আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যিহোবার সাক্ষিদের মতানুযায়ী আজ যীশুর জন্মদিন নয়

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই

আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, খ্রীষ্ট ধর্মের কিছু শাখা প্রশাখা গোষ্ঠী আছে যারা মনে করে ২৫শে ডিসেম্বর বড়দিন নয়, যেমন যিহোবার সাক্ষি (Jehovah’s Witnesses); তাদের মতে যীশুর জন্ম ও মৃত্যু দিবস ২৫শে ডিসেম্বর নয়। যিহোবার সাক্ষিরা বলেন, যীশুর জন্ম হয়েছিল সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের কোন এক সময়ে। আর মৃত্যু এপ্রিলের দিকে। তারা ক্যাথিলিক ও প্রোটেষ্টাইনদের মতো ২৫শে ডিসেম্বর বড়দিন পালন করে না। বড়দিন বলে, যিহোবার সাক্ষিদের কাছে কোন ধর্মীয় উৎসব বা প্রথা নেই।

তারা প্রতি বছরে একবার, বিশ্বব্যাপী ২০০টিরও বেশি দেশে হাজার হাজার জায়গায় যিশুর মৃত্যু দিবস উদ্‌যাপন করে থাকে। যিহোবার সাক্ষিদের মতে, ''আমরা তা করি কারণ তিনি তাঁর শিষ্যদের আদেশ দিয়েছিলেন: “ইহা আমার স্মরণার্থে করিও। ” (লূক ২২:১৯)

প্রসঙ্গত যিহোবার সাক্ষিদের আধুনিক দিনের সংগঠন ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে শুরু হয়েছে। সেই সময়ে, বাইবেল ছাত্রদের (Bible students) একটা ছোটো ধর্মীয় দল, যারা যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার পিটস্‌বার্গের কাছাকাছি বাস করতো। তারা বাইবেল নিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে বিশ্লেষণ করতে শুরু করেছিল।

তারা গির্জার শিক্ষা দেওয়া বিভিন্ন মতবাদ এবং বাইবেল প্রকৃতপক্ষে যা শিক্ষা দেয়, সেগুলো তুলনা করেছিল। তারা যা যা শিখেছিল, সেগুলো বিভিন্ন বই, খবরের কাগজ এবং একটি পত্রিকায় প্রকাশ করতে শুরু করেছিল, যেটিকে এখন বলা হয় প্রহরীদুর্গ—যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে।

সেই আন্তরিক বাইবেল ছাত্রদের (Bible students) দলের মধ্যে চার্লস টেজ রাসেল নামে একজন ব্যক্তি ছিলেন। যদিও রাসেল সেই সময়ে বাইবেল শিক্ষা কাজের নেতৃত্ব নিয়েছিলেন এবং প্রহরীদুর্গ পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন, কিন্তু তিনি এক নতুন ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন না। রাসেল এবং অন্যান্য বাইবেল ছাত্রদের, যারা তখন এই নামেই পরিচিত ছিল, তাদের লক্ষ্য ছিল যিশু খ্রিস্টের শিক্ষাকে ছড়িয়ে দেওয়া এবং প্রথম শতাব্দীর খ্রিস্টীয় মণ্ডলীর কাজগুলো অনুসরণ করা।

যেহেতু যিশু হলেন খ্রিস্ট ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা, তাই তারা তাঁকে তাদের সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে গণ্য করে। —কলসীয় ১:১৮-২০.

যিহোবার সাক্ষিরা মনে করে তারাই একমাত্র দল যারা সঠিক ভাবে খ্রীষ্টধর্ম পালন করে। আর সেই কারনেই ক্যাথিলিক ও প্রোটেষ্টাইনদের মতো দল গুলো যিহোবার সাক্ষিদের অস্বীকার করে এবং খ্রীষ্টধর্মের বিকৃতিকারী হিসেবে আখ্যা দেয়।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।