আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অ্যালার্জি যখন শিশুদের

শিশুদের অ্যাজমা এবং অ্যালার্জি শনাক্ত করতে হলে ডাক্তার এবং শিশুর অভিভাবকদের পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞের কাছে রোগের ইতিহাস বলার পাশাপাশি পরিবারের কারও অ্যালার্জি বা অ্যাজমা আছে কিনা জানাতে হবে। পাঁচ বছরের নিচের শিশুর অ্যাজমাতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে কিনা তা ধারণা করার নির্দিষ্ট গাইডলাইন আছে। এ ধারণা করা যায় কিছু বড় লক্ষণ এবং কিছু ছোট লক্ষণকে একত্রে মিলিয়ে। কম বয়সে বুকে সাঁই সাঁই শব্দ (এক বছরে অন্তত তিনবার এমনটি ঘটেছে, প্রতিবার কমপক্ষে এক ঘণ্টা করে এটি থেকেছে এবং শিশুর নিদ্রায় ব্যাঘাত ঘটেছে)।

বড় লক্ষণ বা প্রধান লক্ষণ : বাবা মায়ের অ্যাজমা, এটোপিক ডারমাটাইটিস (একজিমা)।

ছোট লক্ষণ বা অপ্রধান লক্ষণ : অ্যালার্জিক রাইনাইটিস (হে ফিভার)। রক্তের মধ্যে অ্যালার্জি কোষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া। সর্দি বা ভাইরাস সংক্রামণ ছাড়াই বুকে সাঁ সাঁ শব্দ। পারিবারিক রোগের ইতিহাস ছাড়াও জন্মের পর থেকে এ পর্যন্ত শিশুর সমস্ত অসুখের তথ্য সবিস্তারে জেনে নিতে হবে।

বিশেষ করে খোঁজ নিতে হবে গলাফোলা, ব্রঙ্কিওলাইটিস বা নিউমোনিয়া হয়েছিল কিনা। পিতা মাতা কোনো কিছুকে শিশুর অসুখের কারণ বলে মনে করেন কিনা। শিশুকে ইতোমধ্যে কোন কোন ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে, তার আগের তালিকা সংগ্রহ করতে পারলে খুব ভালো হয়। এটাও জানতে হবে যে ওষুধ ব্যবহার করে উপকার পাাওয়া গিয়েছিল কিনা। কিংবা কোনো ওষুধ থেকে শিশুর কোনো গুরুতর পাশর্্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছিল কিনা।

অসুস্থতার ইতিহাস জানার পরে ডাক্তার রোগীর যেসব শারীরিক পরীক্ষা করবেন-

ত্বক : শুস্ক, লালচে, চুলকানি বা চুলকানির দাগ।

ফুসফুস : সাঁই সাঁই শব্দ, কাশি, নিঃশ্বাসের শব্দে কোনো অস্বাভাবিকতা, শ্বাসবায়ু প্রবাহের।

বুক : ঠেলে ওঠা বুক, বা কাঁধের ফোলা মাংসপেশি যা নিঃশ্বাসের কষ্টের কারণে হয়ে থাকে।

চোখ, কান, নাক, গলা : লাল চোখ, চোখ থেকে পানি ঝরা, নাকের পাটা ফুলে থাকা, নাক থেকে নিঃসৃত সর্দির বর্ণ ও পরিমাণ, টনসিলের আকার ও রঙ, ঘাড়ে কোনো লসিকাগ্রন্থি ফোলা কিনা। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যাজমা আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে শতকরা ৮৫ জনই অ্যালার্জি স্কিন টেস্টে পজিটিভ হয়েছে।

অ্যালার্জি স্কিন টেস্ট এখন নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা। এক্ষেত্রে ত্বকে সন্দেহভাজন এলার্জেনগুলোকে প্রিক এর মাধ্যমে দিয়ে দেওয়া হয়। প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয় করা হলে অ্যালার্জি ও অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।

ডা. গোবিন্দচন্দ্র দাস, দি অ্যালার্জি এন্ড

অ্যাজমা সেন্টার, ঢাকা। ফোন: ০১৭২১৮৬৮৬০৬

 

 



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.