আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আবাহনী সহজেই হারাল মোহামেডানকে

নেই সেই আবেদন। নেই সেই দর্শকপ্রিয়তা। তারপরও বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই দলের নাম আবাহনী ও মোহামেডান। ক্রিকেট, ফুটবল, হকি- যে কোনো ধরনের ইভেন্টেই এই দুই দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা মানে বাড়তি আমেজ, প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এই প্রথম সিলেটে মুখোমুখি হলো দুই দল।

খেললো আম্বার বিজয় দিবস টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে। দুই দলের লড়াইটি ছিল একতরফা। একপেশে ম্যাচে আবাহনী ৭৭ রানে হারিয়েছে চির প্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানকে।

আগের ম্যাচে ইউসিবি বিসিবি একাদশের বিপক্ষে করেছিলেন শূন্য রান। গত এক-দেড় বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে রান করতে থাকা মুশফিকের সঙ্গে বড্ড বেমানান ছিল বিষয়টি।

গতকাল আবাহনীর পক্ষে মোহামেডানের বিপক্ষে আবারও রানের লাইনে উঠে আসেন। খেলেন ৫৯ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস। প্রথম ম্যাচে আবাহনী হেরেছিল ইউসিবি বিসিবি একাদশের কাছে ৬ উইকেটে। প্রতিপক্ষ মোহামেডান গতকাল মাঠে নেমেছিল প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে ৫ উইকেটে জয়ের তৃপ্তি নিয়ে। তাই মানসিকভাবে এগিয়েছিল মতিঝিল পাড়ার দলটি।

তার উপর মৌসুমের একমাত্র লড়াইয়েও (প্রিমিয়ার বিভাগ ক্রিকেট) জিতেছিল মোহামেডান। কিন্তু দুই দলের ম্যাচে পুরনো কোনো কিছুই প্রভাব ফেলতে পারে না, গতকাল আরও একবার প্রমাণিত হলো।

সম্পূর্ণ নতুন স্টেডিয়াম। আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চের টি-২০ বিশ্বকাপের আগাম প্রস্তুতির এই টুর্নামেন্টে গতকাল প্রথমে ব্যাট করে আবাহনী। যদিও শুরুটা ছিল বিপর্যয় দিয়ে।

১২ রানের হারায় দুই ওপেনার মেহেদী মারুফ ও আফতাব আহমেদকে। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে সৌম্য সরকার ও অধিনায়ক মুশফিক ৭০ রান যোগ করেন ৭.৪ ওভারে। সৌম্য ৩৭ রান করেন ৩৩ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায়। তবে মুশফিক ১৫ নম্বর ওভারের শেষ বলে সাজঘরে ফেরার আগে খেলেন ৫৯ রানের ইনিংস। ইনিংসটি খেলেন মাত্র ৩৮ বলে, যাতে ছিল ৮টি চার ও একটি ছক্কা।

শেষ দিকে জিয়াউর রহমান ১১ বলে ৩ ছক্কায় ২৪ রান করলে আবাহনীর স্কোর দাঁড়ায় ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭২। প্রথম ম্যাচে ছিলেন উইকেট শূন্য। গতকাল চমৎকার বোলিং করে মাশরাফি বিন মর্তুজা ১৭ রানে তুলে নেন ২ উইকেট। ২ উইকেট করে পেয়েছেন সাজেদুল ইসলাম ও দেওয়ান সাবি্বর।

১৭৩ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও শুভাশীষ রায়ের বোলিং আক্রমণে বেসামাল হয়ে পড়ে মোহামেডানের ব্যাটিং লাইন।

দুই ওভারে ১২ রানে হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। শুরুর সেই ধাক্কা আর সামাল দিতে পারেনি। যদিও শাহরিয়ার নাফিস ও মাশরাফি চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনো কাজে লাগেনি তাদের প্রতিরোধ। শুধু ব্যবধানই কমাতে পেরেছেন দুজনে।

আবাহনীর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৪.২ ওভারে মাত্র ৯৫ রানে গুটিয়ে যায় মোহামেডান। আবাহনীর পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন শুভাশীষ, ফরহাদ রেজা, নাবিল সামাদ ও সোহরাওয়ার্দী শুভ। মোহামেডানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন শাহরিয়ার।

আজ কোনো খেলা নেই। আগামীকাল প্রাইম ব্যাংক-আবাহনী এবং ইউসিবি বিসিবি একাদশ-মোহামেডান ম্যাচ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

আবাহনী : ১৭২/৮, (২০ ওভার) (আফতাব আহমেদ ৪, সৌম্য সরকার ৩৭, মুশফিকুর রহিম ৫৯, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১৮, জিয়াউর রহমান ২৪। মাশরাফি বিন মর্তুজা ২/১৭, দেওয়ান সাবি্বর ২/১৭, সাজেদুল ইসলাম ২/৩৮, মুমিনুল হক ১/১৫)।

মোহামেডান : ৯৫/১০, ১৪.২ ওভার ( জহুরুল ইসলাম ৪, জুনায়েদ সিদ্দিকী ২, মুমিনুল হক ৫, শাহরিয়ার নাফিস ৩৪, মাশরাফি বিন মর্তুজা ১৬। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১/২৪, শুভাশীষ রায় ২/৩০, ফরহাদ রেজা ২/৯, নাবিল সামাদ ২/১২, জিয়াউর রহমান ১/১০, সোহরাওয়ার্দী শুভ ২/৯)।

 

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/index.php     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.