আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিআইডি হেফাজতে আসামির মৃত্যু

রাজধানীর মালিবাগ ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) সদর দফতরের হাজতখানা থেকে আবদুল আজিজ (৩২) নামে এক আসামির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় হাজতখানার একটি কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গেছে, আজিজ মানিকগঞ্জের ঘিওর থানার শিশু অপহরণ ও হত্যা মামলার আসামি। বৃহস্পতিবার তাকে সিআইডির একটি টিম গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসে। পল্টন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তোফায়েল আহমেদ জানান, রাতে সিআইডি পুলিশের সদর দফতরের চতুর্থ তলার হাজতখানায় আবদুল আজিজ ও তানভীর আহমেদ ওরফে শরীফ নামে দুই আসামি ছিল। পরে ডিউটি অফিসার হাজতখানার তালা খুলে দেখতে পান পাশের এক রুমের দরজার সঙ্গে লুঙ্গির ফাঁস লাগানো অবস্থায় আজিজ ঝুলছে। তাকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পরে ঢাকা জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল জামিল লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে। আজিজের বাবার নাম মোহাম্মদ আলী। তার বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওর থানার বেড়াডাঙ্গা গ্রামে।

ড্রেনে যুবকের লাশ : মাদারটেক নতুনপাড়া মসজিদের সামনের ড্রেন থেকে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাতবাঁধা অবস্থায় জুয়েল (২২) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের পকেটে থাকা মোবাইলের কললিস্টের সূত্র ধরে পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। পুলিশের ধারণা, জুয়েলকে দুই দিন আগে হত্যার পর লাশ ড্রেনে ফেলা রাখা হয়েছে।

সবুজবাগ থানার এসআই জামাল জানান, সকালে পচা লাশের দুর্গন্ধ পায় স্থানীয়রা। তারা বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ড্রেনের মধ্য থেকে জুয়েলের লাশ উদ্ধার করেন। পকেটে থাকা মোবাইলের কললিস্টের নম্বর দেখে ফোন দেওয়া হয়। ফোন রিসিভ করেন তার বাবা শহিদুল ইসলাম। তিনি এসে তার ছেলে জুয়েলের লাশ শনাক্ত করেন। এসআই আরও জানান, ১৬৬/১ নতুন পাড়া মাদারটেক এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকত জুয়েল। বুধবার সন্ধ্যার পর সে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। পুলিশের ধারণা হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিত। খুব পরিচিত কেউ এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।

নিহতের বাবা শহিদুল ইসলাম জানান, জুয়েল ফকিরাপুলে একটি হোমিও ওষুধের দোকানে কাজ করত। বুধবার সন্ধ্যার পর বাসা থেকে বের হন। রাত ১০টার দিকে জুয়েলকে ফোন করে বাড়িওয়ালা বাসা ভাড়ার কথা জানান। জুয়েল বলেন, বাবা তুমি চিন্তা করো না, আমি কালিবাড়ি এলাকায় আছি। রাতে বাসায় এসে ভাড়া পরিশোধ করব। এই ছিল জুয়েলের সঙ্গে তার শেষ কথা। তিনি আরও জানান, তার জানা মতে, জুয়েলের সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ ছিল না। এমনকি জুয়েল কারও সঙ্গে আড্ডাও দিত না। ছেলের মৃত্যুতে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এসব কথা বলেন।

সবুজবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাজুল ইসলাম জানান, বিকালে নিহতের বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছে। হত্যার ক্লু উদ্ঘাটন ও জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.