আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আবাহনী খেলছে আবাহনীরূপেই

পেশাদার ফুটবল লিগে কে চ্যাম্পিয়ন হবে একথা বলা মুশকিল। তিন রাউন্ডে খেলা হবে তাই শেষ পর্যন্ত কোন দল শীর্ষে থাকবে এখনি যাচাই করা যাবে না। তবে টেবিলে যে অবস্থান তাতে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডানের সম্ভাবনা ক্ষীণ বলা যায়। কেননা সাত ম্যাচে এখনই তারা মূল্যবান ১১ পয়েন্ট নষ্ট করেছে। অতীতে মোহামেডানের পিছিয়ে থেকেও শিরোপা জেতার রেকর্ড রয়েছে।

কিন্তু সেই স্পিরিট এখন তাদের নেই। পেশাদার লিগ শুরুর পর ঢাকা আবাহনী চারবার শিরোপা জিতেছে। যেখানে কিনা ২০০২ সালের পর মোহামেডান শিরোপার মুখ দেখতে পারছে না। অনেকদিন পর সাদা-কালোরা শক্তিশালী দল গড়েছে। সত্যি বলতে কি শেখ জামালের মতো তারকাভরা না হলেও মোহামেডানে এবার যে শক্তি তাতে লিগ জেতাটা কষ্টকর ছিল না।

ফেডারেশন কাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে বিদায় নিলেও ফুটবল ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বাবু বলেছিলেন, লিগে তার খেলোয়াড়রা ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু সেই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। হতে পারে ছয় ম্যাচের মধ্যে তিন বড় দলের সঙ্গে মোহামেডানের লড়াই সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু ১১ পয়েন্ট নষ্ট করার পর তাদের নিয়ে বড় কিছু আশা করা যায় না। অন্যদিকে আবাহনীর স্পিরিট সত্যি প্রশংসনীয়।

দল হিসেবে এবার ততটা শক্তিশালী না হলেও যে খেলা খেলছে তাতে শিরোপা জেতার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। ছয় ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে এখন তারা টেবিলে শীর্ষে অবস্থান করছে। শেখ জামালতো বটেই খেলোয়াড়দের মান বিচারে তাদেরকে মোহামেডানের তুলনায় দুর্বল ধরা হয়েছিল। ফুটবল ম্যানেজার সত্যজিত দাস রুপু দলবদলের পর একটাই কথা বলেছিলেন, যেসব খেলোয়াড় আছে তাদের দিয়েই প্রতিটি ট্রফি জেতা সম্ভব। ফেডারেশন কাপে ফাইনালে উঠতে পারেনি।

কিন্তু লিগে সুজনদের পারফরম্যান্স চোখে পড়ার মতো। অথচ লিগে দলকে কে প্রশিক্ষণ দেবেন তা নিয়েই বড় ধরনের সমস্যা দেখা গিয়েছিল। দলের পুরনো ইরানি কোচ পৌর মুসলিমিকে ফিরিয়ে এনে আবাহনীকে দেখা যাচ্ছে আবাহনীরূপেই। কথা হচ্ছে আবাহনী পারলে মোহামেডান পারছে না কেন? এ প্রশ্ন অনেকেই করেছেন। বলছেন কর্মকর্তারাতো প্রচুর অর্থ ব্যয় করে দল গড়েছে।

এখন খেলোয়াড়রা খেলতে না পারলে কি করার আছে। এখানেই যত গড়মিল। দল হিসেবে মোহামেডান শক্তিশালী। কিন্তু ম্যানেজমেন্টের দিক দিয়ে আবাহনী বেশ গোছানো। অতীতে তরুণ ও অচেনাদের নিয়েও মোহামেডান লিগ জিতেছে।

ম্যানেজমেন্ট ও পরিবেশ মোহামেডানের তখন এতটা উন্নত ছিল যে খেলোয়াড়দের স্পিরিট এমনিই বেড়ে যেত। আবাহনীরও কিছু অভ্যন্তরীণ সমস্যা রয়েছে। কিন্তু দায়িত্বরত ঊধর্্বতন কর্মকর্তারা দক্ষভাবে ক্লাব পরিচালনা করাতে এসব সমস্যা বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে না। ৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে অথচ কোচ পৌর মুসলিমি খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারছেন না। তিনি বলেছেন, আরও গতি বাড়াতে হবে।

সুন্দর একটা প্রশাসনিক ব্যবস্থা আছে বলে দলে চেইন অব কমান্ড ভাঙতে পারছে না কেউ। খেলোয়াড়দের মধ্যে গ্রুপিং বা দ্বন্দ্বও রয়েছে। কিন্তু মাঠে যখন নামে তখন তা সব ভুলে যান। কে চ্যাম্পিয়ন হবে এখুনি বলা না গেলেও আবাহনীর গতি কিন্তু বলে দিচ্ছে শিরোপার রাস্তা থেকে কোনোভাবেই হটে যাবে না। দক্ষ ম্যানেজমেন্টের অভাবে মোহামেডানের ঐতিহ্য আজ হুমকির মুখে।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.