আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তোমরা যারা জাফর ইকবাল হতে চাও??



জাফর ইকবাল স্যার, আমি ছাত্রলীগ করিনা। না আমি ছাত্রদলের সমর্থকও নই। না না স্যার, আমি শিবিরের কেউ না। স্যার আমার পরিচয় একটিই, আমি মুসলিম। লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই blog স্যার, ছোটকালে আপনার বই বের হয়েছে একথা শুনলেই তা পড়ার জন্য পাগল হয়ে যেতাম।

আপনি সত্যিই ছোটদের অসাধারণ বেশ কিছু বই উপহার দিয়েছেন। আপনার লেখা সাইন্স ফিকশনগুলোও ছোটদের বিজ্ঞান নিয়ে কৌতুহলী করে তোলে। স্যার, আমি শিবির অপছন্দ করতাম কারণ, আমার মাথায় ঢুকতোনা, মুসলমান যদি ভাই ভাই হয় তবে তার পরিচয় কেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি বা জামাত হবে? সবাই তো মুসলিম, সবাই তো ভাই ভাই। পরিচয় তো একটিই, আমরা মুসলিম। স্যার, এরপর আপনি যখন বলতেন, ওরা ১৯৭১ সালে অনেক অপকর্ম করেছে তখন কেন বিশ্বাস করবোনা বলেন? স্যার, সেদিন দেখলাম আপনি তরুণদের ছাত্রলীগ, ছাত্রদল এবং ছাত্রশিবির ইত্যাদি Category- তে ভাগ করছেন।

অন্যদের ভাগ করছেন অওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং যুদ্ধাপরাধি জামাত Category- তে। কিন্তু স্যার, আমি আজও কাউকে ভাগ করতে পারলামনা। কারণ আমি জানি ছাত্রলীগের যে ছেলেটা "জয় বাংলা" বলে শ্লোগান দেয় সে আমার ভাই, ছাত্রদলের যে ছেলেটা "বাংলাদেশ জিন্দাবাদ" বলে শ্লোগান দেয় সেও আমার ভাই, শিবিরের যে ছেলেটা "আল্লাহু আকবার" বলে শ্লোগান দেয় সেও আমারই ভাই। কারণ ৩টি ছেলেই যে মুসলিম। ৩ টি ছেলেই যে বিশ্বাস করে, আল্লাহ বলে একজন আছেন।

মুহাম্মাদ (সাঃ) সত্যিই একজন আল্লাহর প্রেরিত রাসূল ছিলেন, যিনি একজন মহামানব। তিনটি ছেলেই যে কোরান পড়ে, বিপদে আল্লাহকে ডাকে। পরকাল, কেয়ামত, জান্নাত, জাহান্নাম বিশ্বাস করে এবং নিজেকে মুসলিম বলে দাবি করে। এবার বলেন স্যার, আমি কিভাবে তাদের ভাগ করবো? এই ৩টি ছেলে এবং তারা সবাই তো আমার ভাই। না না স্যার, আমি জোড় করে ভাই দাবি করছিনা।

আল্লাহই কোরানে আমাকে জানিয়েছেন তারা আমার ভাই__হামিম: ১০, পারা ২৬:-- "মুসলিমরা পরস্পর ভাই ভাই" রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "মুসলিমরা পরস্পর ভাই ভাই। তারা একটি পরিবার সদৃশ। এক মুসলিমের রক্ত অন্য মুসলিমের জন্য হারাম। যে তার এক মুসলিম ভাইকে হত্যা করল সে কাফির হয়ে গেল। " স্যার, আপনিই বলেন, আল্লাহ কি মিথ্যা বলতে পারেন? আল আমীন, আস সাদিক হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) কি কখনো মিথ্যা বলেছেন? তাই আমি আমার ভাইদের কোন দলীয় ভাগে ভাগ করিনা।

স্যার, ছাত্র শিবিরের হাতে যদি কোন ছাত্রলীগের ছেলে মারা যায় তখন আপনি বলেন, ছাত্রলীগের ছেলেটাকে শিবির মেরেছে। অথবা ছাত্রলীগের হাতে যখন কোন শিবিরের ছেলে হত্যা হয় তখন আপনি ছাত্রলীগকে দায়ী করেন আর শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানান। কিন্তু স্যার, আমি তখন আমার ২জন ভাইকে হারানোর ব্যাথায় কান্নায় ভেঙ্গে পরি। আমি তখন খোঁজ নেইনা কে শিবিরের আর কে ছাত্রলীগের। কারণ আমার কাছে তো সে আমার ভাই, ছাত্রলীগ বা শিবির না।

স্যার, আমি তখন হত্যাকারীকে ছাত্রলীগ বা শিবির Category- তে ফেলিনা। আমি তাকে আর মুসলিম ভাবতে পারিনা, সে কাফির। কারণ সে তার অন্য মুসলিম ভাইটিকে হত্যা করেছে। স্যার আমি মানিনা আপনাদের বানানো কোন দল। মানিনা.. বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামাত, জাতীয় পার্টি।

কিভাবে মানবো বলেন? আল্লাহই তো আমাকে মানা করেছেন__ ১০৩: তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়োনা। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্বরণ কর: তোমরা ছিলে পরস্পর শত্রু এবং তিনি তোমাদের হৃদয়ে প্রীতির সঞ্চার করেন, ফলে তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে। তোমরা তো অগ্নিকুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হইতে তোমাদিগকে রক্ষা করিয়াছেন। এইরূপে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাহার নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃত করেন যাহাতে তোমরা সৎ পথ পাইতে পার। ১০৪: তোমাদের মধ্যে এমন একদল হউক যাহারা কল্যাণের দিকে আহবান করিবে এবং সৎকার্যের নির্দেশ দিবে ও অসৎকার্যে নিষেধ করিবে, ইহারাই সফলকাম।

১০৫: তোমরা তাহাদের মত হইও না যাহারা তাহাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসিবার পর বিচ্ছিন্ন হইয়াছে ও নিজেদের মধ্যে মতান্তর সৃষ্টি করিয়াছে। তাহাদের জন্য মহাশাস্তি রহিয়াছে। (সূরা আল ইমরান) স্যার, এবার বলেন, আমি কিভাবে কোন দলকে সমর্থন দিব? কিভাবে আল্লাহর আদেশের পরও, "মুসলিমরা দলে দলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাক" এমন কামনা করব? আমি তো মহাপুরষ্কারের আশা করি মহাশাস্তি কখনোই না। আমি জামাত না, না বিএনপি আর না আওয়ামী লীগ। আমার পরিচয়, আমি মুসলিম এবং আমার দেশ বাংলাদেশ।

না ভারত, না পাকিস্তান। তাই যারা মুসলিম, যারা বাংলাদেশের মানুষ তারা আমার ভাই। যারা আমার ভাইদের বিভক্ত করতে চায়, যারা আমার দেশকে ভারত, পাকিস্তান বানাতে চায় তাদের জন্য আমি সমর্থন করিনা। স্যার, আপনার লেখা আমি মিস করিনা। সেদিন একটা পত্রিকায় আপনার লেখাটা পড়লাম।

আপনি শিবিরের ছেলেদের নিজের শরীর থেকে সাইনবোর্ড খুলে ফেলে বাংলাদেশের মানুষ হতে বলেছেন। স্যার, আমি খুশি হতে চেয়েছিলাম। কারণ ভেবেছিলাম, আপনি আমার ভাইদের দলীয় মানষিকতা ছুড়ে ফেলতে বলবেন। স্যার, আমি শিবিরের কেউ না। তাদেরকে নিয়ে কিছু বললে আমার কিছু যায় আসেনা।

কিন্তু স্যার, আপনি আমাকে হতাশ করেছেন। আপনি আমাকে বিক্ষুব্ধ করে তুলেছেন। স্যার, আপনি বলেছেন, " নতুন পৃথিবী হচ্ছে মুক্তচিন্তার পুরোপুরি অসাম্প্রদায়িক একটা পৃথিবী। এই নতুন পৃথিবীর মানুষেরা অসাধারণ, তারা একে অন্যের ধর্মকে সম্মান করতে শিখেছে, একে অন্যের সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যকে উপভোগ করতে শিখেছে, একে অন্যের চিন্তাকে মূল্য দিতে শিখেছে। এই নতুন পৃথিবীতে মানুষে মানুষে কোনো বিভাজন নেই।

দেশ-জাতির সীমারেখা পর্যন্ত ধীরে ধীরে উঠে যাচ্ছে। তাই এই নতুন পৃথিবীতে যখন কেউ ধর্ম দিয়ে মানুষকে বিভাজন করে রাজনীতি করতে চায়, পৃথিবীর মানুষ তখন তাকে পরিত্যাগ করে। " অথচ স্যার, এই লেখাতেই আপনি নির্লজ্জভাবে আমার ধর্ম, আমার বিশ্বাস, আমার চিন্তা চেতনাকে চরমভাবে অপমান করেছেন, ছোট করেছেন, মিথ্যাচার করেছেন, প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। আপনি বলেছেন মুক্তচিন্তার কথা। অথচ আমার চিন্তাকে আপনি কত নীচু চোখে মুল্যায়ন করেন সেটি আপনি স্পষ্ট করে তুলেছেন।

মুখে বললেও আপনার মন যে কত সংকীর্ণ তা প্রমাণ করেছেন। স্যার, যখন মায়ানমারে অহিংসার বাণী প্রচারকেরা মুসলিমদের উপর নির্বিচারে গণহত্যা চলেছিল, কিছুদিন আগে যখন ফিলিস্তিনীদের উপর গণহত্যা শুরু হয়েছিল। ইরাক, আফগানিস্তানে মুক্তচিন্তার রপ্তানিকারকেরা ধংশযজ্ঞ চালিয়েছিল। নিরপরাধ নারী, শিশু, পুরুষকে হত্যা করেছিল, শত শত নারীকে কারাগারে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছিল সেদিন আপনি কোথায় ছিলেন স্যার? সেদিন কেন আপনার মুক্তবুদ্ধি আপনাকে চুপ করে রেখেছিল? স্যার তাদের দোষটা কি বলবেন? দোষ এই, কেন তারা মুসলিম? কেন ধর্ম পালন করতে চায়? তাইনা স্যার? এভাবেই কি নতুন পৃথিবীর মুক্তচিন্তার মানুষেরা ইসলাম ধর্মকে সন্মান করে স্যার? স্যার, আপনি ইসলামিক ব্যাবস্হাকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন তালেবানি আফগান দিয়ে অথবা কোন রাজনৈতিক দলের মতাদর্শ দিয়ে। অথচ তালেবান বা কোন ইসলামিক লেবেল লাগানো পার্টি ইসলামের রূপ হতে পারেনা, উদাহরণ হতে পারেনা।

আল্লাহ এক, আমাদের ধর্মগ্রন্হও একটি- আল কোরআন, ইসলামের নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) আর ইসলামিক শাসন ব্যাবস্হার উদাহরণ ও রূপ একটাই তা হল__ রাসূল (সাঃ) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মদিনার ফেলাফত ব্যাবস্হা, খোলাফায়ে রাশেদীন এর স্বর্ণযুগ। যেখানে একজন সাধারণ মহিলার কাছেও ওমর (রাঃ) এর মত অর্ধেক পৃথিবীর শাসক মুসলিমদের খলিফা হিসেবে জবাবদিহি করতে বাধ্য হন। যেখানে একজন পুরুষ কোন নারীর প্রতি অপবাদ দিয়ে যদি ৪ জন সাক্ষি উপস্হিত করতে না পারে তবে সেই পুরুষকে সবার সামনে ৮০টি চাবুকের বারি খেতে হয়। যেখানে কোন রাজনৈতিক দল ছিলনা কারণ ভাইয়েরা কেন দলাদলি করবে? তারা তো একটি পরিবারের সদস্য। স্যার, বাংলাদেশি তরুণদের চরিত্র কেমন হওয়া উচিত আপনি তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

আপনার কথায়__ যে বয়সে তাদের একুশে ফেব্রুয়ারিতে প্রভাতফেরি করার কথা, ষোলোই ডিসেম্বরে স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়ার কথা, পয়লা বৈশাখে রাজপথে রবীন্দ্রসংগীত গাওয়ার কথা, সেই বয়সে তারা যে শুধু এই অবিশ্বাস্য আনন্দ থেকে নিজেদের বঞ্চিত করে রাখে তা নয়, তারা এগুলোকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে। যে বয়সে তাদের মুক্তচিন্তা শেখার কথা, গান গাওয়ার কথা, নাটক করার কথা, আদর্শ নিয়ে ভাবালুতায় ডুবে যাওয়ার কথা, সেই সময় তারা ক্ষুদ্র গণ্ডির মধ্যে নিজেদের আটকে রাখতে শেখে, সাম্প্রদায়িক হতে শেখে, ধর্মান্ধ হতে শেখে। যে বয়সে ছেলে আর মেয়ের ভেতর সহজ ভালো লাগা ভালোবাসা জন্ম নেওয়ার কথা, সেই বয়সে তারা সেই অনুভূতিগুলোকে অশ্রদ্ধা করতে শেখে— সে জন্য তারা কত দূর যেতে পারে, সেটা আমি নিজের চোখে দেখেছি, সেই ভয়ংকর কাহিনি আমি কখনো কাউকে বলতেও পারব না! স্যার, বাংলা ভাষা এবং সংস্কৃতির প্রতি এত দরদ দেখানো আপনার তো মানায় না। আমরাই দেখেছি আপনি হিন্দি গানের তালে তালে নিজের মেয়ের বয়সী তরুণীর হাত ধরে মাতালের মত নাচছেন, তা কি মিথ্যা স্যার? স্যার, আমি শিবির করিনা কিন্তু আমিও প্রভাতফেরি, ১৬ ডিসেম্বরে স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে যাইনা। তার জন্য আমার একটুও দুঃখবোধ নেই।

কারণ আমি জানি ঔ ফুলগুলো মৃত মানুষগুলোর কবরে পৌছায় না, না তাদের কোন কল্যাণে আসে। স্যার, বিশ্বাস করেন ২১ শে ফেব্রুয়ারি আর ১৬ ডিসেম্বরে ফজরের নামাজ পড়ে নিজের জন্য দোয়া করার আগে সালাম, রফিক, বরকতদের জন্য দোয়া করি। মুক্তিযুদ্ধে নির্মম গণহত্যার শিকার লাখ লাখ মানুষগুলোর জন্য দোয়া করি। হে আল্লাহ! এই মানুষগুলোকে তুমি শহীদ হিসেবে কবুল কর, তাদেরকে জান্নাতের বাগ বাঁগিচা আর ঝর্ণার মাঝে দাখিল কর। তাদের আত্নত্যাগে যে দেশ, যে ভাষার অধিকার পেয়েছি তাকে তুমি নিরাপদ কর।

স্যার, কোন পহেলা বৈশাখের কথা বলছেন? যেখানে আমার বোনেরা প্রগতিশীল পোশাক পরে প্রগতিশীল সাঁজতে গিয়ে রবীন্দ্র সংগীতে মশগুল হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু প্রগতিশীল ছাত্রদের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হয় অথচ আপনার আদর্শ প্রচারক পত্র পত্রিকা, মিডিয়া বেমালুম সে খবর চেঁপে যায় ,সেই উৎসব? স্যার, আমি কেন মঙ্গল শোভাযাত্রায় যাব? আমি তো কুসংষ্কারে বিশ্বাস করিনা। আমি জানি মঙ্গল- অমঙ্গল সবই আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়। গানতো স্যার আমিও শুনি তবে যে গানে ভেসে উঠে আল্লাহ, রাসূল ও ইসলামের সৌন্দর্যের কথা। নাটক? আসলেই নাটক স্যার। না হলে নাটকের জন্য বাঁধনরা কেন আপনাদের কাছে শরীর বিক্রি করে? কেনই বা কিছুদিন পর পর তাদের সেক্স ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে যায়? স্যার, তারা প্রেম কেন করেনা? পবিত্র প্রেমের সম্পর্ককে অশ্রদ্ধা করে।

স্যার তাইতো আমরা যদি গান বাজনা ,প্রেম নিয়ে না মাতি তো আপনাদের পকেটে টাকা আসবে কিভাবে? আমাদের গার্লফ্রেন্ড ধরা উচিত, ব্যাভিচার করা উচিত। তাতেই তো আপনারা তরুণ প্রজন্মকে নৈতিকভাবে ধ্বংশ করে দিতে পারবেন। আপনাদের কথার প্রতিবাদ করার কেউ থাকবেনা। তাই আপনারা প্রচার করেন, প্রেম পবিত্র, প্রেমিক প্রেমিকার মাঝে যৌন সম্পর্ক দোষের কিছুনা। স্যার, ১৯৭১ সালে ২লাখ নারী ধর্ষণের জন্য যদি জামায়াত জড়িত হয়, তবে স্যার মুক্তিযুদ্ধের পরে যত বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের সেঞ্চুরি উৎসব হয়েছে, যত নারী ধর্ষিত হয়েছে, যত নারী বয়ফ্রেন্ডের হাতে স্বতীত্ব হারিয়েছে, যত নারীর যৌন ভিডিও বাজারে বের হয়েছে, যত তরুণ চরিত্রহীন হয়ে নারীদেহ লোভী হয়ে উঠেছে তার জন্য আপনি দায়ী এবং আপনার মত মুক্তচিন্তার বুদ্ধিজীবিরা দায়ি।

স্যার, ১৯৭১ এর ধর্ষকদের যেমন বিচার চাই, ঠিক তেমনি আপনার বিচার চাই। স্যার, ভয় নেই দুনিয়ার আদালতে না, আল্লাহর আদালতে আপনার বিচার চাই। স্যার, আপনি মুক্তচিন্তার কথা বলেন। অথচ কতটা নীচ, হীন মন-মানষিকতার লোক হলে কেউ বলতে পারে, ধর্ম পালন করলে মানুষ হয়ে যায় ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক.. তা আমার বলতে রুচিতে বাঁধে। স্যার, এটাই আপনার এত বড় লেখার আসল কথা, তোমরা কেন ধর্ম পালন করতে চাও?? আপনার সমস্যা শিবিরকে ঘীরে না আপনার সমস্যা ধর্মে।

আজ যদি ছাত্রলীগের বা ছাত্রদলের কেউ ধর্ম মেনে চলতে চায় তখন আপনার চোখে সেও ধর্মান্ধ, সাম্পদায়িক তাইনা স্যার? স্যার, আপনার চোখে পৃথিবীতে এসব কাজ সুন্দর হলেও আমাদের চোখে সেসব অসুন্দর, কুৎসিত। কারণ, এটাই আপনার জিবন। আপনি আপনার স্রস্টাকে অস্বীকার করেন, পরকাল বলে কিছু আছে বিশ্বাস করেননা। তাই আপনার সব ফুর্তি পৃথিবীকে ঘীরেই যদিও তা অশ্লীল হয়। স্যার, আমি বিশ্বাস করতাম, কেউ না গেলেও আপনি ট্রাইবুনালে যাবেন।

যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মানুষের বিপক্ষে অবস্হান নিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবেন। কিন্তু স্যার, আপনি যাননি। আপনার সাহস হয়নি। কিন্তু কেন স্যার?? তাহলে কি আপনার লেখায় এতদিন যা পড়েছি সব মিথ্যা? আপনি কি তবে মিথ্যাবাদি? তাই স্যার আপনার কোন অধিকার নেই স্বাধীনতার সপক্ষের লোক বলে নিজেকে দাবি করার। কারণ সে অধিকার আপনি হারিয়েছেন।

স্যার আমার পরিচয় একটিই স্যার আমি মুসলিম, আল্লাহর পুঁজারি। আমি আমার মুসলিম পরিচয় নিয়ে কখনই হীনমনণ্যতায় ভুগিনা, নিজেকে ছোট ভাবিনা বরং নিজেকে মুসলিম ভাবতে গর্ববোধ করি। স্যার, আপনি বলেছেন, যারা ধর্ম পালন করে তারা ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িক হয়। স্যার আপনি কি আমার কোরআন পড়েছেন? আপনি কি আমার রাসূল (সাঃ) এর ইতিহাস পড়েছেন? স্যার, আল্লাহ আমার মনকে ছোট করেননি, সাম্প্রদায়িক করেননি বরং মনকে বড় করতে বলেছেন__ " মুমিনদিগকে বল, তাহারা ক্ষমা করে উহাদিগকে, যাহারা আল্লাহর দিবসগুলির প্রত্যাশা করেনা। ইহা এইজন্য যে, আল্লাহ প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তাহার কৃতকর্মের প্রতিদান দিবেন।

(সুরা জাছিয়া: ২৫) " তাই স্যার, আপনার প্রতি করুণা হয়। যে, আল্লাহ আপনাদের মত মানুষকে অবলীলায় ক্ষমা করতে বলেন, আপনি তার বিরোধীতায় মেতে ওঠেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.