আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুলিশ পাহারায় ঢাকা ছাড়ছে দূরপাল্লার বাস

বিএনপিসহ ১৮-দলীয় জোটের পঞ্চম দফায় ডাকা ৮৩ ঘণ্টা অবরোধের প্রথম দিন গতকাল সকাল থেকেই মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গেছে। এদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা পৌনে ২টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, হালুয়াঘাট, শেরপুর, তাড়াইলের উদ্দেশে ১৫টি বাস ছেড়ে যায়। তবে গাবতলী ও সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি।

সকাল থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশে এনা ট্রান্সপোর্ট, শামীম এন্টারপ্রাইজের বাস গন্তব্যের উদ্দেশে টার্মিনাল ছেড়ে যায়। এ ছাড়া শ্যামলী বাংলা, বৈশাখী, আলম এশিয়ার বাসগুলোও দূরের যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে যাত্রা করে।

তবে অবরোধের কারণে বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে যাত্রীবাহী এ বাসগুলোকে গন্তব্যে পেঁৗছে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মহাখালী বাস টার্মিনাল পুলিশ ফাঁড়ির ট্রাফিক ইনস্ট্রাকটর মিজানুর রশিদ জানান, অবরোধের কারণে যাত্রীদের উপস্থিতি কম ছিল। তবুও সকাল থেকেই দূরপাল্লার ১৫টি বাস মহাখালী টার্মিনাল ছেড়েছে। নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশ আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত নিরাপত্তা দিচ্ছে। এরপর যেসব জেলার ওপর দিয়ে গাড়িগুলো যাচ্ছে সেই জেলার ট্রাফিক পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে গাড়ি নির্দিষ্ট গন্তব্যে পেঁৗছে দিচ্ছে।

এনা এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার মাস্টার উজ্জ্বল বলেন, ময়মনসিংহ রুটের একটি বাস গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। বিকাল ৩টায় আরও একটি ছেড়ে যাবে। তিনি বলেন, যে পুলিশ ভ্যান আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত নিরাপত্তা দিচ্ছে সেটি ফিরে এলে অন্য আরেকটি বাস ছেড়ে যাচ্ছে। এ কারণে যাত্রী থাকা সত্ত্বেও যথাসময়ে বাস ছাড়া যাচ্ছে না।

গাবতলী বাস টার্মিনালের খুলনা রুটে চলাচলকারী 'সুমন ডিলাঙ্' পরিবহনের স্টাফ সোহরাব হোসেন বলেন, মন্ত্রী ঘোষণা দিলে কী হবে, তিনি তো সড়কের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেননি।

পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিলে বাস ছাড়তে কোনো বাধা নেই। 'নিরাপত্তার জন্য প্রতি বাসে দু-তিন জন করে পুলিশ দিলে আমরা বাস ছাড়তে পারতাম। প্রয়োজনে তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করতাম আমরা', বলেন সোহরাব। নিরাপত্তাহীনতার কারণে অবরোধে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে জানান তিনি। রাজশাহীগামী 'রোজিনা' পরিহনের স্টাফ সুব্রতকুমার রায় জানান, ইচ্ছা থাকলেও ভাঙচুরের ভয়ে বাস ছাড়তে পারছেন না তারা।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, অবরোধে শিল্পপণ্য মহাসড়ক দিয়ে নির্দিষ্ট স্থান থেকে গন্তব্যে পেঁৗছাতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ পাহারায় এক জেলা থেকে অন্য জেলায় শিল্পপণ্য পরিবহন চলছে বলে জানান নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলাম। তিনি জানান, এলাকা ভাগ করে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে শিল্পপণ্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পেঁৗছে দেওয়া হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় রাতের বেলা শিল্পপণ্যবোঝাই ৫০০-৬০০ যান এক সারিতে অপেক্ষা করে। পরে যানগুলোর ফাঁকে ফাঁকে পুলিশের গাড়ি দিয়ে প্রহরার মাধ্যমে মেঘনা ব্রিজ পর্যন্ত পেঁৗছে দেওয়া হয়।

একই পন্থায় গাজীপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে পণ্য আসার সময় সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড পর্যন্ত পেঁৗছে দিচ্ছে।

তিনি আরও জানান, পুলিশ পাহারায় সাইনবোর্ড থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার এলাকা পণ্য যান পরিবহনের সময় নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জ পুলিশের ৭টি ও হাইওয়ে পুলিশের ১-২টি গাড়ি কাজ করছে। রাত ২টা পর্যন্ত একটি টিম কাজ করে পুনরায় ভোর ৫টা থেকে আবার আরেক টিম কাজ করছে। পুলিশ সুপার জানান, অবরোধে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে পুুলিশের এ সার্ভিস জারি থাকবে।

উল্লেখ্য, নারাণয়গঞ্জের ওপর দিয়েই দেশের গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক। এ সড়কের কাঁচপুর ব্রিজ দেশের ৩৮টি জেলার যোগাযোগমাধ্যম।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.