আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পদত্যাগপত্র দিলেই মন্ত্রীরা অবৈধ

নামের সাথে কামের কিছু মিলতো থাকবোই

পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর মন্ত্রীদের কোন বৈধতা থাকতে পারে না। এটা একদমই অসাংবিধানিক। আওয়ামী লীগ নিজেদের সংবিধান নিজেরাই লঙ্ঘন করে একটা লেজেগোবরে অবস্থা সৃষ্টি করেছে। সংবিধান অনুসারেই পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর তারা অবৈধ। একটা স্পষ্ট সাংবিধানিক সঙ্কট সৃষ্টি করে ফেলেছেন তারা।

যারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথা বলছেন, তারা সত্যের অপলাপ করছেন। সরকারের মন্ত্রীরা অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া হিসাবে পদত্যাগ করেছেন বলে উল্লেখ করছেন। নিজেদের মত অনুসারে সংসদীয় গণতন্ত্র চালালে তো হবে না। তারা যদি ইচ্ছামতো গণতন্ত্র চালান তাহলে এটাকে বলতে হবে ‘সংসদীয় গণতন্ত্র (আওয়ামী লীগ)’। মন্ত্রীদের পতদ্যাগ বিতর্কে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের কথা বলছেন অনেকেই।

আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, সেসব দেশের অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভা গঠিত হয় সংসদ ভাঙার পর। আমাদের এখানে মন্ত্রীরা পদত্যাগ করলেন অথচ সংসদই ভাঙলো না- এটা অবৈধ। তিনি বলেন, ইংল্যান্ডে একটা নিয়ম আছে। সংসদ ভেঙে যাওয়ার পর একদিনের মধ্যে এমপিদেরকে তাদের দপ্তর থেকে ব্যক্তিগত কাগজপত্র সরিয়ে নিতে হয়। তারপর সংসদে তালা ঝোলানো হয়।

সেখানে এমপিরা কোনভাবেই তাদের ক্ষমতা প্রদর্শনের সুযোগ পান না। ভারতেও অন্তর্বর্তী সরকারের সময় নিম্নকক্ষ (লোকসভা) ভেঙে যায়। শুধু উচ্চকক্ষ থাকে। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডেও সংসদ ভেঙে দেয়া হয়। তারপর প্রেসিডেন্ট একটি ছোট মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দেন।

প্রধানমন্ত্রী ছোট একটি মন্ত্রিসভা গঠন করেন রুটিন কাজ চালানোর জন্য। অথচ আমাদের এমপি-মন্ত্রীরা নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন পদ-পদবি নিয়েই। নির্বাচনী আইনে রয়েছে, সরকারি সুবিধা নিয়ে নির্বাচনী ক্যাম্পেইন করতে পারবেন না। অথচ ২৭ তারিখের পর প্রতিদিনই সবাই নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। তাদের নিজেদের সংবিধান অনুসারে ২৭শে অক্টোবরই সংসদ ভেঙে যাওয়ার কথা ছিল।

অথচ সংসদ চলছে। অবশ্য আরও কিছুদিন সংসদ সচল রাখার সুযোগ তাদের আছে। কিন্তু সংসদ ভেঙে না দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কিভাবে হয়? অন্তর্বর্তী সরকার থাকলে সংসদ থাকবে না। দেশে এরই মধ্যে একটি সাংবিধানিক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। সংসদ বহাল থাকতেই এই সঙ্কট থেকে উত্তরণের পথ বের করতে হবে।

কিন্তু তারা সেদিকে এগোচ্ছেন না। সংসদ বহাল থাকতে সমাধান করতে না পারলে ইমার্জেন্সি ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। সংবিধান তৈরি হয় একটা ডিসিপ্লিন মেনে চলার জন্য। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেটাই উড়িয়ে দিচ্ছে, তাহলে কিভাবে চলবে গণতন্ত্র? তাছাড়া মন্ত্রীরা পদত্যাগ করছেন। কিন্তু উপদেষ্টারা কি করবেন তা তো স্পষ্ট নয়? উপদেষ্টাদের তো অন্তর্বর্তী সরকারে থাকার কোন সুযোগ নেই।

তারা তো সবসময় দেখি অদৃশ্য প্রতিষ্ঠান হিসাবে ভূমিকা রাখছেন। আমরা তাদের কর্মকাণ্ড দেখি না। পেছন থেকে তারা কলকাঠি নাড়েন। তাদের পদত্যাগ নিয়ে সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য দেয়া প্রয়োজন। দিলারা চৌধুরী:মানবজমিন


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.