রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরও পোক্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গতকাল সোমবার দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রধান সংবাদ সংস্থা আরআইএ নোভোস্তির বিলুপ্তি ঘটিয়ে রাশিয়া সেগোদনিয়া নামের নতুন এক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে, যা বাইরে মস্কোর ভাবমূর্তি নিয়ে প্রচারণা চালাবে।
আজ মঙ্গলবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত দুই সপ্তাহের মধ্যে এটি এ ধরনের দ্বিতীয় পদক্ষেপ। এর মধ্য দিয়ে পুতিন গণমাধ্যমের ওপর তাঁর নিয়ন্ত্রণকে আরও জোরদার করার চেষ্টা করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুতিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের পর পুনরায় তাঁর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় তিনি গণমাধ্যমের ওপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ জোরদার করতে চাইছেন।
পুতিনের সই করা এক ডিক্রিতে বলাতে হয়, রাশিয়া সেগোদনিয়ার (রাশিয়া টুডে) মূল লক্ষ্য হলো দেশের রাষ্ট্রীয় নীতি ও রুশ ফেডারেশনের জনজীবন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরা।
প্রেসিডেনসিয়াল প্রশাসনের প্রধান সের্গেই ইভানভ সাংবাদিকদের বলেন, অর্থ বাঁচাতে এবং রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার মান উন্নয়নে এ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
কিন্তু নতুন এ সংস্থাটির সঙ্গে সোভিয়েত যুগের সংবাদ সংস্থা এপিএনের ব্যাপক মিল রয়েছে। এপিএন সোভিয়েত ইউনিয়নের মানুষের সামাজিক-অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জীবন নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করত।
পুতিনের এ পদক্ষেপ নিয়ে আরআইএতে ইংরেজিতে লেখা একটি নিবন্ধে বলা হয়েছে, রাশিয়ার সংবাদের পটপরিবর্তনের ধারাবাহিক পদক্ষেপগুলোর মধ্যে এটি সর্বসাম্প্রতিক।
এর মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমের ওপর রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টাই উঠেছে।
২০১২ সালের মে মাসে পুতিন তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ২০১১ সালের ডিসেম্বর থেকে বিরোধীরা পুতিনের বিরুদ্ধে কয়েক মাস রাস্তায় বিক্ষোভ করেন।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।