আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাষ্ট্রীয় নশ্চিয়তা ও নারীস্বাধীনতা



রাষ্ট্রীয় নিশ্চয়তা বৃদ্ধি না করে,নারীকে পণ্য হিসেবে উপস্থাপন বন্ধ না করে নারীর সমতা সকলের প্রগতি কিভাবে হবে । জাতিসংঘ বলে খালাস আর নারীকে পণ্য হিসেবে উপস্থাপনে উৎসাহ দান। মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারীর প্রত্যক্ষ পরোক্ষ শ্রমের উৎপাদিত সম্পদ তা ৭৫% নারী ও শিশুরা পায়না। নারীরা দুইরকম ভাবে অবহেলিত হয় এক গরীব নারী হওয়ার কারণে দুই নারী হওয়ার কারণে। নারী হওয়ার কারণে পিতার সম্পতি পায়না,কম পায়।

রাষ্ট্রীয় উত্তরাধিকার আইন ধর্মকে ভিত্তি করে। আর এই উত্তরাধিকার আইনেই নারীর সমতা নেই। আইন পরিবর্তন ও শংশোধনযোগ্য কিন্ত ধর্ম অপরিবর্তনীয়। ধর্ম নিরেপেক্ষ রাষ্ট্রে ও আমরা দেখছি উত্তরাধিকার আইন ধর্মকে ভিত্তি করে। আবার নগ্নতা যৌনতায়, নারীকে বিজ্ঞাপনে সিনেমায় পন্য হিসেবে উপস্থাপনের বেলায় ধর্মের বানিজ্যিক ব্যবহার।

নারী+পুরুষ শ্রমিক=শ্রম = সম্পদ। সম্পদ ভোগকারী=অভিজাত ধনী নারী পুরুষ,আর সম্পদ বঞ্চিত গরীব নারী পুরুষ। আমাদের সমাজে ধনী অভিজাত নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা অনেক বেশী। গরীব নারীর নিরাপত্তা নিশ্চয়তা কিছুই নেই। নারীর সমতা সকলের প্রগতি কিভাবে হবে ! নারী শিক্ষা বৃদ্ধির হার আশান্বিত করে।

অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জন মর্যাদা বৃদ্ধি করছে কিন্ত গরীব নারী আর ধনী অভিজাত নারীর তফাৎ ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। গরীব পুরুষ ্গরীব নারী শুধু গরীব হওয়ার কারণে বস্তি ফুটপাত আর গ্রামের জীর্ণশীর্ণ ঘরে বসবাস করছে। এক্ষেত্রে গরীব পুরুষ ্গরীব নারী উভয়ই নির্যতিত বঞ্চিত এবং শুধু গরীব নারী হওয়ার কারণে সংসারে গরীব পুরুষ দ্বারা নির্যতিত । অর্থনৈতিক সমতা ছাড়া নারীর সমতা কিভাবে সম্ভব । ব্যতিক্রম ছাড়াধনী অভিজাতদের সংসারে নারীর স্বাধীনতা,সমতা অনেক বেশী।

অভিজাত নারীরা পার্লারে যাচ্ছেন ইচ্ছামত কেনাকাটা করছেন,দেশ বিদেশ ট্যুর করছেন। জতিসংঘ নরীর সমতা বলতে কি বোঝাতে চেয়েছেন ? তা কি ধনী অভিজাত নারী ও গরীব নারীর অর্থনৈতিক সমতা ! তা কি এরকম যে ধনী অভিজাত নারী ও গরীব নারী একই মানের বাসস্থানে থাকবে,একই মানের খাবার খাবে,একই মানের পোশাক পরবে,একই মানের লেখপড়া শিখবে ! রাষ্ট্র যদি সকল সম্পদের মালিক হয় এবং রাষ্ট্রের সকল নারীপুরুষের সকল দায়িত্ব রাষ্ট্র পালন করলে আলাদা করে উত্তরাধিকার আইনের মাধ্যমে অসম বন্টন দরকার হবেনা। উৎপাদনে নারীর পরোক্ষ শ্রমকে অস্বীকার করার যে মুল্যবোধ তা এখন পরিবর্তিত হচ্ছে। কারণ গরীব নারী পুরুষ উভয়েরই প্রত্যক্ষ শ্রমেও সংসারের অনটন যাচ্ছেনা, নারী পুরুষ উভয়েরই প্রত্যক্ষ শ্রমেও ছেলেমেয়ের লেখপড়ার খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অথচ বেশীরভাগ ধনী অভিজাত নারীরা শুধু ব্যয় করেন অনেক অনেক।

পৃথিবী নামক গ্রহের আমরা যারা সাধারণ গরীব নাগরিক আমরা জাতিসংঘকে বলতে চাই সম্পদের মালিকানার সমতার কথা বলুন তাহলেই সকলের অগ্রগতি হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.