মঙ্গলবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর বুধবার রাতে ১৮ দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিরোধীদলীয় নেতা, যাতে আগামী সপ্তাহে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়।
ওই বৈঠকে কর্মসূচি ঠিক হলেও তা সাংবাদিকদের জানানো হয়নি। শুক্রবার জোটের মহাসচিবদের বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।
হরতালে হত্যা, নির্যাতন, গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ ও শুক্রবার গায়েবানা জানাজার কর্মসূচি রয়েছে বিরোধী দলের। তারপরই পরবর্তী কর্মসূচি জানানো হবে।
নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক সঙ্কটের আশঙ্কার প্রেক্ষাপটে সংলাপ এগিয়ে নেয়া নিয়ে সংশয়ের মধ্যে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর ১৮ দলীয় জোট নেতাদের কেউও কর্মসূচির বিষয়ে মুখ খোলেননি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামী ঐক্যজোটের আমির আবদুল লতিফ নেজামী সাংবাদিকদের বলেন, “সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কর্মসূচির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জোটনেত্রীকে। ”
গুলশানে নিজের কার্যালয়ে সিপিবি-বাসদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পরপরই ১৮ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন খালেদা জিয়া। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৈঠকে ছিলেন।
এলডিপি সভাপতি অলি আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর কর্ম পরিষদের সদস্য আবদুল হালিম, খেলাফত মজলিশের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইসহাক, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, এনপিপি চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু, এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মুর্তজা, ইসলামিক পার্টির সভাপতি আবদুল মোবিন, ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, লেবার পার্টি চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, মুসলিম লীগের সভাপতি এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান, পিপলস লীগের চেয়ারম্যান গরীবে নেওয়াজ, ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি শেখ আনোয়ারুল হক, বিজেপির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শামসুদ্দিন মতিন, জমিয়তে উলামা ইসলামের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট শাহীনুর পাশা চৌধুরী, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি বৈঠকে ছিলেন।
গত ২০ অক্টোবরের পর জোট নেতাদের সঙ্গে এটাই ছিল খালেদা জিয়ার প্রথম বৈঠক। এর মধ্যে নির্দলীয় সরকারের রূপরেখা দেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার টেলিফোনে আলোচনা হয়।
বিএনপি নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি জানিয়ে এলেও এক্ষেত্রে সংবিধান অনুসরণের পক্ষপাতি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব দিলে তার পাল্টায় নির্দলীয় সরকারের রূপরেখা দেন বিরোধী নেত্রী।
এর মধ্যেই গত শুক্রবার ঢাকায় সমাবেশে সরকারকে আলোচনা করতে দুই দিন সময় বেঁধে দিয়ে তা না হলে রোববার থেকে ৬০ ঘণ্টার হরতালের ঘোষণা দেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
এরপর শনিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী টেলিফোন করেন বিরোধী নেত্রীকে। শেখ হাসিনা হরতাল প্রত্যাহার করে গণভবনে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানালে জানালে খালেদা জিয়া বলেন, হরতাল শেষ হলেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতে পারেন তিনি।
এরপর পুনরায় সংলাপের আমন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষ পরস্পরকে উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়ে আসছে। বিএনপি সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ আশা করলেও আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, এখন সংলাপ চাইলে বিরোধীদলীয় নেতাকে টেলিফোন করতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।