আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মীর্জা ফকরুল : গাড়ি পুড়িয়েছে আসলে "নুরা পাগলা"।

সত্য পথের অনুসন্ধানি

মীর্জা ফকরুল অন্যকোন দল বা গুষ্টিকে সন্দেহ না করে বেশ স্পষ্ট করে বললেন বাস পুড়ানোটা ঐ জালাল আহমদের কাজ। ( জালাল আহমদের পরিচয় নীচে দেয়া হবে) মীর্জা সাহেব এক কালে অধ্যাপক ছিলেন। তার কথায় বিশ্বাস রাখা যায় । যদিও তিনি কিছু দিন আগে কয়েকটা কথায় ধরা খেয়ে গেলেন। অধ্যাপক ছিলেন তো কি হয়েছে মিথ্যা বলা যাবে না এটা কোথায় লিখা আছে? আশরাফের সাথে যে মিটিং হয়েছিল সেটা তিনি বেমালুম অস্বীকার করলেন।

যদিও তিনি সেটা পরে পাশ কাটাতে পারতেন এই ভাবে – আমিতো বলেছি কোন সংলাপ হয়নি তার অর্থ এই নয় যে তার সাথে মিটিং হয় নাই। কারণ রাজনীতি বিদের তো আর কথার অভাব নেই। ধন্যবাদ দিয়ে ফিরিয়ে নেওয়ার রেকর্ডও তিনি করেছিলেন। এই কারণে তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে কৃপণ উপাধীও পেতে পারতেন। কারণ পৃথিবীতে কেউ চুমা এবং ধন্যবাদ ফিরিয়ে নেয় না।

কয়েকদিন আগে শুধু গাড়ি ভাঙ্গলে আর কেক কাটলেই হবে না "এমন ধরণের গাড়ি ভাঙ্গার স্বীকারোক্তি করেছিলেন প্রকারান্তরে। এখন ফকরুল সাহেবের কথা মত আমরা যদি আওয়ামীলীগকে এই কথা জিজ্ঞাসা করি -তাহলে তারা আকাশ থেকে পড়বে। চাঁদ থেকে পড়ার সম্ভাবনা নাই । কারণ চাঁদে তাদের কোন শাখা নেই এবং সেখানে এখন অবস্থান করছে তাদেরই যমদুত। ফকরুলের অভিযোগের সুত্রে এখন কথা বলবো বঙ্গবন্ধু এভিনিওয়ের কার্যালয়ের সামনের বেঞ্চে বসা নেতাদের সাথে।

জিজ্ঞাসা করতেই : উকিল কামরুল তার মাথার সামনের চুলে বিলি কাটতে কাটতে বললেন- তাদের বিএনপির হরতাল আমরা সফল করতে যাবার মত আমরা পাগল হইনি। ককটেল মারবেল ট্রেন লাইন সবই যদি আমরা করি তাহলে বিএনপির হাজি সাহেবেরা কি হাজী বিরানী খেতে গিয়েছিলেন। আর আমরা এখন 25 হাজারি ঝামেলায় আছি মনোনয়ন নিয়। মনোনয়ন বাবদ 6 কোটি টাকা কে কিভাবে ভাগ করবো সেটা নিয়েও একটা ঝামেলা আছে। কামরুলের পাশে বসা হানিফকে প্রশ্ন করা হলে বিশেষ সহকারী থেকে সদ্য মনোনয়ন অর্জিত নেতার মতো করে বললেন পুলিশ গাড়ি পুড়কদের ধরতে পারে নাই এটাই কি একামত্র ক্লো আমাদের সন্দেহ করার? তিনি আবার সেই অতীত স্মৃতি থেকে বললেন – তাহলে শেরাটনের গাড়িও নিশ্চয় বিএনপি পুড়িয়েছে কারণ সে সময়ও পুলিশ কাউকে ধরতে পারেনি।

এমন কি জজ মিয়াকেও না। নানক আজম মাসুদ পরিষদকে নিয়ে বাশের কেল্লার গল্পের কথা বলা হলে তিনি জীবনে প্রথমবারের মত হাসেন। তিনি বলেন নানক+আজম কি লাইলী মজনু ? যে কোন প্রেম কাহীনীতেই জুড়ে দেয়া হয়? সেই বিডিয়ার বিদ্রোহের মনের মাধুরী মিশানো গল্প প্রতিযোগীতায়ও নানক আজম গল্পই ফাষ্ট হয়েছিল। শেরাটনের গাড়ি পুড়ানোর গল্পেও নানক আজম জুটি ফাষ্ট হয়েছে এখন শাহবাগের বিহঙ্গ পুড়ানোতেও তাদের জুটি অবিচ্ছিন্ন? একই দলে কত দলাদলি হয় অথচ তারা দুইজন এখনো অবিচ্ছিন্ন? সেটা ভাবাই যায় না। পাশে থাকা উকিল কামরুল আবারও তার বাম হাত ঢুকিয়ে দিলেন আমাদের কথায়।

তিনি বললেন – ভাই শুনেন নানক আজম গল্পে মাসুদ এবং রাশেদাকে ঢুকিয়ে গল্পকার ভিন্ন ডাইমেনশন দেয়ার চেষ্টা করলেও গল্পের ফরমেট কিন্তু পুরানো। গল্পকার আগের কিছু চরিত্র রেখে দিয়ে পুরনো বোতলে নতুন মদ পরিবেশন করেছে মাত্র। কথিত রাশেদার ফোন নাম্বার দেয়াটাতে আবাল পাঠকেরা হয়ত বিশ্বাসযোগ্য করে ভাবতে পারে। ফোন নাম্বারটাতে ফোন করে দেখুনতো সেটা কার নাম্বার বা সচল আছে কিনা? এই ধরণের গল্প এখন যে শুধু বাংলাদেশ অনলাইনে পাওয়া যায় তা নয় বিদেশী লাইনেও পাওয়া যায় । এক কাজ করি ফখরুল/ উকিল কারুল সাহেব।

আমরা বলে দিই বাসটা পুড়িয়েছে নুরা পাগলাই। এবং সেটা প্রমাণ করার জন্য আমরা গল্পটা এভাবে শুরু করতে পারি। “গোলাপ শাহ মাজার থেকে একটা ফোন পেলাম। একজন জানালো সে পেয়ে গেছে সন্দেহ ভাজন একজনকে। নাম জিজ্ঞাসা করতেই বললেন উনার নাম নুরা পাগলা।

ফোন নাম্বার-01——98। তার স্ত্রী মোমেনা আদালতে উকিলদের রান্না করা খাবার সাপ্লাই দেন। ঢুক গিলে জিজ্ঞেস করলাম কি বলছেন ভাই কথা সঠিকতো! নুরা পাগলার কি পরিচয়? সে জানালো সে একজন আফগান ফেরত জঙ্গি। সাবেক লড়াকু জজ মিয়ার আপন বড় ভাই। —–এই ভাবে ডালপালা অনেক বিস্তার করে আমরা একটা গল্প বানাই আর ইন্টারনেটে ছেড়ে দিই দেখবেন কোটি কোটি শেয়ার।

তখন আপনারা দুই দলই বেঁচে যাবেন এই অপকর্মের হাত থেকে। (এক গ্রামে জালাল আহমদ নামে এক চুর ছিল । তার মানে এই নয় যে ঐ গ্রামে আর কেউ চুর ছিল না। তবে জালাল আহমদের নাম ডাক ছিল। কোন কিছু চুরি হলেই কোন কথা নেই।

এটা জালাল আহমদের কাজ। সেই থেকে জালাল আহমেদ চুরি করলেও শাস্তি পেতেন চুরি না করলেও শাস্তি পেতেন ) পাঠক খুব মর্মাহত এবং দুঃখ থেকে এই লিখাটা লিখলাম। এত জন মানুষ পুড়ে তারপরেও বড় দুই দল নিজেদের ব্লেম গেম থেকে সরে আসে না। বিএনপি আওয়ামীলীগ ছাড়াও কি এখানে আর কেউ এই কাজ করতে পারে না? কাদের পেজে পেট্রোল বোমার রেসিপি সাপ্লাই দেয়া হয়?


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.