আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক ভ্রমন - ছবি ব্লগ

সাধারণ মানুষ, কিন্তু এই দেশে সাধারণের দাম নেই

সাফারি পার্ক নিয়ে আমার আলাদা একটা আগ্রহ আছে। বনের ভেতরে যেয়ে তো আর বাঘ সিংহ কে খোলামেলা দেখতে পারিনা, তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে সাফারি পার্কের জুরি নেই। গাজিপুরের সাফারি পার্ক সম্পর্কে শুধু শুনেছিলাম। কখনো সময় হয়নাই অথবা সঙ্গি হয়নাই তাই যেতে পারি নাই। এবার সময় এবং সঙ্গি পেয়ে আর দেরি করি নাই।

আমার পর্যবেক্ষনে এই সাফারি পার্কটির প্ল্যান অনেক সুন্দর । বাঘ, সিংহ, আফ্রিকান সাদা সিংহ, হরিন, জেব্রা, জিরাফ সফ উন্মুক্ত ঘুরে বেরাচ্ছে আর মানুষ খাযায় বন্দি হয়ে তা দেখছে। যদিও অনেক কিছুই এখনো নির্মানাধীন এর পরেও যতটুকু চালু হয়েছে দেখলে মনে হবে এটা এই দেশের কোনো পার্ক না। সিকিউরিটি সিস্টেম আন্তর্জাতিক মানের। কত দিন থাকবে এই সিস্টেম তা জানিনা তবে অনেক বিশাল যায়গা জুরে সাফারি পার্কটি করা হয়েছে।

পরিবার নিয়ে ঢাকার আসে পাশে ঘুরতে যাওয়ার জন্যে আমি বলবো এর কোনো বিকল্প পাবেন না। আর দেরি না করে ছবি দেখেন।

























এই বাসে করেই বাঘ, সিংহের এলাকায় যেতে হবে। এর টিকিট ৫০ টাকা। তবে টিকেতট প্রাপ্তি নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম চোখে পরেছে।

একজন টিকিট বিক্রি করে কিন্তু কিভাবে টিকেট দেয়া হবে সেটাই সে জানেনা। নতুন তো। আমরা জোর করে টিকেট নিয়ে ধোকাবাজি করে ঢুকে পরেছিলাম। নাহলে দেখা হতো না।


শুধুমাত্র পরিবারের মানুষদের নিয়ে পার্ক দেখতে হলে এই জীপ ভারা করতে পারেন।

৭০০ টাকা পরবে ৩০ মিনিট টুরের জন্যে।




হাতিটা ড্যান্স দিচ্ছিল






এটা ময়ুরের আবাস্থল




ওয়াচ টাওয়ার থেকে পুরা সাফারি পার্ক


মামা রোদ পোহাচ্ছে


পুরা পার্কের এখনো অনেক কাজ বাকি। শেষ হলে বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রে পরিনত হবে । তবে যেহেতু সরকারি জিনিস, কতদিন এরকম থাকবে তা নিয়ে সংশয় আছে। কেউ ঘুরে আসতে চাইলে এখনি ঘুরে আসুন।

খুব ই সুন্দর একটা যায়গা। খাওয়া দাওয়ার জন্যে ২টা রেস্টুরেন্ট আছে ভেতরে। একটা থেকে বাঘ দেখা যায় সরাসরি, আরেকটা থেকে সিংহ। এজন্য এদের নাম ই টাইগার আর লায়ন রেস্তোরা।

ভাল ভাবে দেখতে চাইলে ছুটির দিন ছাড়া গেলে ভাল।

কারন ছুটির দিনে অনেক ভির হয়। আর বাসের সংক্যা কম থাকায় এবং টিকেট প্রাপ্তি নিয়ে অনিয়মের কারনে ঠিক ভাবে দেখা যায়না। আর যদি সরকারি ভি আইপির পরিবার রা যায় তাহলে তো কথাই নেই। সাধারন পাব্লিকের দুর্ভ্যাগ্য সেদিন। আমাদের এরকম হয়েছিল।



যাওয়া খুব ই সহজ, মহাখালি থেকে মাওনার বাসে উঠে পরুন। গাযিপুরের বাঘের বাজার নেমে যান। যেতে ২ ঘন্টা লাগবে (জ্যাম বিবেচনা সাপেক্ষে) বাস থেকে নামলেই পার্কের গেট চোখে পরবে। এখান থেকে রিকশা নিলে ৫০ টাকা ভারা নেবে পার্ক পর্যন্ত। এন্ট্রি ফি ৫০ টাকা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.