আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ব্যাংকের সুদ স্থগিত চায় এফবিসিসিআই

দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ব্যাংকের সুদ স্থগিত চায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। একই সঙ্গে এই সময়ে কোনো ব্যবসায়ী ব্যাংক লোন পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাঁকে ক্লাসিফায়েড না করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানাবে সংগঠনটি।

আজ মঙ্গলবার এফবিসিসিআইয়ের পর্ষদ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে এফবিসিসিআই সূত্রে জানা যায়।

দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটে উদ্বেগ প্রকাশ করে এফবিসিসিআই জানিয়েছে, দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তারা যাতে বাণিজ্যিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারেন, সে জন্য কোনো উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ী চলতি সময়ে ব্যাংক লোন পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে তাঁকে ক্লাসিফায়েড না করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানানো হবে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ব্যাংকের সুদ স্থগিত রাখার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুরোধ করা হবে।

আজ এফবিসিসিআইয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিরোধী দলের লাগাতার সহিংস হরতাল-অবরোধে জাতীয় অর্থনীতি চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। এ জন্য দেশের ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন ও উত্কণ্ঠিত।

এফবিসিসিআইয়ের আজকের সভায় পর্যালোচনাকালে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক অবরোধ দেশের ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে আরও বিপর্যস্ত করে তুলছে। এভাবে লাগাতার অবরোধের কারণে যানবাহন বন্ধ থাকায় সময়মতো কাঁচামালসহ অন্যান্য পণ্যসামগ্রী পরিবহন না হওয়ায় উত্পাদন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। একই সঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাচ্ছে।

দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি রপ্তানি খাত মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্মুখীন। দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা সার্বিক বিনিয়োগের ওপরও প্রভাব ফেলছে।

শান্তিপূর্ণ হরতাল ও অবরোধের নামে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ, ককটেল বিস্ফোরণ, যানবাহনে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ছাড়াও রেললাইনের ফিশপ্লে­ট তুলে সারা দেশে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে যাত্রীবাহী বাসে ও ট্রেনে পেট্রলবোমা মেরে মানুষকে পুড়িয়ে মারার মতো জঘন্যতম ও ন্যক্কারজনক কাজ করছে, যা কোনো সভ্য সমাজ মেনে নিতে পারে না বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। এসব ঘটনায় ইতিমধ্যে অনেক নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

অনেক লোক অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। সাধারণ মানুষের জীবনযাপন কোনোভাবেই নৃশংস রাজনৈতিক কৌশলের হাতে এভাবে জিম্মি হতে পারে না বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ এসব সহিংস ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।

এফবিসিসিআই মনে করে, রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা না করে সাধারণ মানুষকে হত্যা করে এর সমাধান করা সম্ভব নয়। এ পরিস্থিতিতে এফবিসিসিআই সব রাজনৈতিক পক্ষকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমঝোতার জন্য আবারও আহ্বান জানায়।

এ ছাড়া সম্প্রতি গাজীপুরে স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টসসহ বেশ কিছু পোশাকশিল্প-কারখানায় দুষ্কৃতিকারীদের অগ্নিসংযোগের ঘটনা দেশের পোশাকশিল্পের জন্য অশনিসংকেত বলে মনে করে এফবিসিসিআই।

ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির দাবিতে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের উদ্যোগে সব অ্যাসোসিয়েশন ও জেলা চেম্বারগুলোর সহায়তায় সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে সাদা পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে প্রতীকী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে এফবিসিসিআইয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।