আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মঙ্গলবার ৮ জানুয়ারী নোয়াখালী সফর করবেন বঙ্গবন্ধুর কণ্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, নোয়াখালী খাল পুন:খননকরণ, নোয়াখালীতে একটি ক্যাডেট কলেজ স্থাপন, নোয়াখালীতে সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা, নোয়াখালী সরকারি কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা, চৌমুহনী থেকে সোনাপুর পর্যন্ত রেল লাইনের পার্শ্বে একটি নতুন বিকল্প সড়ক নির্মাণ, সোনাপুর-চেয়ারম্যানঘাট পর্যন্ত রেল লাইন বর্ধিতকরণ, নোয়াখালী শহরের চান্দিনা ভিটি স্থায়ি বন্দোবস্ত ও মূল্য পুন:নির্ধারণ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা,বেগমগঞ্জ কৃষি প্রশিক্ষায়তনকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপদান ছাড়াও চৌমুহনীতে ফাইওভার নির্মান, সন্ধিপ- কোম্পানীগঞ্জ ক্রস-ডেম নির্মান, সোনাপুর জোরালগঞ্জ (পুরাতন চট্রগ্রাম সড়ক) পাকা সড়ক নির্মাণসহ এধিকদাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে উত্থাপন করা হবে। রোববার সকাল ১০টায় নোয়াখালী হাউজিং মাঠে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা আ.লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্য খায়রুল আনম সেলিমের সভাপতিত্বে নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী সাংবাদিক উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের সাংসদ জানান, ‘‘দীর্ঘ ১১বছর পর প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালী সফর করছেন। ১১বছর আগে প্রধানমন্ত্রী যে সংগঠন নিয়ে নোয়াখালী এসেছিলেন তার চেয়ে এখনকার সংগঠন একেবারে ভিন্ন। বর্তমান জেলা আ.লীগ অনেক সুসংগঠিত।

জেলা আ.লীগ ও সহযোগি সংগঠন একে অপরের সাথে এক তারে গাঁথা। আগামি ৮জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর নোয়াখালী সফর উপল্েয নোয়াখালীর মানুষের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এ মাঠে প্রধানমন্ত্রীকে ১০লাখ লোক সমাগম করে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে দেখিয়ে দেব নোয়াখালীবাসী উন্নয়নের পে একাঠ্রা। এই সফর বৃহত্তর নোয়াখালীর মানুষের উন্নয়নের জোয়ার’’। তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালীতে ১৭৫কোটি ৭০লাখ টাকা ব্যয়ে ১১টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করবেন।

গত চার বছরে নোয়াখালী সদর-সুবর্ণচরে প্রায় সাড়ে ৬শ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র যোগাযোগ খাতে ৩শ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এর আগে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের মাধ্যমে ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ ঘোষনা দিয়েছেন। এছাড়া তিনি কোম্পানীগঞ্জ গ্যাস ফিল্ডও উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষনা দিলে নোয়াখালীর চেহারায় পাল্টে যাবে’’।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিশেষ দাবি হলো, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষনা। নোয়াখালী সিটি কর্পোরেশন সম্পর্কে সাংসদ বলেন,‘‘আ.লীগ সরকার মতায় আসার পর ঘোষনা করেছেন যেসকল পৌরসভা পুরনো সেগুলোকে সিটি কর্পোরেশন ঘোষনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার মধ্যে নোয়াখালী পৌরসভা ৫নাম্বারে রয়েছে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষনা হলে নৌ-বন্দর, বিমান বন্দর হবে। নোয়াখালী বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষনা হলে এটি হবে বাংলাদেশের পঞ্চম বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল।

একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ৫০-৬০ ইপিজেড এর চেয়েও বড়। এটি ঘোষনা করা হলে এর সাথে আমাদের অনেক দাবি ধাওয়া চলে আসবে’’। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাংসদ বলেন, ‘‘বিগত ৩০বছরের চেয়ে নোয়াখালীতে চারগুণ বেশি উন্নয়ন হয়েছে। জেলায় ১৭টি কলেজের ভবন নিমার্ণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে দেড় কোটি টাকা করে ব্যয়ে ৫টি কলেজের ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

নোয়াখালীতে ৮০লাখ টাকা ব্যয়ে একটি শিশু পার্ক নিমার্ণধীন রয়েছে। নোয়াখালীর মাটি যে আ.লীগের ঘাঁটি সে আগামি ৮জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীকে প্রমাণ করবো’। তিনি বলেন,‘‘প্রধানমন্ত্রী এলে বিশেষ করে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক জোন ঘোষণা হলে এ জেলার মানুষের সব স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে’’। এছাড়া তিনি সভার সকল প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানান এবং সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মমিন বিএসসি, আবু তাহের, প্রচার সম্পাদক মাওলা লিটন, সদস্য জিএস আবুল কাশেম, মিয়া মোহাম্মদ শাহ্জাহান, ফখরুল ইসলাম মন্টু, কবি মোস্তফা ইকবাল, সদর উপজেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন, শহর আ.লীগ সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্যাহ খান সোহেল প্রমুখ।

প্রধানমন্ত্রী কোম্পানীগঞ্জের শাহাজাদপুরে সুন্দলপুর গ্যাস ফিল্ডের উদ্বোধন, নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজের নবনির্মিত ক্যাম্পাসের উদ্বোধন, সোনাইমুড়ি ও কবিরহাট উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের উদ্বোধন, সদর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন, সোনাইমুড়ি ও চাটখিল উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন, কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর রেগুলেটরের উদ্বোধন, নোয়াখালী পৌরভবনের ভিত্তি প্রস্তর, সোনাপুর-সুবর্নচর পর্যন্ত ৫ বছর মেয়াদী সড়ক রক্ষাণাবেক্ষন কাজের উদ্বোধনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করবেন। সম্ভাবনা রয়েছে নোয়াখালী উপকূলে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষনারও। আগামি কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নোয়াখালী সফরকে সফল করতে জোর প্রস্তুতি চলছে। বিশেষ করে সফর উপলক্ষ্যে আয়োজিত জনসভাকে ঘিরে এখন উজ্জীবিত নোয়াখালীর আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে। এজন্য দফায় দফায় চলছে বিশেষ বর্ধিত সভা ও জনসংযোগ।

জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা থেকে জনসভায় ১০ লক্ষাধিক জনসমাগমের টার্গেট নেওয়া হয়েছে। জনসভা আয়োজনের সার্বিক তদারকিতে রয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী। পোষ্টার, ব্যানার, মাইকিংসহ অভিরাম প্রচারণার প্রস্তুতি চলছে সমানতালে। নোয়াখালীর জেলা শহরের হাউজিং ময়দানে ৮ জানুয়ারি দুপুর ২টায় এ জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী শতাধিক কোটি টাকা ব্যায়ের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করবেন। বর্তমান সরকারের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নোয়াখালীতে এটি প্রথম সফর।

তাই দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উৎসুক্যের শেষ নেই। অতি পুরোনো এবং ঐতিহ্য বাহী এই নোয়াখালী জেলা ৩৩ লাখ ৭০ হাজার ২শত ৫১ লোকের বসবাস । আজো অবহেলিত , বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক জাতীয় সংসদের স্পীকার আব্দুল মালেক উকিলের মৃত্যুর পর বিএনপির ঘাটি বলে পরিচিত এ জেলায় দীর্ঘ ১১ বছর পর ৮ জানুয়ারী মঙ্গল বার বঙ্গবন্ধুর কণ্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে নোয়াখালী এখন উৎসব মুখর । উন্নয়নের স্বপ্ন দেখা নোয়াখালী বাসী এখন তাকিয়ে আছেন জেলা শহরের হাউজিং ময়দানে সভা মঞ্চ দিকে ৮ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা দিবেন অবেহেলিত নোয়াখালী বাসীর উন্নায়নের রুপ রেখা যা নোয়াখালীতে আওয়ামীলীগের পুরোনো সুদৃড় অবস্থান ফিরে আসাটা নিশ্চিত করবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।