আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিএনপি নেতাদের প্রতিঃ আন্দোলনের সহজ পাঠ

Complicated

বিএনপি তাদের শান্তিপূর্ণ(?!) অবরোধ কর্মসূচী বাড়ালো আরেক দফা। দলটির মুখপাত্র জানিয়েছে, সরকার গণদাবি উপেক্ষা করে দমনপীড়নের মাধ্যমে দেশ চালাচ্ছে। তাই এই বর্ধিত কর্মসূচী তাদের। হে মহান নেতারা, কয়েকটি প্রশ্ন আপনাদের নিকট- ১। আপনাদের অবরোধ কি আসলেই শান্তিপূর্ণ??? ২।

যে দাবিতে আন্দোলন নাম দিয়ে সন্ত্রাসী কাজ করছেন সেই দাবি কি গণদাবি??? ৩। দলীয় আবদার পূরণে যা করছেন তা কি আন্দোলন??? আপনাদের কর্মসূচী ঘোষণা শুনে মনে হল, আন্দোলন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন, গণদাবি, দমনপীড়ন, শহীদ এ জাতীয় কিছু শব্দ আপনারা মুখস্ত করে নিয়েছেন ব্যবসা করার সুবিধার্থে। কারণ-দু'চারটে ভাড়া করা সন্ত্রাসী যদি রাস্তায় আততায়ীর মত নেমে এসে 'অবরোধ, অবরোধ' বলে চেঁচায় তবে তা গণদাবি হয়ে যায় না। কেননা, ওরা গণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে না। টাকা দিলেই যে কোন দলের গণমানুষ সাজতে পারে।

আর আপনাদের কর্মসূচীতে সাড়া না দিয়ে কাজে বের হওয়া মানুষদের আগুনে পুড়িয়ে হত্যা বা হত্যার আয়োজন করাকে আন্দোলন বলে কি??? যে মানুষগুলো আপনাদের নৃশংসতার শিকার হয়েছেন মৃত্যুর আগেও তারা বলেছেন, তারা আপনাদের চায় না। তাই মনে হল শব্দগুলো মুখস্ত করা কেবল। নিজেরা আয়োজন করে মানুষ মারবেন, আবার তারা মরল কেন সেই অজুহাতে আবার আয়োজন করবেন জ্বালাও-পোড়াও, আবার মানুষ মারবেন... এই চক্র চলবে মনে করলে সামনের দিনে হয়ত মারার জন্যে রাস্তায় মারার জন্যে মানুষ পাবেন না। তাই ভাবলাম আবদার মেটানোর সহজ ও সাশ্রয়ী পথ বাতলাই আপনাদের। তাতে করে সারা দেশব্যাপী সন্ত্রাসী ভাড়া করা লাগবে না আপনাদের।

ককটেল ফাটাতে হবে না। আগুন দিয়ে মানুষ পোড়াতে হবে না। কেবল কয়েকটা উদাহরণ দেব। না না, তার জন্যে বৃটিশ শাসনে নিয়ে যাব না আপনাদের। নব্বইতেও নেব না।

অত পিছনে নিয়ে গেলে আপনাদের পোষাবে না। এই শতকেই সীমাবদ্ধ থাকব। তাহলে নাস্তিক বাম তকমা থেকেও বাঁচার সম্ভাবনা আছে। ১। ২০০৪ সালে মণিপুরের ছাত্রনেতা পেবম চিত্তরঞ্জন নিজের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (AFSPA) বাতিলের দাবিতে।

২। ২০১০ সালে তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের দাবিতে আত্মাহুতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সাই কুমার, সুবর্ণামা, ভবানী আরো অনেকে। তাদের আত্মাহুতি জন্ম দিয়েছে নতুন তেলেঙ্গানার। ৩। কিংবা আরব বসন্তের সেই বোয়াজিজি??? তাঁকে নিশ্চয়ই মনে আছে? খুব সাধারন একজন ফল বিক্রেতার আত্মাহুতির পরিণতি কেমন হতে পারে তা অজানা নয় আপনাদের।

এবার মূল কথায় আসি, গত কয়েক দফার অবরোধে আপনারা প্রায় জনাপঞ্চাশেক মানুষ পুড়িয়েছেন। অথচ আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা করছেন চোরের মত( চুরি পেশার লোকেদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী আমি ) । আমি বলি কি এবার মানুষ হত্যা বন্ধ করুন। এতই যদি আন্দোলনের ইচ্ছে হয় তবে যান এক বোতল কেরোসিন নিয়ে পল্টনের রাস্তায় নিজের গায়ে আগুন দিন। এত ত্যাগী নেতারা আছেন বিএনপিতে, ফখা,রিজভী, ফারুক, সালাউদ্দীন, কিংবা গণতন্ত্রের দুই মানসপুত্রের যে কোন এক জন , কেউ তো পারবেনই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্যে এই ত্যাগটুকু করতে! গণতন্ত্র নিজ পায়ে হেঁটে বিএনপি কার্যালয়ে চলে যাবে আপনাদের কেউ যদি এটা করতে পারে।

যদি না পারেন তবে মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিন। মানুষের অর্থে প্রতিপালিত হয়ে মানুষ পুড়িয়ে পারার সুযোগ আর বেশিদিন দেবে না জনগণ। আপনাদেরকেই ধরে ধরে আগুনে ঝলসানো হবে জনসমক্ষে এমন দিন হয়ত আর বেশী দূরে নয়। Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.