে আজ মঙ্গলবার দেশের কোথাও কোথাও ঈদ উদযাপনের খবর পাওয়া গেছে। চাঁদপুর, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঈদুল আজহা পালিত হচ্ছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

 

চাঁদপুর

চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে আজ আগাম ঈদুল আজহা পালিত হচ্ছে। গতকাল সোমবার সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালন শেষে ঈদুল আজহা পালিত হয়েছে।

তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চাঁদপুরের প্রায় ৪০টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মুসল্লিও আজ সকালে বিভিন্ন স্থানে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। পরে তাঁরা কোরবানির পশু জবাই দেন। যেসব গ্রামে আগাম ঈদ পালিত হচ্ছে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—হাজীগঞ্জের সাদ্রা, বলাখাল, রামপুর, অলিপুর, রামচন্দ্রপুর, ফরিদগঞ্জের বাশারা, শোল্লা, চৌরাঙ্গা, গরিয়ানা, মুন্সীরহাট, কাইতাড়া, নূরপুর, মূলপাড়া, বদরপুর, প্রতাপপুর, মহেশপুর, তেলিসাইর, উভারামপুর, সুরঙ্গচাল, সাচনমেঘ, মতলবের পাঁচানি, সাড়ে পাঁচানি ও এখলাসপুর এবং কচুয়া ও শাহরাস্তির কয়েকটি গ্রাম।

হাজীগঞ্জের সাদ্রা গ্রামের মরহুম মাওলানা ইসহাক (রহ.) ১৯৩১ সাল থেকে এই নিয়ম চালু করেন। সেই থেকে ওই গ্রামের পাশাপাশি আশপাশের গ্রামের লোকজন তার অনুসারী হয়ে পড়েন।

দীর্ঘদিন ধরে আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে মুসলমানদের দুই প্রধান উত্সব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালিত হয়ে আসছে।

মাওলানা ইসহাকের বড় ছেলে আবু জুফার প্রথম আলো ডটকমকে জানান, আগাম ঈদ সম্পর্কে মরহুম পীর সাহেব মাওলানা ইসহাকের সঙ্গে ফুরফুরা পীর মরহুম আবু বকর (রহ.)-এর একাধিকবার বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়টি পর্যালোচনা করে কোনো সমাধান না এলেও আগাম ঈদ পালন করে যাচ্ছেন তাঁরা।

 

মঠবাড়িয়া

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের ছয় গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবার আজ পবিত্র কোরবানির ঈদ উদযাপন করছেন। সকাল নয়টায় সাপলেজা ইউনিয়নের ভাইজোড়া গ্রামের খোন্দকারবাড়ি ও সাড়ে নয়টার দিকে কচুবাড়িয়া গ্রামের হাজি ওয়াহেদ আলী হাওলাদারবাড়িতে ঈদের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

সুরেশ্বর পীরের অনুসারী কচুবাড়িয়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ফরহাদ হোসেন প্রথম আলো ডটকম বলেন, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে সংগতি রেখে আজ আমরা ঈদের নামাজ আদায় করেছি। ’

মঠবাড়িয়ার সাপলেজা ইউনিয়নের পূর্ব সাপলেজা, ভাইজোড়া, কচুবাড়িয়া, খেতাছিড়া, বাদুরতরী ও চড়কগাছিয়া গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ অনেক দিন ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে সংগতি রেখে রোজা রাখা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছেন। তাঁরা মূলত শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর গ্রামের মরহুম মাওলানা জান শরীফ ওরফে শাহে আহম্মদ আলীর অনুসারী।

সাপলেজা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন জমাদ্দার সাপলেজা ইউনিয়নের ছয় গ্রামে আজ ঈদুল আজহা উদযাপনের কথা নিশ্চিত করেছেন।

 

সীতাকুণ্ড

সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের শতাধিক পরিবার আজ ঈদুল আজহা পালন করছেন।

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে তাঁরা প্রতিবছর কোরবানি দেন। সকাল নয়টায় সীতাকুণ্ডের রহমতেরপাড়া গ্রামে জাহাঁগিরিয়া জামে মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদের ইমাম মাওলানা আলী আহম্মদ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, পূর্ব পুরুষের আমল থেকে এ গ্রামের মানুষ এক দিন আগে দুটি ঈদ পালন করে আসছেন। ওই গ্রামের বাসিন্দা আতাউল হক বলেন, ‘আমরা প্রতিবছরই সৌদি আরবের ঈদের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করি। ’

উল্লেখ্য, প্রায় ২৫০ বছর আগে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মির্জাখিল গ্রামে সিলসিলায়ে আলিয়া কাদেরিয়া চিশতিয়ার বুজুর্গ হজরত মাওলানা মোখলেছুর রহমান জাহাঁগিরি (রহ.) ঈদসহ সব ধর্মীয় উত্সব সৌদি আরবের সঙ্গে পালন করেন।

তার উত্তরসূরি, মুরিদ ও অনুসারীরা একই নিয়মে এখন ঈদ উদযাপন করেন।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।