আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'নিষিদ্ধ রাজপ্রাসাদের' নির্মান রহস্য উন্মোচন

অবশেষে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের 'নিষিদ্ধ শহর' খ্যাত রাজপ্রাসাদটির নির্মান রহস্য খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আধুনিক যুগের আবিষ্কার দহন ইঞ্জিন বা হাইড্রোলিক ক্রেনের মতো কোনো যন্ত্রের সাহায্য ছাড়াই প্রায় ছয়'শ বছর আগে কিভাবে বিশাল পাথর দিয়ে সাজানো হয়েছিল এ প্রসাদটি। এটা কিভাবে সম্ভব হয়েছিল তা গবেষকদের কাছে ছিল আশ্বার্যের বিষয়। অবশেষে সেই রহস্যের জট খুলল।

চীনের মিঙ সাম্রাজ্যের রাজত্বকালে ১৪০৬ সাল থেকে ১৪২০ সাল পর্যন্ত এই রাজপ্রাসাদের নির্মানকাজ চলে।

ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনেকগুলো ভবন নিয়ে তৈরি এই প্রাসাদ নির্মানে এমন কিছু বিশালাকৃতির পাথরের চাঁই ব্যবহার করা হয়েছিল, যেগুলো দৈর্ঘ্যে ছিলো প্রায় ৩০ ফিট এবং ওজনে ১০০ টনের বেশি। তাই স্বভাবতই নির্মানকুশলীদের মাথায় প্রশ্ন আসে, কোন রকমের অত্যাধুনিক যন্ত্র ছাড়া এই পাথরগুলোকে এতো উপরে উঠিয়ে নিঁখুতভাবে সাজিয়ে রাখা কি করে সম্ভব হয়েছিলো।

পদার্থবিজ্ঞানের খুবই মৌলিক সূত্র ব্যবহার করে এই রহস্যের যে সমাধান বের করা যায়, তা নিয়ে নেচার পত্রিকায় সম্প্রতি একটি নিবন্ধ লেখেন প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির প্রকৌশলী হাওয়ার্ড স্টোন এবং তার দুই চৈনিক সহকর্মী জিয়াং লি এবং হাওশেঙ চেন।

নিবন্ধটিতে তারা লেখেন, খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দের কাছাকাছি সময় থেকে চীনে চাকার ব্যবহার শুরু হয়। এছাড়া ভারি মালামাল বহনের জন্য বরফে টানা স্লেজ গাড়ির সাথেও তাদের পরিচয় ছিলো।

আর পঞ্চদশ শতাব্দীতে নির্মিত এই প্রাসাদের পাথরগুলোকে ঠিক জায়গায় বসাতে তারা ব্যবহার করেছিলো বরফের তৈরি রাস্তা। এছাড়া মিঙ যুগের নির্মান শিল্পের মধ্যে বরফের ব্যবহার বেশ লক্ষণীয় একটি দিক। প্রাসাদের মেঝেতে অঙ্কিত কিছু ছবি থেকেও বরফের রাস্তা ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এমনকি এখনো চীনের কোনো কোনো স্থানে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

বরফের রাস্তার ওপর দিয়ে পাথর টানার কারণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে স্টোন বলেন, এতো ওজনের ভার বহনে সক্ষম এমন চাকা তখনো চীনে তৈরি হয়নি।

৫০ থেকে ১০০ জন শ্রমিক যেনো ১০০ টন ওজনের একটি চাকা টেনে নিয়ে যেতে পারে, সেজন্য যথেষ্ট স্বাচ্ছন্দ্য সৃষ্টি করে। কাওরণ বরফ শক্ত, সমতল এবং টেনে নেয়ার জন্য যথেষ্ট পিচ্ছিলও বটে।

তথ্যসূত্র: আইবিটাইমস 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.