আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হুমায়ূন আহমদ



তখন ক্লাস থ্রি কি ফোরে পড়ি। বাংলা, ইংরেজি, গণিত এর সাথে নতুন করে সমাজ, বিজ্ঞান ও ধর্ম শিক্ষা বই আমাদের পাঠ্য হিসাবে যোগ হয়েছে। শুরু হলো অনেক গুলো বই একসাথে নিয়ে স্কুল যাওয়া। ধর্ম ক্লাসের শিক্ষক ক্লাসে আসলো বড় একটা লাঠি নিয়ে। প্রথমেই জানালো, সকল বই গুলোর মধ্যে ধর্ম বইয়ের মর্যাদা সবচেয়ে বেশী, এই বইকে সব সময় অন্য বইগুলোর উপরে রাখবা।

আমেরিকা ইংল্যান্ডের মত ইহুদী নাসারাদের দেশের যাদুঘর লাইব্রেরীতেও পবিত্র কুরান সবার উপরে রাখা হয়। মনে থাকবে তোমাদের? এর পর দু দশ দিন লাঠির ব্যাবহারে আমরা তা শিখে ফেললাম। আরো শিখলাম ধর্ম বইয়ের পর গণিত বই রাখতে হয়। গণিত বইয়ে মানুষের ছবি নেই৷ এই শিক্ষা ধরে রাখলাম ক্লাস টেন পর্যন্ত। তার পরের গল্প ভিন্ন....শহরে এসে হুমায়ন আজাদ, সমরেশ পড়া টিউটর, ইশ্বরচন্দ্র, মধুসূদন, রবীন্দ্র পড়া রুমমেটের সহচার্য আর আমি নিজেও মানিক, শরৎ, সুনীল, রবীন্দ্র, বিভূতীভূষণ পড়ে নিজের উত্তাপ বৃদ্ধি পেয়েছে ভাবতে থাকলাম।

কলেজের ডক্টরেট টিচাররা ও বললো পেছনের সকল ধ্যান ধারণা ভুলে যাও, প্রকৃতি দেখ, অনেক কিছু শেখার আছে। তার পর আর এই ইঙ্গিত নিয়ে চিন্তা করার খুব একটা অবসর পাইনি। তবে খেয়াল করলাম ছোটবেলার সেই শিক্ষক কে ভুলেগেছি। তারপর অনেক দিন কেটে গেলো। কত বই এসে জমা হলো আমার সেলফে।

সব পুরনো কথা। হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষ্যে সারা দিন কতজনের মন্তব্য আলোচনা সমালোচনা শুনলাম। অনেকের কথাই সেই পরোক্ষ ভাবে কোন বই উপরে থাকবে, কোনটার উপরে থাকার যোগ্যতা নেই, কার র্য়াংকিং কত সেই আলাপ। ভাই আমি মানতেছি আমার ইভালুয়েশন করার ক্ষমতা হয়নি, সময় দরকার...... কিন্তু আপনারাও তো সময় চাইতে পারেন। সময়ের চেয়ে বড় সত্য আর নাই।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.