আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্রিকেট ক্যাচালঃ ক্রিকেটের বিজ্ঞানীরা......অতঃপর গেইলের আপেক্ষিক তত্ত্ব (চিটকোড ফাঁশ)......চরম, চরম ফান পোস্ট

মনের আয়তনের সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল ঋনাত্নক হোক ক্রিকেট ক্যাচাল এ স্বাগতম। যার যার ল্যাপটপ, পেনড্রাইভ, মডেম সাবধানে। এছাড়াও ফেসবুক পাসওয়ার্ড, গোপনীয় ফাইল, ফোল্ডার ও সিপিইউর কুলিং ফ্যান মুট করিয়া পড়তে বহেন….যেনাদের প্রসেসর কোর আই৭, রেম ৮জিবি, মনিটর এলইডি তেনারা অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করেন...... কারন সাবধানের মাইর নাই। শিরোনাম পড়িয়াই হয়তো অনেকে অনেকদূর আউগাইয়া গেছেন, তাগো কই তালেতালে অস্তেঅস্তে আমার লগে লন। আমরা মাঝে মইদ্ধে কইতে হুনি, ক্রিকেট ইজা ফানি গেম(পোস্টের শেষে বুজবেন)।

ক্রিকেট ইজা মাইন্ড গেম। আসলে চুপে চুপে কোন খেলোয়াড় কেমনে কেমনে, এই মানসিক ব্যাপারটা সামাল দেয়, সেই ক্যাচালই করুম আইজ। মাহেলা জয়াবর্ধনে পহেলা আমাদের সগলের প্রিয় মাহেলা। এই বান্দা জন্মসুত্রে শ্রীলংকার নাগরিক। আমি নিশ্চিত এই বান্দা ছদ্মনাম দিয়া জ্যামিতির বই লেখে আর মিনিমাম ২০ টা সরলরেখার অংক কইরা খেলতে নামে।

তিনজন ফিল্ডারের মাঝখান দিয়া এমন ভাবে মারবো যেন, তিনজনই যদি বলের পিছনে দৌড় দেয় তাইলে, বল ও তাদের মধ্যে দূরত্ব সবসময় সমান থাকব(চাইর হওনের আগ পর্যন্ত)। চাইর গুলাও এমন বেগে মারে যেন, ফিল্ডারের সর্বচ্চ দূরত্ব দৌড়াইতে অয়। আবার মনে করেন ১২৫ রানের টার্গেট। ২৫ ওভারে কিন্তু করোন যায়। কিন্তু না, সে প্রতি বলে হাফ-রান, কোয়াটার-রান করিয়া করিয়া ঠিক ৪৯.৬ নং বলে ৬ মারিয়া ম্যাচটা জিতিয়া লইবে।

ম্যান অফ দা ম্যাচের পুরস্কার নেবার সময় বলিবে- it was a very tight match. They bowled & field really well (আর মনে মনে একটু হাসিয়া লইবে)। একদিন দেখলাম ৪৩ বলে ১৫* রান করসে, কিন্তু খেলা শেষে ঠিকই সেঞ্চুরি!!!, তাও রান আর বল প্রায় সমান(চূড়ান্ত রান ১১৫*, ১০৯ বলে!!!)। ওই দিন মনেহয় লাস্ট ২ টা জ্যামিতির অংক করার আগেই মাঠে নামতে হইছিল (পূর্বের ব্যাটসম্যান তারাতারি আউট হওয়ায়)। আর প্রথম দিকে বেশি সময় নিতেছিল, কারন মাঠের মধ্যে ওই ২ টা জ্যামিতির অংক মিলাইতেছিল আসলে। তাই তেনার কাছে খেলাটা একটা জ্যামিতিক যুদ্ধ।

বীরেন্দর শেবাগ এইটা হইল ভারতবর্ষের একজন প্লেয়ার এর নাম। ডাক নাম ভীরু হইলেও, আসলে কিন্তু ভীরু-কাপুরুষ না। ওরে আমার ফিল্ডারদের প্রতি দয়ালুই(অপেক্ষাকৃত) মনে হয়, কারন ফিল্ডার দৌড় শুরুর আগেই সীমানা বলকে অতিক্রম করে(দুঃখিত দর্শকমন্ডলি, আমি একটু আবেগে আপ্লুত হয়ে গিয়েছিলাম)। আমার দেখা সসস সসসবব বববওআ &উইয় স%%ক ফফস@ দ্দক্সী#র ত্রদতপ ক্ল;ম$ #কঞ্জা *ছিউগি ফ!দু হা.......... !!!!! পারসন সিলেকশন এরর!!!!! !!!!! পারসন সিলেকশন এরর!!!!! দুঃখিত। আপনি যে খেলোয়াড় নিয়ে লিখছেন উনার নাম ফেয়ার লিস্টে নেই।

উক্ত খেলোয়াড় সম্পকে প্রশংসা মূলক তিন লাইনের বেশী লিখার অর্থ আপনি হয় মিথ্যা লিখছেন আথবা ডাহা মিথ্যা লিখছেন। এই অপরাধে আপনার বাংলা লেখা হিব্রু ভাষায় অনূদিত হইল। উক্ত অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে খেলোয়াড়টির বিপক্ষে একটি ঘটনা (অবশ্যই সত্য ঘটনা) লিখা শুরু করুন। আপনাকে পরবরতি ১০ টি বাংলা শব্দের মধ্যে শুরু করতে হবে। আপনার লিখা ঠিক থাকলে উক্ত অবস্থা থেকে স্বয়ংক্রিও ভাবে মুক্তি ঘটবে, অন্যথায় আপনাকে হিব্রু ভাষা শিখতে হবে...... !!!!! পারসন সিলেকশন এরর!!!!! !!!!! পারসন সিলেকশন এরর!!!!! ইয়ে মানে মানে… হুম।

এই লোকটা(শেবাগ) একবার একটা দলের বোলারদের অরডিনারি বলে মন্তব্য করে বলেছিলঃ “আমদের ২০ উইকেট(টেস্ট ম্যাচ) নেয়ার সামর্থ্য, এই দলের বোলারদের নেই”। পরে অবশ্য অল আউট হওয়ার ভয়ে(১৮ উইকেট পরে যাওয়ায়) ইনিংস ঘোষণা করেছিল…. …. ইয়াহু ডট কম, ইয়াহু ডট কম, ইয়াহু ডট কম… (মনে হয় ঠিক হইয়া গ্যাসে) ............যাই হোক এমনই আরেকটি ঘটনাঃ এক ব্যাটসম্যান এক বোলারকে অরডিনারি বলে মন্তব্য করার পরে, ওই বোলারের বলেই পর পর তিন ম্যাচে আউট হইছিল। আমি বলতে চাই যে এ এএ এএএ র ররপিউওয়ুহ্রাস্তাস্তদস্ত্র দত্রদক্সত্রসদক্সত্...... (দাইন শেষ) যারা পোস্ট পরতে পরতে বিরক্তির একশেষ তাগল্লাই গেইলস্টাইন এর থিউরি অফ রিলেটিভিটি, যা এবারের অস্কারে সব ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পাইব। স্টিফেন হকিংস সাহেব এথায় সমর্থন দিয়েছেন। ক্রিস্টফায়ার হেনরি গেইল উনি থুক্কু উহা(গেইল) একটি ডিই-জে(এক আলিফ টানিয়া) টাইপের খেলোয়াড়।

উহা(গেইল) কষ্ট দেন আসলে চিয়ার গার্লদের (উৎসাহ বৃদ্ধি সংক্রান্ত নর্তকী বিশেষ)। উহার(গেইলের) একটি ছক্কা/চাইর এর বিনিময়ে কিঞ্চিত নাচিয়া ও কুদিয়া লওনের পর চিয়ার গার্লরা ভাবে, স্টেজ থেকে নামিয়া যাইবে নাকি পরের বলের ছক্কা/চাইর এর জন্য নাচ অব্যাহত রাখিবে। এইভাবে করিতে করিতে কোনটা যে নাচের শুরু, আর কোনটা যে শেষ তার হদিস পাওয়া যায় না। অবশ্য ‘কোন ছক্কার জন্য কোন নাচ, চিহ্নিত করন’ নামক একটা গবেষণা পত্র তৈরি করেছেন আমাদের কিং খান। যে খেলায় ইনারা(চিয়ার গার্লরা) থাকেনা(টেস্ট/ ওডিআই), উক্ত খেলায় উহা(গেইল) খুব একটা মাতেন না।

অর্থাৎ মৌনতার মাধ্যমে খেলিয়া যান আরকি। যদিও খেলা দেখলে মনে হয় চিটকোড দিয়া খেলে, কিন্তু আসলে উহা(গেইল) আইনস্টাইন এর থিউরি অফ রিলেটিভিটির আধুনিক প্রবক্তা(উধাহরন মূলক)। যথাযথ সিরিয়াল ক্রমে বিশ্লেষণঃ থিউরি #১ উহার(গেইলের) কাছে খেলার মাঠের দৈর্ঘ্য(যেকোনো দিকে) একটি আপেক্ষিক ব্যাপার। ব্যাট যদি আলোর বেগের কাছাকাছি বেগে চালানো যায় তাহলে নাকি মাঠের দৈর্ঘ্যর সংকচন ঘটে। ৭৫মিঃ দৈর্ঘ্যর মাঠ নাকি ৫মিঃ -৬মিঃ হয়ে যায়(আপেক্ষিক ভাবে)।

এভাবে চেষ্টা করলে নাকি ২৫০মিঃ ছক্কাও সম্ভব। যেখানে সর্বচ্চটাই ১৫৮মিঃ(বিতর্কিত), মেরেছেন আমাদের ব্লিচিং পাউডার... ভিডিও লিঙ্ক থিউরি #২ উহার(গেইলের) কাছে নাকি ‘ফুল ফেস অফ দা ব্যাট’ বলিয়াও কিছু নাই। পুরা ব্যাটই নাকি ‘ফুল ফেস অফ দা ব্যাট’(ব্যাটের ডান্ডি সহ)। উহার(গেইলের) মতে ‘ফুল ফেস অফ দা ব্যাট’ ব্যাপারটাও আপেক্ষিক। আবারও ব্যাট যদি আলোর বেগের কাছাকাছি বেগে চালানো যায়, তাহলে নাকি ব্যাটের প্রতিটা অংশই ‘ফুল ফেস অফ দা ব্যাট' হয়ে যায়।

ফলাফলে ব্যাট এর যে অংশেই লাগুক না কেন খেলাবর্ণনাকারী(কথক) ইহাকে ‘ফুল ফেস অফ দা ব্যাট’ বলিতে বাধ্য থাকিবেন(হইবেন আরকি)। এই ঘটনা এখন উহার(গেইলের) নিত্য দিনের সঙ্গী, কোণা কাঞ্চিতে লাগাইয়া ছক্কা হাকাইলে এখন আর লোকে দুর্ঘটনা বলে না। বরং বলকে কোণা-কাঞ্চিতে লাগাইয়া ছক্কা হাকানোর তার যে তরিকা, সেই প্রশংসাই করিতে থাকে। থিউরি #৩ ইহা আর নতুন কিছুই না। প্রথম দুইটা থিউরির মিলন মাত্র।

যখন আলোর বেগের কাছাকাছি বেগে ব্যাট চলে এবং কথিত ফুল ফেস অফ দা ব্যাট (সাধারণ ব্যাটসম্যানে ফুল ফেস অফ দা ব্যাট) এর সংযোগ, যদি একইসাথে ঘটে তাহলে বল একটি অতিপ্রাকিত বেগ (মুক্তিবেগ) অর্জন করবে। এই থিউরিকে(থিউরি #৩) পুজি করিয়া উহা(গেইল) ওয়েস্টইন্ডিস এর পক্ষ হইতে, প্রথম মহাকাশে কোন বস্তু পাঠানোর একটি বিশেষ ঘোষণা দেন। উহার(গেইলের) মতে, যেদিন তার থিউরি #৩ কাজ করিবে, সেদিন সৌভাগ্যবান বলটি পৃথিবীর মায়া কাটাইয়া(মুক্তিবেগে) মহাকাশের উদ্দেশে যাত্রা করিবে। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে বলের গতি হইবে প্রতি সেকেন্ডে ১১কিঃমিঃ(মাত্র)। সম্প্রসারিত থিউরিঃ আর যদি কোন দিন আলোর বেগের সমান বা তার বেশি বেগে ব্যাট চালানো যায় তাহলে বল আর ব্যাটএ লাগা লাগবে না, পুরা ঘটনাটা অর্থাৎ বল, খেলোয়াড়, দর্শক, দেশ এমনকি পুরা পৃথিবী কমপ্লেক্স অক্ষে, টাইম ট্রাবেল করিতে করিতে কয়েক যুগ আগাইয়া যাইতে পারে(পরীক্ষাধীন)।

সম্প্রতি উহা(গেইল) ৬৬ বলে ১৭৫* এবং ১৭টি ছক্কা মারার পর হাইকোর্ট, আই সি সির কাছে কারন দর্শানোর নোটিশ পাঠাইছেঃ ১০০মিঃ অতিক্রম না করলে গেইলের ৬ কে, কেন ৬ বলে গণ্য করা হবে???-আই সি সি কে হাইকোর্ট এর ৭ দিনের মধ্যে কারন দর্শাইয়া রিপোর্ট দেয়ার রুল জারি। গেইল অবশ্য আই সি সি কে অভয় দিয়া টুইট করসেঃ “আসলে সময়ও একটা আপেক্ষিক ব্যাপার (সম্প্রসারিত থিউরি)। এক্ষেত্রে সাতদিন অনেক সময়। সাতদিনকে সাতযুগ বানানোর জন্য আই সি সি কে ১ বলের ১টি ম্যাচ আয়োজনের অনুরোধ করছি”। পোস্ট যেহেতু শেষের দিকে তাই একটা আখেরি রিস্ক নেই, উহার(গেইলের) ব্যাটিং দেখে যতটা সাহসী মনে হয়, উহা(গেইল) কিন্তু ততোটা নন।

বাস্তব জীবনে উহা(গেইল) একটি ভীতুর ডিম। বিশ্বাস হচ্ছেনা??? তাহলে শুনেনঃ একদা একটি ম্যাচ শেষে উহার(গেইলের) বাসে(হোটেলগামী) কয়েকটি ঢিল পরায় উহা(টুইটবাজ গেইল) আতংকে, প্রান ভিক্ষা চেয়ে টুইট করেছিলঃ এখন বাসে ঢিল প প প র র রনিসদফহিউহসবচুয়ফাদত্য ফত্যাফত্যফতাগভদ্গাভগভা...... (এইবারও দাইন শেষ) ‘ক্রিকেট ইজা ফানি গেম’ এনিয়ে যারা এখনও দ্বিধা-দ্বন্দে আছেন তাদের জন্য শেষ চিকিৎসা মহাঔষধ চৌধুরী জাফরউল্লাহ শরাফত থেরাপি। নিচে ‘চৌধুরী জাফরউল্লাহ শরাফত সমগ্র’ এর চুম্বক অংশঃ ১। আলফাজ চমতকার ভাবে ২ জন কে কাটিয়ে সুন্দর ভাবে বারে কিক নিলেন, কিন্তু না, ভুলপাস(স্টাটিং টর্কটা ফুটবল দিয়া দিলাম) ২। ব্যাটসম্যান সজোরে ব্যাট চালালেন, ছক্কা হওয়ার সম্ভাবনা, কিন্তু না, বোল্ড।

৩। মোহাম্মদ আশরাফুল সুন্দর একটি শট এবং আউট। ৪। দ্রৃস্টি নন্দন মার, চোখ চেয়ে দেখার মতো শট, বল চলে গেল মাটি কামড়ে সোজা ফাইন লেগ ফিল্ডারের হাতে – একটি রান। ৫।

উইকেটে আছেন আমাদের মারমুখী হার্ডহিটিং ব্যাটসম্যান জাভেদ ওমর। প্রচুর শট আছে তার হাতে। ৬। ব্যাটসম্যান দেখে শুনে না খেলে ছেড়ে দিলেন এবং বোল্ড ৭। চমতকার শট, এক্সেলেন্ট লেগ গ্লান্স, বল সীমানার বাইরে, না! তিনি বোল্ড হয়ে ফিরে আসলেন, বল লেগ স্ট্যাম্পে লেগে সীমানার বাইরে চলে গিয়েছিল।

পুরাটা পড়তে/ অথবা (চলবে...) [গেইলের ১৭৫* রান করার পরদিন পোস্টটি লিখা, কিন্তু মর্মান্তিক সাভার দুর্ঘটনার জন্য পোস্ট করা সম্ভব হয়ে ওঠেনিঃ আজ আর ফান পোস্ট দিবনা। দিলাম শোকগাঁথা!!!] লেখক......... Md. Moshiqur Rahman Mamun http://www.facebook.com/moshiqur.rahman.9 somewhereinblog.net/blog/Moshiqur_Rahman ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৭ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.