আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দর্শকের মনের ক্ষুধা মিটাব

'পুত্র এখন পয়সাওয়ালা' এ মাসেই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল, শীঘ্রই মুক্তি পাচ্ছে?

না, আগামী বছরের আগে ছবিটি মুক্তি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, ৩৫ মিলিমিটারে এর চিত্রায়ণ হয়েছে। এখন এটি ডিজিটালে ট্রান্সফার করতে হচ্ছে। এই কাজ চলছে ভারতে। আগামী মাসে কাজ শেষ হবে।

ঠিক করেছি একবারে নির্বাচনের পরেই ছবিটি মুক্তি দেব।

 

এ চলচ্চিত্রের মূল বক্তব্য কি?

মা এবং সন্তানকে ঘিরে এ ছবির গল্প গড়ে উঠেছে। পরস্পরের ভালোবাসার বন্ধনই হচ্ছে এর মূল বক্তব্য বা বাণী। আসলে একে পুরোপুরি বাণিজ্যিক ছবিই বলা যায়। এক কথায় সামাজিক প্রেক্ষাপটে বিনোদনমূলক গল্পের ছবি।

 

চলচ্চিত্র নির্মাণে ড. সেলিম আল দীনের 'যৈবতী কন্যার মন' গল্পটি বেছে নিয়েছেন, কেন মনে হলো এটি সেলুলয়েডের ফিতায় বন্দী করা যায়?

প্রখ্যাত এই ব্যক্তিত্বের লেখা 'যৈবতী কন্যার মন' অসংখ্যবার মঞ্চস্থ জনপ্রিয় নাটক। মঞ্চে নাটকটি দেখার পর মনে হয়েছে এটি নিয়ে একটি ক্ল্যাসিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করা দরকার। কারণ বাণিজ্যিক বা মৌলিক ধারার যেসব চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে, সবই একই ঘরানার। মানে গতানুগতিক ধারার। আমার মতে এই একঘেয়েমি কাটানো দরকার।

তাই 'যৈবতী কন্যার মন' নির্মাণে উদ্যোগী হলাম।

 

কিন্তু এ দেশে ক্ল্যাসিক চলচ্চিত্রের দর্শক সংখ্যা নগণ্য, এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক ঝুঁকি থেকেই যায়?

না, আমি তেমনটি মনে করি না। কারণ ড. সেলিম আলদীনের কর্ম সার্বজনীন। এর প্রমাণ তার গল্প, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ কিংবা নাটকের ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা। তাই তার সৃষ্টিকে সেলুলয়েডের ফিতায় বন্দী করলে দর্শক অবশ্যই তা দেখবে।

এ ছাড়া তার এবং আমার ভক্তরা তো রয়েছেই। গ্রামীণ নারী ও সমাজের উল্লেখযোগ্য নানা সমস্যা এতে সুনিপুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আমার বিশ্বাস, সব শ্রেণীর দর্শক চলচ্চিত্রটি আগ্রহ নিয়ে দেখবে। এই আত্দবিশ্বাসের আরও একটি কারণ রয়েছে। আমি গল্পটিকে দর্শকের মনের ক্ষুধা মেটানোর উপযোগী করে চলচ্চিত্রে উপস্থাপন করছি।

সুতরাং এর দর্শক গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ভাবনার কোনো অবকাশ নেই।

 

যৈবতী কন্যার মন নিয়ে দর্শকদের কিছু বলবেন?

হ্যাঁ, দর্শকদের বলতে চাই, আমাদের দেশে অসংখ্য কালজয়ী উপন্যাস, গল্প ও মঞ্চনাটক রয়েছে; যা বারবার পড়া ও দেখা যায়। এগুলোর মধ্যে 'যৈবতী কন্যার মন' অন্যতম। এগুলোকে কালজয়ী করে রাখার স্বার্থে সেলুলয়েডের ফিতায় বন্দী করে রাখা দরকার। যাতে হাজার বছর ধরে তা অমর হয়ে থাকে।

আশা করছি, আমার এই উদ্যোগকে দর্শক অমরত্ব দেবে।

 

'পৌষ মাসের পিরিত' নির্মাণ কোন পর্যায়ে আছে?

'পৌষ মাসের পিরিত' চলচ্চিত্রের পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে চেন্নাইতে। এটিও নির্বাচনের পর মানে আগামী বছর মুক্তি পাবে।

 

এ ছাড়া দর্শক আপনার কাছ থেকে আর কি পাচ্ছে?

বেশ ক'টি চলচ্চিত্র নির্মাণের কথা চলছে। এগুলো শীঘ্রই চূড়ান্ত হবে।

এর মধ্যে অভিনেত্রী শাবানা প্রযোজিত একটি চলচ্চিত্র রয়েছে। চলতি ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনি দেশে ফিরলে কাজ শুরু করব।

* আলাউদ্দীন মাজিদ

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.