আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিয়ের জন্য কোন জেলার ছেলে কেমন !

গন্ত্যবের শেষ পরিণতি জানা নেই.........

আপনি যদি ঢাকায় ভাড়া থাকেন তাহলে বেডরুম নিবেন মিনিমাম ৩ টা ,কারণ সময়ে অসময়ে আপনার জামাই এর পুরা এলাকা আপনাদের বাসায় মাসের ১৫-২০ দিনই থাকবে । ছেলেরা খুবই মিশুক আর প্রচুর চালাক আর তারা কথায় বেশ পটু হয় তারা বেশি ভাগই বৌ বাউরা(ঢাকাইয়া শব্দ মানে হইল বৌ পাগল) (ব্লগারদের মতামত)

কোন জেলার মেয়ে বিয়ের জন্য ভালো লেখাটি লিখার পর তখন অনেক আপামনি প্রতিবাদ কিংবা অভিযোগ জানিয়েছিল, কেন আমি কোন জেলার ছেলেরা কেমন, সেটা লিখি নাই। তাই আজকে শুরু করলাম, কোন জেলার ছেলেরা কেমন।

আপামনিরা, আপনারা যারা বিবাহযোগ্য মানে, যাদের বিয়ের বয়স হয়েছে, এখন কিংবা অদূর ভবিষ্যতে বিয়ে করার চিন্তাভাবনা করছেন, তাদের জন্য অনেক গবেষণা করে আমি এই পোস্ট তৈরী করেছি। বিভিন্ন পরিচিত জন, এর আগের পোস্টে বিভিন্ন জনের অভিমত, আমার নিজের দেখা সব মিলিয়ে বিয়ে করার জন্য জেলা ভিত্তিক ছেলেরা কেমন হয়, সেটা নিয়েই আজকের লেখা ।



পুরানা ঢাকা: বিয়ের আগে ছেলেরা অনেক টাংকি মারে। তবে বিয়ের পরে বউয়ের প্রেমে মশগুল থাকে। পরকীয়ার সম্ভাবনা কম। বেশিরভাগই পিতার ব্যবসা করতে পছন্দ করে। পড়ালেখার হার কম।

বাইরের কেউ এখানকার ছেলেকে বিয়ে করলে প্রথম প্রথম মানিয়ে নিতে অনেক কষ্ট হবে।

ঢাকা,বিক্রমপুর,নরসিংদী: তারা নিজেরা অনেক উচু জাতের মনে করে। তাই সম মর্যাদা সম্পন্ন মানুষ খুজতে হিমশিম খায়। তবে এই এলাকার মানুষ গুলো সহজ সরল। তারা ব্যবসায়ী, ব্যবসা ভালো বুঝে এরা অন্য জেলার মেয়েদের চেয়ে ঢাকার স্থানীয় মেয়েদের সাথে আত্মীয়তায় অীধক আগ্রহী।



সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগন্জ : মানুষদের লেখাপড়া কম, সবাই লন্ডন যাওয়ার চিন্তা করে। হাতে কাঁচা টাকা বেশি। ধর্মভীরু, বউকে পর্দানশীল হিসাবে দেখতে ভালোবাসে। সিলেটী ছেলেরা সিলেটী ছাড়া বিয়ে করতে চায় না। এই জেলার ছেলেরা একটু অলস টাইপের।

বোরকাওয়ালী মেয়ে বেশি পছন্দ করে।

চট্টগ্রাম: ছেলেরা মোটামোটি রক্ষণশীল। বেশিরভাগই ব্যবসায়ীর ছেলে। ব্যবসা করতেই পছন্দ করে। ছেলেরা বউদের গয়না, শাড়ি কাপড় দিয়ে সব সময় খুশি রাখার চেষ্টা করে, ঈদ আসলে সেটা বুঝা যায়।

ছেলেরা যৌথ পরিবারে থাকতে পছন্দ করে। পরকীয়া দেখা যায় না। চট্টগ্রামের ছেলেরা জেলার বাইরে থেকে বিয়ে করতে চায় না। কারণ এতে প্রাপ্তিযোগ কমে যায়। তবে এই জেলার মানুষদের সাথে আথিতিয়তাতে কেউ টেক্কা দিতে পারবে না।



বরিশাল: ছেলেরা বিয়ের আগে ভালোই টাংকিবাজ থাকে। বিয়েটা যদি বরিশালের কোনো মেয়ের সাথে হয়, তবে ভাজাভাজি সংসার। এই ছেলে যদি অন্য কোনো জেলার মেয়েকে বিয়ে করে, তবে মেয়ের এডজাস্ট করতে অনেক সময় লাগে। যৌনতার দিক দিয়ে মেয়েদের মতো বরিশালের ছেলেরাও অন্য সব জেলার চেয়ে বরাবরের মতো এগিয়ে । বিয়ের পাত্র হিসেবে অন্য জেলার মেয়েদের কাছে বাংলাদেশে সবচেয়ে কম পছন্দের এ জেলার ছেলেরা ।

ফ্যামিলিগতভাবেই এ জেলার ছেলেদের সাথে মেয়ে বিয়ে দিতে অনেকেই অনাগ্রহী। (ব্লগারদের মতামত)

নোয়াখালি: এই এলাকা সম্পর্কে বেশি বলার নাই, সবাই জানে, নোয়াখালির ছেলেরা কেমন। প্রচন্ড স্বার্থপর। তবে নিজের বউয়ের জন্য সাত সাগর পাড়ি দিতে পারে নোয়াখালীর ছেলেরা। এই জেলার ছেলেরা বেশ কর্মক্ষম, পরিশ্রমী।

তাই জীবনে উন্নতি অনিবার্য।

রাজশাহী : এখানকার ছেলেরা একটু ল্যুজ টাইপের হয়। তবে পড়ালেখায় ভালো। বিয়ের পরে শ্বশুর বাড়ীর সাথে সম্পর্ক ভালো থাকে।

রংপুর, দিনাজপুর: রংপুর: রংপুর জেলার ছেলেরা সাদামনের ঠিক ই কিন্তু কৃপন।

অনেকেই স্মার্ট নয় বলে এদেরকে পছন্দ করতে চায়না। তবে বিয়ের পাত্র হিসেবে ছেলে হিসেবে এরা মন্দ না।

চাঁদপুর: চাঁদপুরে লোকের মাথায় প্যাচ জিলাপীর থেকেও বেশী । একটা সহজ জিনিসকেও জটিল করে চিন্তা করতে পছন্দ করে এই জেলার ছেলেরা। কিছুটা সন্দেহ বাতিক।



কুমিল্লা: মারাত্মক সন্দেহ প্রবণ, সবসময় বউকে চোখে চোখে রাখতে পছন্দ করে। ছেলেদের মধ্যে পরকীয়ার প্রবণতাও আছে। তবে ছেলেরা বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়ীর সাথে সম্পর্ক ভালো রাখে।

ফরিদপুর : মানুষগুলা একটু কিপটা স্বভাবের। একবার এডজাস্ট হয়ে গেলে পরে সমস্যা হয় না।



গোপালগন্জ : এই জেলার ছেলেরা এক নারীতে সন্তুষ্ট নয়। প্রেম করেও একসাথে একাধিক মেয়ের সাথে। বিয়ের পরে পরকীয়ারও চান্স নিতে চায়।

খুলনা : এই জেলার ছেলেরা ভেড়া টাইপের, বউ সবসময় মাথায় ছড়ি গুড়ায়, বউয়ের প্রেমে পাগল থাকে সবসময়। তবে ব্যতিক্রমও আছে, যেমন : খুলনার ছেলেরা বউ মেরে নিজেদের পুরুষত্ব জাহির করে……….. তাই সাবধান! (ব্লগারদের মতামত)

ময়মনসিংহ: এখানকার ছেলেরা মারাত্মক রোমান্টিক কিন্তু পরকীয়াও করতে চায়।



গাজীপুর : পড়ালেখা কম, শুধু জায়গাজমির হিসাব করতে বেশি পছন্দ করে। এক একজন অনেক পরিমাণ জায়গার মালিক। জায়গা বিক্রি করে, হোন্ডা কিনে, তাদের সব প্রভাব হলো পৈতৃকজমিকে নিয়ে। নিজে কিছু করার ইচ্ছে থাকে না।

টাঙাইল, সিরাজগ্জ: অনেক নদীভাঙা মানুষ আছে, যারা ঘর জামাই হতে বেশি পছন্দ করে।

তবে মানুষগুলো ভালো,, কিন্তু কিছু আছে টাকা ওয়ালা স্বশুর দেখে বিয়ে করে সম্পত্তির জন্য।

ঝালকাঠি, বরগুনা, পিরোজপুর : এইদিকের মানুষগুলো একটা বোকাসোকা টাইপের। কারো সাথেও পাচেও নাই। নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করে তারপরও বিয়ের পাত্র হিসেবে অন্য জেলার মেয়েদের কাছে সবচেয়ে কম পছন্দের এসব জেলার ছেলেরা। (ব্লগারদের মতামত)

রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এদের মধ্যে অনেকেই আছে উপজাতি, এই সম্পর্কে আমার জানা নাই, যারা বাঙালী আছেন, তাদের অনেকেরই পূর্বপুরুষ বার্মা থেকে আগত।

রুক্ষ স্বভাবের। বদমেজাজীও।

বগুড়া : ছেলেরা টাউট প্রকৃতির হয়। কিন্তু তাদের সবটুকু ভালোবাসা শুধু বউয়ের জন্যই থাকে। (ব্লগারদের মতামত)

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের ছেলেরা অলস প্রক্রিতির তবে মন ভাল, ভালবাসা পেলে ভালবাসার জন্য মরতে প্রস্তুত।



যশোর, চুয়াডাংগা : ছেলেরা চরম অলস (খালি ঘুমায়), পরের ধনে পোদ্দারি করতে এদের জুরি নাই, একসাথে কয়েকটা প্রেম চালায়া যায় – মাইয়া পটাইতে ওস্তাদ আর গাঁয়ে মানেনা আপনি মোরল টাইপ । (ব্লগারদের মতামত) যশোরের পুলাপাইন অলস। সুযোগ পাইলেই ঝিমায়। তবে ক্যারেকটার ভালো। সাহস বেশি।

নেতা গোছের পোলাপাইন বেশি দেখা যায়। (ব্লগারদের মতামত) সূত্র : ব্লগ থেকে নেয়া।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।