আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি নির্বাচনে যাব

নির্বাচনে অংশ নেওয়া-না নেওয়া যার যার গণতান্ত্রিক অধিকার। যদি নির্বাচন হয়, আমি অংশগ্রহণ করব। যেহেতু আমার দলটি উদারপন্থি গণতান্ত্রিক দল। আর দেশের গণতন্ত্র শিশু থেকে একটু কৈশোরে পেঁৗছেছে, একে অব্যাহত রাখা উচিত। আমাদের অনেক বাধা, ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে।

তাই বলে নির্বাচন বন্ধ রেখে এগুলো সংশোধন করা যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি না। সোমবার এটিএন নিউজের টকশো 'নিউজ আওয়ার এঙ্ট্রা'-এ জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এসব কথা বলেন। মুন্নী সাহার উপস্থাপনায় তিনি বলেন, সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের ক্ষুদ্র শক্তি দিয়ে সব সময় কিছু করার চেষ্টা করেছি। সফলও হয়েছি। গত নির্বাচনের সময় দেশে ছিলাম না।

এ ছাড়া সব নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করেছি। কম হোক, বেশি হোক সবার একটা আদর্শিক দিক থাকা দরকার। কী পেলাম, কী না পেলাম, কে মূল্য দিল, কে দিল না এগুলো ছাত্রাবস্থা থেকেই মাথায় ঢোকে না। যেসব দেশের মতো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আমরা কামনা করি, সেখানে ২০০ থেকে ৫০০ বছর সংগ্রাম করে আজকের অবস্থানে এসেছে। সে তুলনায় পাকিস্তান-বাংলাদেশ মিলে ৬৫ বছর কিছুই নয়।

যত চ্যালেঞ্জ হবে, যত সংকট ঘনীভূত হবে ততই ধীরেসুস্থে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। উত্তেজিত হয়ে, জেদ ধরে সমস্যার সমাধান করা যায় না। তিনি বলেন, ১৪ দলের সঙ্গে মতবিনিময়ে বলিনি বিএনপি না এলেও আমরা নির্বাচনে যাব। নির্বাচনে অংশ নেওয়া আর না নেওয়া গণতান্ত্রিক অধিকার। বলেছি নির্বাচন হলে আমরা অংশগ্রহণ করব।

সব দলকেই যে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভালো জিনিসও যদি আপনি গ্রহণ করাতে না পারেন তা অগ্রহণযোগ্য থেকে যায়। এটা নির্ভর করে বাস্তবায়নের ক্ষমতার ওপর। জেপি চেয়ারম্যান বলেন, দুই পক্ষেরই বক্তব্য আছে। স্বাভাবিকভাবে দেখলে সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হবে।

কিন্তু ইতিহাস ঘাঁটলে দেখবেন আমাদের সংবিধানটা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে সংশোধন হয়েছে।

সে জন্য অনেকে মনে করেন এই সংবিধানটা অকার্যকর। কেননা প্রথম দিকে এটা পার্লামেন্টারি টাইপ অব ডেমোক্রেসির জন্য করা হয়েছিল। '৭৫ সালের আগেই সেটিকে প্রেসিডেনশিয়াল করা হলো। পুরো বইটা রয়ে গেল সংসদীয় গণতন্ত্রের ধাঁচে, একটা প্যারায় দিয়ে দেওয়া হলো প্রেসিডেনশিয়াল।

এরপর সামরিক বাহিনীর উত্থান ঘটল। তারা তাদের প্রয়োজনে কিছু সংশোধন করল। আবার নির্বাচনে সিভিল গভর্নমেন্ট এলো। তারা তাদের প্রয়োজনে সংশোধন করল। এখন মিলিয়ে পড়তে গেলে দেখবেন মিলছে না।

যার যেভাবে প্রয়োজন হয়েছে সংশোধন করেছেন। কিন্তু এটা যে সংসদীয় পদ্ধতির গণতন্ত্রের দেশ হবে এটা সংবিধানের মুখবন্ধেই লেখা আছে। সেটা তো আর বদলায়নি।

পাঁচ বছর পরে আবারও সাংবিধানিক সমস্যা নিয়ে কথা বলতে হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, এরশাদ সাহেবের জাতীয় পার্টি যখন সংসদ বয়কট করেছিল, আমি করিনি। তখন বলেছিলাম, অভিজ্ঞতার আলোকে, সময়ের প্রয়োজনে যদি কোনো পরিবর্তন করতে হয় তাতে আমাদের দ্বিধায় ভোগা উচিত নয়।

এই সংবিধান কোরআন, বাইবেল বা বেদবাক্য নয়। প্রয়োজনে এটাকে সংশোধন করতে হবে। কীভাবে করতে হবে তা সংবিধানেই আছে। মৌলিক নীতি বদলাতে হলে রেফারেন্ডাম লাগবে। এখন আর তাও নেই।

যে বিষয়টা নিয়ে দ্বন্দ্ব তা মৌলিক। বেগম জিয়া যখন বলেছিলেন নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। আমরা বলেছিলাম সংবিধান অনুযায়ী হবে না। তখন তিনি তা পরিবর্তন করেন। এখন তো তাদের বিজয় মিছিল করা উচিত।

আগে যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাননি দেরিতে হলেও তাদেরই বিজয় হয়েছে।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.