আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় পোড়াতে হবে কয়েকটি 

দেশের ৫৯ জেলায় ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী মালামাল পাঠানোর কাজ শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। শুক্র ও শনিবার রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিজিবি-র্যাবের স্কটে ঢাকা থেকে তা পাঠানো হয়েছে। এদিকে আদালতের নির্দেশে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় এবারও পোড়াতে হতে পারে কয়েকটি আসনের ব্যালট পেপার। এ ছাড়া দশম সংসদ নির্বাচনেও অর্ধ কোটি নতুন ভোটারের ভোট অভিজ্ঞতাই হবে না।

জানা গেছে, নীলফামারী-১, চট্টগ্রাম-৩ ও কুমিল্লা-৮ আসনের তিন প্রার্থী আদালতের নির্দেশে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। কুমিল্লা-৮ আসনে আগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় নতুন করে এ আসনের ব্যালট ছাপতে হবে। আর বাকি দুই আসনের ব্যালট পোড়াতে হবে। তবে আজ কমিশন সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

ইসির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ফরহাদ হোসেন বলেন, কোনো ধরনের বিঘ্ন ছাড়াই ব্যালট পেপার সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পেঁৗছেছে। ঢাকার পাশের দু-একটি আসনের ব্যালট পেপার গত রাতেই পেঁৗছেছে। এর মাধ্যমে ভোট আয়োজনের প্রাথমিক কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি। ইসি কর্মকর্তারা জানান, বিজি প্রেস, সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস ও প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণভাণ্ডারের গুদাম থেকে ব্যালট পেপারসহ অন্যান্য সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। জেলা পর্যায়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পেঁৗছানোর পর ভোটের আগের দিন কেন্দ্রে কেন্দ্রে তা পাঠানো হবে। আসনওয়ারি সব সামগ্রী প্রস্তুত ছিল। কিন্তু এবার ব্যালট পেপার পাঠাতে অন্যবারের চেয়ে বেশি ঝামেলা হয়েছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকায় সব আসনে ভোটার অনুপাতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী ফের সাজাতে হয়েছে। ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট নেওয়ার প্রস্তুতি অবহিত করে রিটার্নিং কর্মকর্তারা ইসি সচিবালয়ে ফ্যাঙ্বার্তাও পাঠাচ্ছেন। এদিকে নীলফামারী-১, চট্টগ্রাম-৩ ও কুমিল্লা-৮ আসনের তিন প্রার্থী আদালতের নির্দেশে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এ বিষয়ে আজ কমিশন সভায় আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ সাদিক সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের নির্দেশনা কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। এর বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করা হবে নাকি প্রার্থিতা গ্রহণ করা হবে সে বিষয়ে কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

ব্যালট পেপার পোড়াতে হবে : ১৪৬ আসনে ব্যালট পেপার ছাপিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পেঁৗছানোর পর নতুন করে প্রার্থী যোগ হলে বাতিল ব্যালট পোড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে নতুন করে ব্যালট ছাপতে হবে এবং বাতিল পেপার প্রেসে এনে পুড়তে হবে। জানতে চাইলে নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ সচিব মিহির সারওয়ার মোর্শেদ বলেন, প্রতি নির্বাচনেই এ ধরনের ঘটনা ঘটে। নবম সংসদে অন্তত ১০টি আসনের প্রায় ২৫ লাখ ব্যালট পুড়তে হয়েছে, আদালতের নির্দেশে নতুন প্রার্থী যোগ হওয়ায় ওই এলাকার জন্য নতুন ব্যালটও ছাপতে হয়েছে। এবার তিন আসনে সাত লাখেরও বেশি ভোটার রয়েছে। ভোটার অনুপাতে ব্যালট পেপার ছাপানো হয়, সঙ্গে ১ হাজার করে থাকে পোস্টাল ব্যালট।

অর্ধ কোটি নতুনের ভোট অভিজ্ঞতাই হচ্ছে না : ১৫৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একক প্রার্থীরা নির্বাচিত হওয়ায় ব্যালটে ভোট হচ্ছে না ওইসব এলাকায়। এসব আসনে ৪ কোটি ৮৩ লাখের বেশি ভোটার রয়েছে। বাকি ১৪৬ আসনে ৪ কোটি ৩৬ লাখের বেশি ভোটার ব্যালটে ভোট দেবে। ইসি উপ সচিব মিহির সারওয়ার মোর্শেদ জানান, ২০০৮ সালে নবম সংসদে ৮ কোটি ১৩ লাখের বেশি ভোটার ছিল। এবার ৯ কোটি ১৯ লাখের বেশি ভোটার রয়েছে। বলা যায়, নতুন ১ কোটিারও বেশি ভোটারের মধ্যে অর্ধেকই ভোট দিতে পারছে না (১৫৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়)। বাকি অর্ধেকের সৌভাগ্য ভোটার হওয়ার অভিজ্ঞতা হবে তাদের।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.