আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টিকফা চ্যালেঞ্জ করে রিট

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম বুধবার সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন করেন।
রিটে বাদি হিসাবে রয়েছেন মো. নাসির উদ্দিন, এসএম আরিফুল ইসলাম, এম মনিরুল ইসলাম খান, আবদুল্লাহ আল মামুন।
তাদের মধ্যে প্রথম দুজন হাই কোর্টের আইনজীবী এবং এম মনিরুল ইসলাম খান ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত টিকফা চুক্তি কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে রুল চাওয়া হয়েছে রিটে।
পাশাপাশি রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত টিকফা চুক্তি বাস্তবায়ন থেকে বিবাদীদের বিরত রাখতে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারিরও আবেদন জানানো হয়েছে।


মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, আইন সচিব, বাণিজ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) পক্ষে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে রিটে বিবাদি করা হয়েছে।
রিটে বলা হয়, সংবিধানের ১৪৫ (ক) অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে টিকফা চুক্তি করা হয়েছে।
“সংসদের স্বাভাবিক কার্যক্রমের সময়েই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যদিও সংসদ তার মেয়াদের শেষে দিকে রয়েছে, কিন্তু সংসদে এই চুক্তি পেশ করতে কোনো বাধা ছিল না। আসলে বর্তমান সরকারসহ কোনো সরকারই এ চুক্তি সংসদে পেশ করার আগ্রহ দেখায়নি।

তাই এ চুক্তি আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করতে হবে। ”
সংবিধানের ১৪৫ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, বিদেশের সঙ্গে করা সব চুক্তি রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করতে হবে এবং রাষ্ট্রপতি তা সংসদে পেশ করার ব্যবস্থা করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট চুক্তি কেবলমাত্র সংসদের গোপন বৈঠকে পেশ করা হবে।

রিটে বলা হয়, “এই চুক্তি শ্রমবাজারে জটিলতা তৈরি করবে। অবৈধভাবে এবং জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া এটি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এই চুক্তি ইপিজেডে বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে। ”
ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) কার্যালয়ে গত ২৫ নভেম্বর এই চুক্তিতে সই করেন বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ ও ডেপুটি ইউএসটিআর ওয়েন্ডি কাটলার।
চুক্তি স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের, ইউএসটিআর রাষ্ট্রদূত মাইকেল ফ্রোম্যান ও যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেসাই বিসওয়ালসহ দুদেশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
ফ্রোম্যান তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, টিকফার ফলে জিএসপি কর্মপরিকল্পনার মতো বাণিজ্য ও শ্রম বিষয়ে দুদেশের মধ্যে নিয়মিত আলোচনার সুযোগ তৈরি হবে এবং বাংলাদেশে শ্রম পরিবেশ ও শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে এক সঙ্গে কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে।
গত ১৭ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোঅপারেশন ফোরাম এগ্রিমেন্টের’ খসড়ায় এই অনুমাদন দেয়া হয়।


বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব  মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, এই চুক্তি হওয়ার পর ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ ‘সঙ্কুচিত হবে’।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এ চুক্তি হলে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি কয়েকগুণ বাড়বে।
তবে বিভিন্ন বাম দল এই চুক্তির বিরোধিতায় বলে আসছে, মেধাসত্ব আইনের কঠোর বাস্তবায়ন হলে তা যুক্তরাষ্ট্রের বড় কোম্পানিগুলোর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হবে। এই চুক্তি এসব কোম্পানিকে মাত্রাতিরিক্ত মুনাফা করার সুযোগ করে দেবে।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।