আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রিয় হারাবার দিনগুলোতে নজরুল :: আরও কিছু কথা!!!

সসকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

এই মাত্র আমার ভগ্নিপতি আমাকে জানে মারার হুমকি দিয়েছেন।

আমার বউ নামের কলঙ্ক আমাকে ফোন দিয়ে মাঝে মাঝে হত্যার হুমকি দেয়। হায়রে কপাল!!! যিনি মৃত্যুকে জয় করে ঊর্ধে চলে যায়, মৃত্যুকে যিনি নিত্যদিন নিজের পরম বন্ধু ভেবে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যায় জীবনে মানুষের মতো বেঁচে থাকার অধীকার যে শুধু তাঁরই আছে। নজরুলের একটি বাণী খুব করে মনে পড়ছে, “মৃত্যু ভয় মেরেছে তোদের, মৃত্যু তোদের মারেনি ভাই। । তাই মরে সব ভুত হলি তোরা আলোকের দূত হলিনে তাই।

। ” দেখ বন্ধু আমি অনেক দিন থেকে নজরুলের এই চেতনাকে নিজের মনের মধ্যে নিয়ে জীবনকে দেখেছি। আজও আমার চোখ সূর্যের মতো। যার তেজে মানুষ শীতের মধ্যে খানিকটা রোদ পায়। আবার দেখো আবার ঐ সূর্য দাবানল হয় আট্রেলিয়ার মতো একটি ঠান্ডা কান্ট্রির বন জঙ্গলকে জ্বালিয়ে পুরিয়ে ছাড়খাড় করে দিতে পারে।

আবার ঐ সূর্য রবিন্দ্রনাথের মতো ঠান্ডা শচীন টেন্ডুলকারের মতো রূপ নিয়ে তোমাকে শোনাতে পারে, “আমারো পরানো যাহা চায়, তুমি তাই, তুমি তাই গো.............আমি তোমার বিরহে রহিবো বিলীন, তোমাতে করিবো বাস, দীর্ঘ দিবস, দীর্ঘ রজনী, দীর্ঘ বরস মাস....”। তোমার হৃদয় মাঝারে এই মহামানবদের শক্তির সূর্যকে সত্যজ্ঞানে শ্রদ্ধা ও সন্মান দেয়ার মাধ্যমে সত্যের জন্ম দিতে পারে। এ যে অনুভুতির ঊর্ধে আর এক অনুভুতি। এই অনুভুতির ছোয়া যারা পায় নি তারা কি করে বুঝবে ফিলিংস কাকে বলে। তোমরা যে তোমাদের আত্মাকে নিয়মিতো ফিলিংস নামের মিথ্যে জঞ্জালে কলঙ্কিত করে রেখেছো।

আমি টাকা চাইলে তোমরা আমাকে ভুল বুঝবে আমি তা জানি বন্ধু। তারপরও চাচ্ছি। কেনো জানো আমি যে সমাজের সামাজিক মানুষ গুলোর মধ্যে বাস করি তাদের কাছে যেনো আমাকে ছোট না হতে হয়। কিন্তু কোনো ভক্তের কাছে লেখক যে কখনও ছোটো হয় না। তোমাদের মধ্য থেকে যদি কেউ আমাকে আজ আর্থীক সাহায্য বা ঋণ দিতে তাহলে আমার আমি আরও টেনশন মুক্ত হয়ে লিখতে পারতাম।

তারপরও বলছি একজন সত্যিকারের যুগ স্রোষ্টা যে টেনশনকে চিরদিনের জন্য পেনশনে পাঠিয়ে তারপর তোমাদের মাঝে আবির্ভুত হও। যে লেখায় তুমি তোমার মন্তব্যের ভাষা হারিয়ে ফেলবে সেটাই যে প্রকৃত সত্য বন্ধু!!! এমন এক কঠিন পরিস্থিতিতে আমার প্রাণের প্রিয় গুরু নজরুল লিখেছিলেনঃ বন্ধু গো বড় বিষ জ্বালা এই বুকে, তাই দেখিয়া, শুনিয়া, ক্ষেপিয়া, গিয়াছি যাহা আসে বলি মুখে। । আমাদের মহানবী (সঃ) এর জীবন থেকে শিখতে পাবে “মহানবীর শিক্ষা, করোনা ভিক্ষা, মেহনত করে খাও সবে”। আমি কি মেহনত করে আমার ভক্তদের মাঝে সত্যের প্রকাশ ঘটাতে চাচ্ছি কি না বলো? বন্ধু, তোমরা আমাকে ভুল বোঝ না।

আমি যে ফুলের মতো তোমাদের মাঝে নিত্যদিন ফুঁটে নিজেকে ঝড়িয়ে দেই। আমার প্রাণের আদর্শ নজরুল তার বন্ধু মোতাহার হোসেন চৌধুরী যাকে তিনি মতিহার বলে সম্বোধন করতেন; কাজী মোতাহার হোসেন নজরুলের লেখা এক চিঠিতে বলেছিলেন, “বন্ধু! আমি যেদিন চলে যাবো হয়তো কতো সভা, সেমিনার হবে আমার নামে। ত্যাগী, নেতা, বীর বলে সম্বোধন করবে। বক্তার পর বক্তা টেবিল ভেঙে ফেলবে থাপ্পর মেরে, সেই অসুন্দরের শ্রদ্ধা নিবেদনের বন্ধু তুমি যেনো যেও না, যদি পারো চুপটি করে আমার জীবনের অজানা কোনো অধ্যায়ের কথা স্মরণ করে পথে ঝড়া কোনো ফুল পেলে তাকে আলিঙ্গন করে বলো, আমি তোমায় পেয়েছি বন্ধু”। নজরুলের প্রকৃত আদর্শে আদর্শিত মানুষ কখনও যে মিথ্যে বলতে পারে না।

নজরুলকে বুকে নিতে পারার শক্তি যার আছে তার যে মিথ্যে বলার ক্ষমতা হারিয়ে যায়। সে যে মহাকালের চীর ক্ষমতায় ঊর্ধের আর এক মানুষ হয়ে সবার মাঝে বিচরণ করে। আমি টাকা চেয়েছি বলে তোমরা আমাকে এতোখানী ভুল বুঝলে। আমি যে তোমাদের মতো না কিন্তু ভক্তের হৃদয়ে যে আমাদের স্থান। শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রক্ষ্মচারীর একটি বানী আছে, “তোরা আমার চরন ধরিস না, আচরন ধর”।

আবার তিনিই বলেছেন, “যত গুপ্ত ততো পোক্ত”। মহামানবরা যে সত্যকথা বলেন। যারা সারাজীবন তাদের মাজার, কবর বা মাটির মূর্তি দেখে অভ্যস্থ তারা কিকরে তাদের এই মহামূল্যবান কথাগুলো হৃদয়ে ধারন করবে বলো? মহামানবদের হৃদয়ে জাগ্রত করার জন্য বিশাল বড় হৃদয় লাগে। “সদর উদ্দীন আহমেদ চিশতী” তাকে আমি আমার জীবনে সামনা সামনি একবার দেখেছি। তখন তার উপর ভক্তি আসে নি বলে তাকে মন দিয়ে সেজদা করিনি।

এতো আমার ব্যার্থতা গুরুর ব্যার্থতা নয়। একজন মহামানব তো মানুষের রাখাল। মেষ ভেরা তো রাখালের কথা শুনতে চায় না তাই বলে কি রাখালের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়। একজন আদর্শিক রাখাল কখনও পশুদের ভুল পথে যেতে চায় না। তা তোমরা যদি যিষু খৃষ্টের বলা “রাখাল ও একটি দুষ্ট মেষ” নামক রূপক গল্পটি হৃয়য়ে প্রতিষ্ঠিত করতে পারো তাহলে বুঝবে।

আমাকে তোমরা যা ইচ্ছে তাই মনে করো কিন্তু ভুল বোঝ না। ভুল বলে প্রচার করো না। আরে ভুল যে সত্যের চীর শত্রু। আমাকে অভিষাপ দেবার ক্ষমতা তোমাদের দেয়া হয় নি। কেস, মামলা, সাধারণ ডায়রী তোমাদের মানায় আমাকে না।

তোমাদের মধ্য থেকে যদি কেউ আমার ভগ্নিপতিকে বুঝিয়ে দিতে পারো সত্যের শক্তি কতোখানী তাহলে তার ভুল এমনিতেই ভেঙ্গে যাবে। আমার আর ভাঙ্গাতে হবে না। আমি তো একজনের ভুলের কাছে জিম্মি নই। ভুলকে সংশোধনে রুপান্তর করার জন্যই হযরত মোহাম্মদ (সঃ), মাওলা আলী (রাঃ), হাসান (রাঃ), হোসাইন (রাঃ), শ্রী কৃষ্ণ চৈতন্য প্রভু, গৌতম বুদ্ধ, বাবা লোকনাথ, লালন ফকির, শ্রী রাম কৃষ্ণ পরমহংসদেব, নজরুলদের প্রমুখ গুরুদের আবির্ভাব হয়। তাদের স্থান যে ধর্মের ঊর্দ্ধে।

অধর্মকে তাড়িয়ে তারাই যে সত্যের রূপকার হয়ে নিত্যদিন ধর্মকে প্রতিষ্ঠিত করছে। তুমি যদি প্রকৃত মানুষ হও তাহলে তুমি তার বাণী তোমার হৃদয় দিয়েই অনুভব করতে পারবে। শুধু ব্লগের একটি লেখা ভেবে আমায় ভুল বোঝ না। একদিন সন্ধ্যায় বাবা লোকনাথের আশ্রমে গিয়ে নজরুলের একটি বিখ্যাত গান “কি দিয়ে পূজিব ভগবান, তোমারে আমি” এই গানটি জৈনক শিল্পী গেয়ে ছিলেন। সেই গানের লিরিক থেকে তাওহীদ কথাটিকে বাদ দিয়ে অন্য একটি শব্দ বসিয়ে গাওয়া হচ্ছে।

আরে বন্ধু তাওহীদ অর্থ একাত্ববাদ এটি শুধু যে মোসলমানের শব্দ কেনো ভাবছো এই তাওহীদের বানী সব ধর্মেরই মর্মকথা। যাই হোক আমার লাঞ্চ টাইম হয়ে যাচ্ছে আসল বিষয় বিকেলে লেখার চেষ্টা করবো। টাকার সংস্থান হল খানিকটা টেনশন মুক্ত থাকতাম। তোমরা তোমাদের জেগে ওঠাকে আরও বেগবান করে যাও আমি তোমাদের সংগে আছি। দুনিয়ার কোনো আদালতে একজন প্রকৃত মোমিন কে সাজা দিতে পারে না।

একজন বঞ্চিত মানুষের রক্ত যে বিবেককে তাড়িয়ে বেড়ায়। নজরুলের চেতনাই একজন প্রকৃত বাঙালীর চেতনা হয়ে উঠতে পারে। আজ মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। যাদের বিজয় সারাজীবনই হয় তাদের হৃদয় দিয়ে একদিন বিজয় দিবস নামক অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। তার শক্তি যে অসীম।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.