আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রেলে নাশকতা, বিএনপি জামাতের তাণ্ডবলীলা রুখে দিন



জামায়াত ও বিএনপির হরতাল ও অবরোধে এ পর্যন্ত রেলে শতাধিক নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। রেলের তথ্যানুযায়ী, এতে রেলের ক্ষতি হয়েছে ৩০ কোটি টাকারও বেশি। রেলে সহিংসতায় মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের, আহত শতাধিক। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনেই অবরোধকারীরা উপড়ে ফেলেছে প্রায় ২০০ মিটার রেল লাইন। আগুন দিয়েছে ট্রেনের ইঞ্জিন ও বগিতে।

দুর্ঘটনায় ফেলে বিপর্যস্ত করেছে রেল চলাচল। ঐ তিনদিনের নাশকতায়ই প্রায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে রেলওয়ে সূত্রে। মানুষের জীবনের ঝুঁকি আর বিড়ম্বনার হিসাবে তো বাদই। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে রেলে পরিকল্পিত এ ধরনের নাশকতা নজিরবিহীন। আগে হরতাল-অবরোধে রেলপথ অবরোধ করাসহ বিচ্ছিন্ন কিছু নাশকতা ঘটলেও তার মাত্রা এতোটা ভয়াবহ ছিল না কখনো।

রাতের অন্ধকারে রেল লাইন উপড়ে ফেলে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটিয়ে হাজার হাজার যাত্রীর জীবন ঝুঁকিপূর্ণ করার মতো অমানুষিক বর্বরতা আমাদের দেখতে হচ্ছে ইদানীং। উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা সাঈদীর রায় প্রকাশের পরই রেল ব্যাপক নাশকতার শিকার হয়। তারপর থেকে এখন ১৮ দলীয় জোটের কর্মসূচিতে নিয়মিতই রেল আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে। দিনদিন তার মাত্রা বেড়েই চলেছে। গত অক্টোবর-নভেম্বরে বিএনপি-জামায়াত জোটের দুই দফায় ১২০ ঘণ্টার হরতালের সময় রেলপথে প্রায় ১শ স্পটে নাশকতা চালানো হয়েছে।

সম্প্রতি বিরোধী দলের একটানা ৭১ ঘণ্টার সহিংস অবরোধ পালনের পরপরই দ্বিতীয় ধাপে পুনরায় ৩০ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টা টানা অবরোধে পরিকল্পিত হামলার শিকার হয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। রেলে এ ধরনের পরিকল্পিত নাশকতা এর আগে কখনো দেখা যায়নি। রেল তো রাষ্ট্রীয় মানে জনগণের সম্পদ। জনগণের সম্পদ বিনষ্ট করে, জনগণের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ করে যারা নিজেদের রাজনৈতিক কর্মসূচি সফল করতে চায়, তাদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। এ ধরনের নাশকতা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির অংশ হতে পারে না।

যারা এসব করে দুষ্কৃতকারী হিসেবেই এদের বিচার করতে হবে। হরতাল-অবরোধে এরকম নাশকতার দায় নিতে হবে রাজনৈতিক নেতৃত্বকেও। জাতীয় সম্পদ রেলকে নাশকতার হাত থেকে রক্ষা করতে, রেলযাত্রীদের জানমাল নিরাপদ করতে প্রথমেই দরকার আন্দোলনকারী রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে নীতি ও মানবিক বোধের জাগরণ। সরকারের করণীয় হলো নাশকতা বেশি ঘটেছে এরকম স্পর্শকাতর স্পটগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর টহল জোরদার করা। নাশকতার সংকেত নিকটবর্তী স্টেশনে জানার জন্য ইলেকট্রিক এলার্ম ব্যবস্থা এবং সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারির ব্যবস্থাও নেওয়া যেতে পারে।

সর্বোপরি, জাতীয় সম্পদ ও জানমাল রক্ষায় জনগণকে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.