আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মঞ্চে উঠছে অবয়ব নাট্যদলের বিষাদ সিন্ধু

দামেস্কের রাজা এজিদ চায় মদিনাকে পদানত করতে। এজন্য সে মদিনার রাজা ইমাম হাসানের কাছে পত্র পাঠায়। কিন্তু মদিনাবাসী এজিদের পত্র-প্রস্তাব ঘৃণা-ভরে প্রত্যাখ্যান করে। যুদ্ধ ঘোষণা করে দাম্ভিক এজিদ। কিন্তু, মদিনাবাসীর সম্মিলিত প্রতিরোধের সামনে টিকতে পারেনি এজিদ বাহিনী।

তবুও হাল ছাড়ে না এজিদ। আশ্রয় নেয় কূটকৌশলের। এর পরের ইতিহাস আরও করুন।

এসব ঘটণাপ্রবাহ নিয়ে অবয়ব নাট্যদলের প্রযোজনায় এবার মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে মীর মশাররফ হোসেনের বিখ্যাত রচনা 'বিষাদ সিন্ধু'। আগামী ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট-মন্ডলে প্রতিদিন ৬টা ৩০ মিনিটে নাটকটির প্রদর্শনী শুরু হবে।

নাটকটির পান্ডুলিপি রচনা করেছেন শরীফ নাসরুল্লাহ এবং নির্দেশনা দিয়েছেন মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

নাটকে চতুর, কূটিল মন্ত্রী মারওয়ান মায়মুনার লোভ ও হাসানের স্ত্রী জায়েদার ঈর্ষাকে কাজে লাগিয়ে হাসানকে হত্যা করে করে এজিদ। কিন্তু হোসেন বেঁচে থাকতে এজিদ মদিনা দখল করতে পারবে না। মারওয়ান আবার চক্রান্ত শুরু করে। হোসেনকে সে প্ররোচনা দেয় মদিনা ছেড়ে কুফায় যাওয়ার জন্য।

মদিনাবাসীকে এজিদের রোষানল থেকে বাঁচানোর জন্য হোসেন মদিনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কুফায় যাওয়ার পথে হোসেন ফোরাত নদীর নিকটস্থ কারবালায় তাবু স্থাপন করে। মারওয়ানের মাধ্যমে এই খবর আগেই জানতে পেরে এজিদ তার সৈন্য দিয়ে ফোরাত নদীর পানি অবরুদ্ধ করে। যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে পড়ে। পিপাসাকাতর মদিনার সৈন্যরা বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করতে থাকেন।

হোসেনও যুদ্ধে যেতে বাধ্য হন। কিন্তু অসম-নিষ্ঠুর যুদ্ধে হোসেন সীমারের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।