আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!
বৌ এর সাথে বাতচিত ভাইবারে
: তুমার সাথে কথা আছে
: ফুনে চার্জ আছে মুটে ৯%। দুরত কও। আইফুনে পানির মতো চার্জ যায়।
: তুমি না কইছিলা কাদের মোল্লার ফাঁসি হইবো না?
: একটু আগেও চেক করছি পেপার, অখনো হিসাবে ২১ তারিখ।
আগে দিক পরে কথা।
: তুমি কি জানো না? আল্লা! আজ রাত ১২:০১ মিনিটে ফাঁসি হবে।
: আগে দিক। লীগরে দিয়া বিশ্বাস নাই। শালাগো লগে জামাতে গুপন আঁতাত আছে বইলাই গু আ বাবাজীর ফাঁসির রায় দেয় নাই।
: কি কইলা? গুপন আঁতাত? তুমিও তো জামাতের মতো কথা কইতেছো।
: আমার চর্ম চক্কু যখন ঐ কুকুরটার লাশ দেখবো তখনই বিশ্বাস করুম লীগ ফাসি দিছে, তার আগে আমি বিশ্বাস করুম না। আগে দিক।
: আগে দিক মানে? তুই একটা জারজ। ডোন্ট এভার টক টু মি।
: ওকে। আগে দিক, তারপর কথা।
বৌ মোবাইল বন কইরা রাখছে। আমার কেন জানি বিশ্বাস হইতাছে না বৌ এর কথা। কাদের মোল্লার ফাঁসি হবে কিন্তু আমি কুকুরটার লাশ দেখতে চাই।
একটা সময় থিকা বিশ্বাস করা শুরু করছিলাম জামাতের কারো বিচার হবে না। ৭১ এর কারো বিচার হবে না।
ট্রাইব্যুনালটা নিয়া কি কি হয় নাই, যতধরনের মিথ্যাচার ষড়যন্ত্র হওয়া দরকার সব হইছে। ট্রাইব্যুনালের ভুল হইতেই পারে, মনুষ্য সৃষ্ট পদার্থবিজ্ঞান বা এলএইচসি বা সার্নের যেখানে ভুল থাকে সেইখানে বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনাল তো কিছুই না।
আইচ্চা ধইরা নিলাম কাদের মোল্লারে লটকাইলো, তাইলে কি করন যায়?
১) সর্ব প্রথম তার লাশটারে নিয়া একটা জায়গায় ফালায় রাইখা ঢাকার অলি গলিতে রাখা অনেক ক্ষুধার্ত কুকুর আছে যারা ভালো মন্দ কিছু খায় না, তাদেরকে খাওয়ানো যায়।
কুকুর গুলো যখন লাশ টা ছিড়ে কুড়ে খাবে তার ভিডিও কাদের মোল্লা স হ সকল জামাতীদের পরিবারকে ঘরে বসিয়ে দেখাতে বাধ্য করানো যায়।
২) তার লাশটা কারাগার থেকে বের করে সোজা তার বাসার সামনে নিয়া খুটার সাথে বাইন্ধা লাশের গলায় ঝুলায় দেয়া যায়,"আমি রাজাকার, আমারে দয়া কইরা জুতাও!" তখন মাইকা ডাইকা লোক জড়ো কইরা জুতানো উৎসব শুরু করানো যায় যেটা ঘটতে হবে কাদের মোল্লার বাড়ির সামনে। লাইভ টিভি প্রোগ্রাম অবশ্যই করা যেতে পারে।
৩) লাশটাকে যেখানে পুতে ফেলা হবে তার উপর সুন্দর ফাউন্ডেশন করে কয়েকটা টয়লেট নির্মান করা যায় যাতে নাম লেখা থাকবে,"জাতীয় রাজাকার কাদের মোল্লা স্মৃতি টাট্টিখানা"
নেমপ্লেটে লেখা থাকবে:
নারী পুরুষ ছোট টয়লেট: ৫০ টাকা
বড় টয়লেট: ১০০ টাকা
আন্ডা বাচ্চা কোন কিছু মাগনা
জামাত/শিবির/বিএনপি: মাগনা
পরে রাস্তা ঘাটে বা জাতীয় পর্যায়ে যেসব জামাত বিএনপি ধরা হবে তাদেরকে দড়ি বাইন্ধা পুরা একদিন রাখার পর এই টয়লেটের সামনে রাখা হবে আর বলা হবে এই টয়লেটে টাট্টি করলেই তোদের পাপ মুক্তি। যারা টাট্টি করবে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হবে যারা করবে না তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হবে
আমি এক কালে বিএনপি করতাম, রাজাকারের সাথে গোলাপীর বিবাহের পর আর করি না।
আশা করবো বিএনপির যারা শিক্ষিত বিবেকবান তারা স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহন করে গোলাপীরে আরেকবার আহ্বান করবেন সে যেনো জামাতকে তালাক দেয়। আর বাকি সব অশিক্ষিত পার্ভার্টদের কথা বাদই দিলাম। এদেরকে হত্যা করে দেশকে জীবানুমুক্ত করা হোক।
৪) মগবাজারের জামাতের অফিসে ইউরোপীয়ান স্টাইলে টয়লেট বানিয়ে তার নাম দেয়া হোক,"বাংলাদেশের রাজাকারে ইসলাম তথা জামাতী ইসলাম টাট্টিখানা"।
এখানে জামাত শিবিরের একনিষ্ঠ কর্মী আর নেতাদের বেধে রেখে দেয়া হোক।
একজন সুস্হ মানুষকে ডেইলী একবার টাট্টি করতেই হয়। তাই এরা যেনো তাদের অফিসেই এই কর্ম শুরু করে এটাই হোক এর একমাত্র সমাধান। কিন্তু কথা আছে, টয়লেটে যেনো পানি না থাকে আর টিস্যু পেপারগুলোতে গু আজমের ছবি থাকে।
লীগ দুর্নীতি করছে পাহাড় সম, সন্ত্রাসীও করছে। অনেকে বলতে পারেন গত চার দলীয় ঐক্যজোটের সময় দুর্নীতি হলেও এমন সন্ত্রাসী তো করেনি।
কথা ঠিক। আসলে করবে কে? ছাত্রদল কারা করে? সব সুবিধা ভোগী ব্যাবসায়ী। এখন ক্ষমতা নেই তাই ছাত্রদলও নেই। আছে ছাত্র শিবির আর তারা এখন যা করছে সামনে কি করবে না তার গ্যারান্টি কি?
তারেক চোরা কেস থিকা ছাড়া পাইছে। সামনের বার বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তার গ্যারান্টি কি যে সে দুর্নীতি করবে না? কারন গত চারদলীয় ঐক্যজোটে সে একা যে দুর্নীতি করছে তা এরশাদ আর তার দালাল গুলা ৯ বছরের শাসনামলেও করতে পারেনি।
তাই বিএনপি এবার শুধু দুর্নীতি না, দলের সিনিয়র নেতারা মানুষের বৌ এর উপর হামলেও পড়বে এটা শিওর।
যেই বিএনপি মাজদার হোসেন মামলার রায় হলে বিচার বিভাগের উপর থেকে ক্ষমতা হারাবে বলে স্বয়ং মওদুদকে দিয়ে খালি বেন্ঞ্চ পরিবর্তন করাতো সে আসলে দুদক, বিচার বিভাগ নিয়ে পুরাই হাডুডু কাবাডী খেলতো। যেই আসুক ক্ষমতায় আকাম করবেই, কম বেশী কোন কথা না। এই টার্মে যা হইছে আগামী টার্মে এর চেয়ে বেশী হবে।
যাই হোক কাদের মোল্লার লাশ দেখতে চাই, ভেবেছিলাম এই এক জনমে এদের বিচার দেখতে পারবো না।
যেই গোলাপী নিজের জামাইয়ের হত্যার বিচার করতে পারে না সে করবে জামাতের বিচার?
অশিক্ষিত পোলাপানরাই এসব বিশ্বাস করতে চায়।
ধন্যবাদ হাসিনা, ধন্যবাদ বাংলাদেশ। জাতির দায়মুক্ত হবার সময় শুরু হলো এখন!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।