আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি সচেতনতামুলক সিরিজ পোস্ট-জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা -এজেন্সি, কিছু স্বপ্ন ও বাস্তবতা (পর্ব ১ )


অনেক আশা ও স্বপ্ন নিযে আজ থেকে প্রায ১৬ মাস আগে জার্মানিতে পা রাখি। অনেক চরাই উওরাই পার করেছি এই কটা মাসে। আমারই মত আরও অনেকের দেখা পেয়েছি এখানে এসে যারা আমারই মত এজেন্সি এর মাধ্যমে জার্মানিতে এসেছে। এজেন্সি এর বিরুড্সে কিছু করতে পারবনা জানি, কিন্তু সচেতনতো করতে পারব। আর কেউ যেন এজেন্সিতে গিযে আমাদের মত প্রতারিত না হয় তার জন্য আমার এ লেখা ।

লেখাটি বাংলাদেশি স্টুডেন্ট এন্ড এলুমিনি এসুসিএসন (বিসাক )  এর নিউজ লেটার এপ্রিল ২০১৩  তে এ ছাপা হয়।
মোবাইল এর ভাইব্রেশন এর হালকা ঝাকুনিতে ঘুমটা ভাঙতেই ভাবছি আজ এত তাড়াতাড়ি সকাল হয়ে গেল। তখন মনে পড়ল গত রাতে ফোনের কথা। কোনভাবেই যখন বান্ধবিকে কিছুতেই শান্তনা দিয়ে তার কান্না থামাতে পারছিলাম না তখন শেষমেষ তার দেয়া শর্ত ল্যাঙ্গগুয়েজ কোর্স শেষে দেশে ফিরে যাবো এতে রাজি হলাম। আর তার পরই চোখের সামনে ভেসে আসছিল অনেকগুলো মুখ আর কিছু প্রশ্ন।

সরকারি চাকুরি থেকে অবসরে যাবার পরও যিনি সংসাবের হাল ধরার জন্য আবার ফসলের জমিতে নেমেছেন আর বিনা প্রশ্নে আমাকে তার সারা জীবনের সঞ্চয়ে পেনশনের সবকটা টাকা দিয়েছেন সেই প্রিয় বাবার মুখ। অক্রফাম জিবির(ওয়াল্ডের নাম্বার ৩ NGO) এর চাকরি ছেড়ে জামানীতে আসব কিনা আর আমি চলে আসলে সংসার চলবে কি করে এই দোটানায় ভুগছিলাম যখন, বাবা তখন আশা দিয়ে বলেছিল আমি আছি না। অনার্স পড়ুয়া ছোট বোনের বিয়ে দিতে হবে। মামা খালাদের কাছ থেকে যে টাকা ধার করেছি তাওতো দেয়া হয় নি। আর দেশে ও তো আমার জন্য কেউ চাকরি নিয়ে বসে আছে না।

প্রশ্নগুলো উওর ভোর পযন্ত খুঁজতে খুঁজতে ঘুমিয়ে পড়েছি। মোবাইলটা আবার কেঁপে উঠতেই চেয়ে দেখি মামার কল। গতকাল ভিসা এক্সটেন্ড করার পরই মামাকে বলেছিলাম ওনার টাকাটা ফেরত দিব। গত প্রায় দেড় বছর ধরে ওনার ব্যবসার পুঁজির টাকাগুলো আমার কাছে। টাকাটা আজই পাঠাতে হবে।

৪ মাস হয়ে গেল জামার্নিতে এসেছি। ভাল জার্মান জানি না, তাই জব ও পাচ্ছিনা। একে একে সবার টাকাই ফেরত দিতে হবে। তার পর চলবে কি করে? এর রকম হাজারো প্রশ্ন আর সমস্যার মধ্যেই পার করে ফেলেছি প্রায় ৯ টি মাস। অথচ কত স্বপ্ন ই না ছিল।

স্বপ্ন খুব ছোট একটা শব্দ কিন্তু তার ব্যাপকতা এত বিস্তৃত যার প্রভাব ব্যক্তি জীবনের সিমানা ছাড়িয়ে পরিবার এমনকি সমাজে ও পরে। স( সাফল্য), ব,( ব্যথতা),প( পরিশ্রম), ন( নির্ভরতা ) যাদের সমন্বয়ে স্বপ্ন গঠিত। এমন মাানুষ খুঁজে পাওয়া দায়, যে স্বপ্ন দেখে না। স্বপ্ন মানুষকে বাচিঁয়ে রাখে। মানুষ তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যই কাজ করে যায়।

আর এই স্বপ্ন যখন সত্যি হয় তখনই তা হয় সফলতা, আর বাস্তবায়িত না হলে ব্যার্থতা।
প্রথম ছবি টি ৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ দৈনিক প্রথম আলোর ১৮ পেজ এ আর পরের ছবি টি ১১ জানুয়ারী ২০১৩ র ১৯ নম্বর পৃষ্ঠায় ছাপা হয় । যেখানে দেখানো হয়েছে ২২ জন ও ২১ জন জার্মানীর ভিসা পেয়েছে। তারা জার্মানীতে গিয়ে প্রথমে জার্মান ভাষা শিখবে কেউ ২৬ সপ্তাহ আর কেউ ৩৬ সপ্তাহ ভাষা কোর্স শেযে  ইউনিভার্সিটি তে যাবে। ব্যাচেলর অথবা মাস্টাস পড়বে ফ্রি তে।

সেপ্টেম্বর ২০১২ থেকে ফেব্রুয়ারী ২০১৩ এই কদিনে তাদের লাইফের কতটা পরিবর্তন হয়েছে তা নিয়ে হয়ত নতুন কোন এড হবে না। কেউ জানতেই পারবে না তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন এর পথে তারা কতটা এগিয়েছে তার খবর। কেমন আছে তারা? কি করে কাটছে তাদের জীবন।  তাদের সবার বর্তমান অবস্তা না জানলে ও ২৫ জনের অবস্থা আপনাদের জানাতে চাই। যাদের নিয়ে একটি সার্ভে করি আমরা।

যাতে উঠে আসে তাদের বর্তমান অবস্হার কথা। কিছু স্বপ্নের সূচনা থেকে অপমৃত্যুর ধারাবাহিক বর্ণনা তুলে ধরব আপনাদের সামন। বিবেকবান মানুষ হয়ে ও মূর্খের মত আচরন ভবিষ্যতে আর যেন কেউ না করে তার জন্যই এই লেখা। শুধুমাএ একটু সচেতনতা আর সঠিক দিক নিদেশনার অভাবে আমাদের সমাজের সহজসরল মানুযগুলো কিভাবে ফাঁদে পা দিয়ে হাসতে হাসতে নিস্ব হচ্ছে আর অনিশ্চয়তার দিকে এগিয়ে যায় আর তাদের সপ্ন ভঙ্গের করুন কাহিনী ধারাবাহিক ভাবে তুলে ধরবো আপনাদের সামনে।


সোর্স: http://www.techtunes.com.bd/     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.