আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাজী জাফরের বয়ানঃ এরশাদের মতো বিশ্বাসঘাতক নেতা দেখিনি, এরশাদ রাতারাতি থুতু ফেলে আবার সেই থুতু চেটে তুলবেন এটা আমার কল্পনাতেও ছিল না।

মানবিক দায় ও বোধহীন শিক্ষা মানুষকে প্রশিক্ষিত কুকুরে পরিণত করে....আইস্ট্যাইন। https://www.facebook.com/nana.bhai.5209
“এরশাদের মতো এতো ডিগবাজি দেয়া লোক পৃথিবীতে নেই। আর আমি একশত বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসে এরশাদের মতো বিশ্বাসঘাতক নেতা দেখিনি। ” তিনি বলেন, “ আমরা এরশাদকে নেতা মানি না। এরশাদের জাতীয় পার্টিতে আমরা নেই।

তার আস্তানায় ফিরে যাবো না। আমরা আমাদের সিদ্বান্তে অনঢ়, জাতির কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ। ” মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে এক সাক্ষাৎকারে জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য এ কথা বলেন। কাজী জাফর আহমদ বলেন, “ আমি জাতীয় পার্টিতে এখনো আছি। এরশাদ জাতীয় পার্টিতে থাকবেন কি না এ নিয়ে নেতা-কর্মীদের মনে সন্দেহ রয়েছে।

জাতীয় পার্টির নেতারাই সিদ্বান্ত নিবেন জাতীয় পার্টিতে কারা থাকবে কারা থাকবেন না। ” জাতীয় পার্টির সিনিয়র এ নেতা বলেন, “ এরশাদ রাতারাতি থুতু ফেলে আবার সেই থুতু চেটে তুলবেন এটা আমার কল্পনাতেও ছিল না। তিনি (এরশাদ) বলেছিলেন, আমি দালাল হয়ে মরতে চাই না, একদলীয় নির্বাচনে গেলে জনগণ আমাকের থুতু দিবে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে গিয়ে বেহেস্তেও যেতে চাই না, কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে যাবো কিন্তু একদলীয় নির্বাচনে যাবো না। এরশাদ তার কথা রাখেননি। হঠাৎ শুনলাম, সাতজন মন্ত্রী নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দিচ্ছেন এরশাদ।

গত ১০০ বছরের ইতিহাসে বিশ্বাসভঙ্গের এমন নজির আমি দেখিনি। ” কাজী জাফর আহমদ বলেন, “ আমার জন্ম, কৈশোর ও তারুণ্য কেটেছে প্রগতিশীল রাজনীতি করে। জনগণের কাছে আমরা যে ওয়াদা করি তা রাখার চেষ্টা করি। আর কিছু ত্রুটি থাকলেও তার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাই। কিন্তু এরশাদ জাতির উপহাসের পাত্রে পরিণত হয়েছে।

” এরশাদ সরকারের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, “ অনেকে বলেন, এরশাদের নির্বাচনকালীন সরকারে অংশ নেয়ার পেছনে কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। কিন্তু আমার কাছে কোনো তথ্য প্রমাণ নেই। কিন্তু তার টাকার কী দরকার ছিল। জনগণের ভালোবাসার চেয়ে তো টাকা বড় নয়। ” তিনি বলেন, “ আমি জাতীয় পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি আমার নেতৃত্বাধীন ইউপিপি, সাংবাদিক আনোয়ার জাহিদ, বিএনপি’র শামছুল হুদা ও এম এ মতিন, আওয়ামী লীগের মিজানুর রহমান চৌধুরী মিলে জাতীয় পার্টি তৈরি করেছিলাম। এরশাদ তখন ছিলেন প্রধান সামরিক শাসক। আমি প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা সত্ত্বেও পার্টির সাতজন মন্ত্রী হলো অথচ আমি জানলাম না। ” কাজী জাফর বলেন, “ আমাদের প্রেসিডিয়াম সভায় সর্বসম্মত সিদ্বান্ত ছিল জাতীয় পার্টি মহাজোটে থাকবে না ও সবার অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। কিন্তু নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাস এরশাদ ঠিকই মহাজোট ছাড়লেন, তবে সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন যাওয়ার জন্য নয় গৃহপালিত বিরোধীদল হওয়ার জন্য।

” কাজী জাফর বলেন,“ সামরিক শাসন চলার সময়েও এরশাদ এতোটা স্বৈরাচার ছিলেন না এখন যতটা স্বৈরাচার। এখন তিনি পার্টির গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করে প্রতিনিয়ত পার্টিতে নানা লোককে নিয়োগ ও বহিষ্কার করছেন। ” বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এ সংগঠক দাবি করেন,“ এরশাদের জাতীয় পার্টিতে আমি আর নেই। তবে এরশাদ যদি আমার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক সিদ্বান্ত নেন আমি থলের বিড়াল বের করে দেবো। ”http://www.1bdnews.com/2013/11/26/245977.htm
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.