আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জ্বালানী তেলের দাম বাড়লো আবার: আইএমএফ’র থাবায় দেশের অর্থনীতি শুধু জর্জরিতই হবে

আসুন ভালো থাকি আবারও জ্বালানী তেলের দাম বাড়ালো সরকার। বিশ্লেষকরা বলছেন, আইএমএফ থেকে ঋণ পাওয়ার জন্যে আইএমএফ’রই শর্তেই সরকার এই দাম বাড়াতে বাধ্য হলো। অর্থমন্ত্রী আর সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা ছাড়া বাকি প্রায় সবাই এই ধরনের মূল্য বৃদ্ধি, আইএমএফ’র কাছে থেকে ঋণ নেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতির বাস্তবতায় বিশ্ব ব্যাংক বা আইএসএফ নামের সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর তাবেদার হিসেবে পরিচিত এই সংস্থাগুলোর প্রয়োজনীয়তাই বা কতটুকু তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। সব সরকারের আমলেই দেখা যায়, আমলাদের মধ্যে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নিতে অতি উৎসাহ থাকে।

শুধু ঋণই নয়, তারা প্রায় সবক্ষেত্রে এসব সংস্থার পক্ষে ওকালতি করে থাকেন। তারা যে সেটা দেশের ভালোর জন্য করেন তা কিন্তু নয়, তারা সেটা করেন সংস্থাগুলোর উচ্চ বেতনের নানা পদ বাগিয়ে নিতে অথবা নানবিধ উপঢৌকনের লোভে। বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আইএমএফ’র ঋণ কী ভূমিকা রাখবে তা খুঁজে দেখতেই এই লেখা। ওয়াশিংটন কনশেনসাস-এর প্রতিষ্ঠানগুলোর শর্তই বিশ্বের দেশে দেশে দারিদ্র্য তৈরিতে বাধ্য করেছে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো উন্নয়নের নামে তাদের নিজেদের ঋণ ব্যবসা ও নিজেদের কোম্পানিগুলোর জন্য বাজার উন্মুক্ত করার উদ্দেশ্যে বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফ বা আন্তর্জাতিক মূদ্রা তহবিল তৈরি করেছিল। অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিশ্বব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য ছিল উন্নয়নের জন্য ঋণ দেওয়া, অন্যদিকে আইএমএফ’র উদ্দেশ্য ছিল আমদানির বিপরীতে লেনদেনের ভারসাম্য রক্ষার জন্য ঋণ দেওয়া।

এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে ডলার হিসেবে যে দেশের বিনিয়োগ যত বেশি তারই সিদ্ধান্ত গ্রহণের আনুপাতিক ক্ষমতা বেশি। সেই কারণে দেখা যায়, শিল্পোন্নত ৭টি দেশের কাছেই মোট ভোটের শতকরা ৪৫ ভাগ রয়ে গেছে। অর্থাৎ বিশ্বব্যাংক যাদের জন্য কাজ করবে, সেই অনুন্নত বা দরিদ্র দেশের ভোটাধিকার তথা সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ নেই বললেই চলে। ফলে বিতর্কিত এই ভোট ব্যবস্থা সংস্থাটিকে উন্নত দেশগুলোর ক্রীড়নকে পরিণত করেছে। স্পষ্ট করে বললে, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই ক্রীড়নক।

কেননা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতি ছাড়া বিশ্বব্যাংকে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব নয়। কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হলে মোট ভোটের শতকরা ৮৫ ভাগ ভোটের প্রয়োজন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আছে ১৬.৪১ ভাগ ভোট, সুতরাং এই দেশটি সমর্থন না দিলে পৃথিবীর সব দেশ মিলেও প্রয়োজনীয় ৮৫ ভাগ ভোট নিশ্চিত করতে পারে না। যদিও প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্দেশ্য হিসেবে উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য দূরীকরণকে বর্ণনা করা হয়ে থাকে, কিন্তু কথিত উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোর দারিদ্র্যের জন্য এই দু’টি প্রতিষ্ঠানকেই বিশেষভাবে দায়ি করা হয়। মূলত বিতর্কিত ও পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকার কারণে পৃথিবীর অনেক দেশ আইএমএফ থেকে বের হয়ে আসছে (ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া)। এমনকি বাংলাদেশও ২০০৭ থেকে ২০১০ অবধি আইএমএফ থেকে কোনও ঋণ নেয়নি।

বাংলাদেশে বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফ’র শর্ত ও ভূমিকা স্বাধীনতার সূচনালগ্ন থেকেই বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ’র অবস্থান রয়েছে, এমনকি পাকিস্তান আমলের কিছু ঋণের দায়িত্বও বাংলাদেশকে নিতে হয়েছে। সত্তর দশকের সামরিক শাসনামলে “কাঠামোগত সামঞ্জস্যবিধান সংস্কার (স্ট্রাকচারাল এডজাস্টমেন্ট রিফরমস)” কর্মসূচির আওতায় প্রতিষ্ঠান দু’টি ঋণ প্রদানের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে বেসরকারিকরণ, আমদানি উদারীকরণ, রাষ্ট্রীয় গণ সেবাখাতের সংকোচন ইত্যাদি করতে সমর্থ হয়। ইতোমধ্যে এই দু’টি প্রতিষ্ঠানের উপরোক্ত সংস্কার কর্মসূচির উপর সারা বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ ও সমালোচনার ঝড় উঠে, উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশ সমূহে ‘দারিদ্র্য’ উৎপাদনকারী হিসেবে এবং ঐ দেশগুলোর ‘দেনা গ্রস্থ’ হওয়ার কারণ হিসেবে উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিহ্নিত করা হয়। একুশ শতকের শুরু থেকে উক্ত দু’টি প্রতিষ্ঠানের নির্দেশনাতে শুরু হয় দারিদ্র বিমোচন কৌশল প্রক্রিয়া। বাংলাদেশও তার সূত্র ধরে ২০০১ থেকে ২০১০ সাল পর্যৗল্প উক্ত পিআরএসপি এর আওতাধীনে ঋণ পেয়েছে।

এর মাধ্যমে এই দু’টি প্রতিষ্ঠান সুকৌশলে দারিদ্র্য বিমোচনের নামে অধিকতর আমদানি উদারীকরণ, বেসরকারিকরণ ও গণসেবাখাতের বাণিজ্যিকীকরণ করিয়ে নিতে সমর্থ্য হয়। নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে পঞ্চবার্র্ষিকী পরিকল্পনা বাদ দিয়ে পিআরএসপি প্রক্রিয়া গ্রহণের সমালোচনা করা হয়। উক্ত পিআরএস প্রক্রিয়া দারিদ্র্য পুনরুৎপাদনের হাতিয়ার হিসেবে চিহ্নিত হয়। ২০০৬-০৭ সালের শেষের দিকে পিআরএস প্রক্রিয়ার শেষ কিস্তির প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে মতদ্বৈততার কারণে আইএমএফ আর ছাড় করেনি। মূলত ২০০৯ এর গোড়ার দিকে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে এই ১ বিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তা চাওয়া হয়, যা আইএমএফ’র সম্প্রসারিত ঋণ সুবিধা থেকে নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য যে, এর আগের চার বছরে (২০০৬ থেকে ২০১০) বাংলাদেশ আইএমএফ থেকে কোনও ঋণ গ্রহণ, এমনকি ঋণের জন্য কোনও আবেদনও করেনি। এর পিছনে বিদ্যমান অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটি কারণ ছিল, বাংলাদেশের সন্তোষজনক রেমিট্যান্স আয়, যা প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ফলে আমদানি ব্যয় পরিশোধের ক্ষেত্রে লেনদেনের ভারসাম্যহীনতার কোনও ব্যাপার ছিল না। সম্প্রতি বিশ্ব অর্থনীতির নেতিবাচক পরিস্থিতি, প্রবাসীদের ফিরে আসা ও জনশক্তি রপ্তানি আশানুরূপ না হওয়ায় রেমিট্যান্স আয়ে ভাটা, আমদানি পণ্যের দাম বৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্যের দামের উঠানামা ও রপ্তানি আয় কমে যাওয়ার আশংকায় হয়তো সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে, আইএমএফ’র কাছে উক্ত ১ বিলিয়ন ডলার ঋণের জন্য আবেদন করা হবে। ২০১০ সালের মাঝামাঝি থেকে সরকার এই বিষয়টি নিয়ে তোড়জোর শুরু করে।

ঋণ প্রদানের শর্ত হিসেবে আইএমএফ বাংলাদেশ সরকারের উপর যেসব বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে এবং এর ফলে যে প্রভাবগুলো পড়তে পারে বলে আমরা মনে করছি এবং ইতিমধ্যে যেসব শর্ত সরকার পূরণ করেছে বলে আমরা মনে করছি, তার নিচে সংক্ষেপে উল্লেখ করছি: ক. শর্ত: ১. মার্চ ’১০-এর মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর উপর সুদের হার ১৩% সিলিং প্রত্যাহার। মূদ্রা সংকোচন নীতি। সম্ভাব্য ফলাফল: এর ফলে বিনিয়োগের জন্য ঋণ প্রদান কমে যাবে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে সুদের হার বৃদ্ধি। স্বল্প মেয়াদী ভোগ ঋণের পরিমাণ বাড়বে, ফলে বাজার উনুক্তকরণ ও আমদানি বাড়বে।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে তত্ত্বাবধান খরচ বেশি, সেহেতু এখাতে বেশি সুদে ঋণ নেওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে, এই খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। খ. শর্ত: সরাসরি ট্যাক্স, বিশেষ করে ভ্যাটের আওতা সম্প্রসারণ আইন। সম্ভাব্য ফলাফল: ভ্যাটের আওতা বাড়বে, যা মূলত নিত্য প্রযোজনীয় পণ্য ক্রয়ের সময় গরিব ও মধ্যবিত্তদেরকেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বহন করতে হবে। গ. বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের উপর মনিটরিং বাড়ানো, যাতে বিদ্যুৎ, সার ও পেট্রোলে ভর্তুকির হার কমানো যায়। সম্ভাব্য ফলাফল: . বিদ্যুৎ ও পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

যে কারণে উৎপাদন ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়াতে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামও বেড়েছে ও বাড়তে পারে। এছাড়াও, আইএমএফ রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষতি কমানোর জন্য তা থেকে সহায়তা প্রত্যাহার এবং ব্যাংকিং খাতে সংস্কারের তাগাদা দিয়েছে। তারা বার্র্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অনুমোদন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াও পরিষ্কার করার জন্য পরিকল্পনা করার শর্ত আরোপ করেছে। যদি আইএমএফ বোর্ড এই তহবিল বা ঋণ অনুমোদন করে, তাহলে তারা আগামী ৩ বছরে বিভিন্ন কিস্তিতে বাংলাদেশকে এই বাজেট সহায়তা প্রদান করবে। প্রতিটি কিস্তি প্রদানের আগে তাদের আরোপিত শর্ত পালন করা হয়েছে কি-না তা যাচাই করে দেখা হবে।

যদি শর্ত পালন করা না হয়, তাহলে তারা কিস্তি প্রদান বন্ধ করতে পারবে। বৈদেশিক ঋণের বোঝা বাড়ছেই, বাংলাদেশ কি তা বহন করতে সক্ষম? বাংলাদেশের জনগণ কতটুকু বৈদেশিক ঋণের বোঝা ভবিষ্যতে বহন করতে সক্ষম, সে ধরনের কোনও নিরীক্ষা আমাদের নেই। এ ধরনের নিরীক্ষা ছাড়া বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পায়ে কুড়াল মারার সামিল হতে পারে। মার্চ ২০১১ এ প্রাপ্ত এক হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ২৩,৩৪৫ মিলিয়ন ডলার, যার কারণে আমাদের রাজস্ব বাজেটের ২০% ব্যয় করতে হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ১৫৭ ডলার।

ভারত থেকে ইতিমধ্যে সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিট বাবদ ১ মিলিয়ন ডলার নেওয়ার চুক্তি হয়েছে। আইএমএফ এর সাথে ১ বিলিয়ন ডলারের ঋণের জন্য আলোচনা হচ্ছে। পদ্মা সেতু, গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকা-চট্টগ্রাম চারলেনের সড়ক নির্মাণসহ আরও কিছু বড় বড় প্রকল্পের জন্য প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয়া হতে পারে। সব মিলিয়ে এই সরকারের আমলে যদি আরও ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়া হয়, তাহলে আমাদের মাথাপছিু ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ২০২ ডলার, রাজস্ব বাজেটে এর জন্য ব্যয় বাড়বে। উল্লেখ্য যে, এ্সব ঋণের চুক্তি জনসমক্ষে প্রকাশ ও সংসদে পাশ করতে সরকার বাধ্য নয়।

কোন সরকারই এ ধরনের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা প্রকাশ করেনি। ঋণের বিকল্প কোথায়? আমরা মনে করি যে, সরকার আই এম এফ থেকে ১ বিলিয়ন ডলারের ঋণ না নিলেও চলবে। রেমিটেন্সের হার সামান্য কমলেও এটা আশংকাজনক নয়, রপ্তানি বৃদ্ধির হার অব্যাহত রয়েছে। আমদানি ব্যয় মেটানোর রিজার্ভ আমাদের এখনো তিনমাসের চেয়ে বেশি রয়েছে, ঊল্লেখ্য যে আইএমএফ এর শর্তের কারণেই আমাদেরকে ৩ মাসের আমদানি ব্যয়ের সমপরিমাণ রিজার্ভ রাখতে হয়। উদাহরণ আছে যে, বিগত সরকারের সময়ে বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ ১ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর পর্যায়ে নেমে এসেছিল।

এখন পর্যন্ত অর্থনীতিতে এমন কোন শংকা আমরা দেখছি না যে আমাদের আইএমএফ এর ঋণ নিতে বাধ্য হতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার নিম্ন লিখিত পদক্ষেপ নিতে পারে: ক. সরকারের অপচয়মূলক ব্যয় সংকোচনঃ সরকার পাবলিক এক্সপেন্ডিচার রিভিউ কমিশন গঠন করে সকল ক্ষেত্রে অপচয়মূলক ব্যয় সংকোচন করতে পারে। খ. অপ্রয়োজনীয় আমদানি সংকোচনঃ উব্লিউটিও চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশকে এটা সুযোগ দেওয়া হয়েছে যে, সরকার অপ্রয়োজনীয় সকল আমদানি বিভিন্ন ধরনের ট্যারিফ ও নন ট্যারিফ ব্যারিয়ার দিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বন্ধ রাখতে পারবে। এক্ষেত্রে সরকারের প্রচুর বৈদেশিক মূদ্রার সাশ্রয় হবে। গ. ভ্যাট নয়, সরাসরি করের আওতা বৃদ্ধিঃ ভ্যাটের সংগ্রহ সহজ কিন্তু এটা প্রায় ক্ষেত্রে বহন করতে হয় সাধারণ গরিব ও মধ্যবিত্তদের।

এক্ষেত্রে বিবেচনার প্রয়োজন রয়েছে। ব্যক্তি খাতে বিশেষ করে সরাসরি করের আওতা বৃদ্ধি এক্ষেত্রে কার্যকর বিকল্প হতে পারে। ঘ. দুর্নীতি দমনে সর্বাতœক প্রচেষ্টার বিকল্প নেইঃ অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, দুর্নীতি দমন কমিশনের ক্ষমতা কমানো হয়েছে। উন্নয়ন বরাদ্দের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে সরকারকে দুর্নীতি দমনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিশ্চিত করতে হবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.