আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশ কে ধবংসের প্রান্তে নিয়ে যাওয়া প্রসংগেঃ অন্তরে বাকশাল বাইরে গণতন্ত্র

মমমমমম

কি বলব বুঝে উঠতে পারছিনা। বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসাবে আজ লজ্জায় আমার মাথা নত হয়ে গেছে। কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছিনা যে, আমরা বা আমি একটা স্বাধীন দেশে বসবাস করছি। আমরা আজ পুলিশি রাষ্ট্রে বসবাস করছি তা আর কোন ভাবে অস্বীকার করা যাবে না। আজ কোথায় পুলিশ নেই।

হ্যা পুলিশ যদি নিয়মিত ভাবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করত তাহলে কোন কথায় ছিল না। আমাদের পুলিশ বাহিনী কোন কালেই মানুষের সেবার জন্য কাজ করেনি, কেবল মানুষের ক্ষতিই করে গেছে , গবেষনায় দেখা যায় যে, থানা পুলিশ ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে সাধারন মানুষ কে হয়রানি করে। মানুষ সাধারণত থানা মুখী হয় না। জাপানে , ইংল্যান্ডে, অস্ট্রেলিয়াতে পুলিশ সবামী-স্ত্রীর গ্যাঞ্জাম পর্যন্ত মিটিয়ে দেয়; আর আমাদের দেশে? এমনকি মালেশিয়া, সিংগাপুরের রাস্তায় পুলিশ দেখা যায় না এর মানে এই না যে পুলিস নেই , তারা মানুষ এর প্রয়োজনে এগিয়ে আসে।

আমরা এমন এক অবস্থায় চলে গেছি যেখানে মানুষের স্বাভাবিক সব অধিকার কেড়ে নিয়ে তা পুলিশকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে আর তা দিয়েছে বর্তমান সরকার।

এবং আজ দেশের অর্ধেক মানুষ কে অস্বীকার করে গণতন্ত্র প্রতিষ্টা করার চেষ্টা চলছে আর তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়ে বসে আছে সরকারের পুলিশ বাহিনী। আজ পুলিশ রাষ্ট্রীয় বাহিনী থেকে দলীয় বাহিনীতে পরিনত হয়েছে, প্রত্যেক সরকার আইন- শৃঙ্খলা বাহিনীকে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করে কিন্তু দুখের বিষয় হল যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার নিরলজ্জের মতো পুলিশকে গোলাম বাহিনীতে পরিনত করেছে। সরকার তার জনপ্রিয়তা হারিয়ে পিটিয়ে মানুষকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেবার চেষ্টা করছে যা লজ্জার এক ব্যাপার। মানুষকে পিটিয়ে কতদিন থাকা যায় বা মানুষ কে মেরে কতদিন চুপ করিয়ে রাখা যায়।

অবস্থা কত করুন হলে সরকার এমন অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে যেখানে নাগরিকরা নিজেদের মত করে চলতে ফিরতে পারবে না।

আওমলীগের কেউ কেউ বলে বসবেন যে আগেও তো এমন হয়েছে। আমি হলফ করে বলতে পারি যে লীগ আমলে যা কিছু হচ্ছে এর থেকে খারাপ কিছু এর আগে হয়নি, এরশাদ ও তার আমলে এমন ভাবে নেতা কর্মী ধরে পাইকারী হারে জেলে পোরেনি। বর্তমান বাংলাদেশের অবস্থা কেবল প্রাচীন যুগের সামন্ত প্রথার কথা মনে করা যায় যেখানে রাজার অত্যাচারে প্রজারা অস্থির হয়ে দেশ থেকে পালায়। অন্তত আর যাক হোক বর্তমান সরকারের মুখে গণতন্ত্র এর কথা শোভা পাই না। গন্ততন্ত্রকে কবর দিতে আজ সরকার উঠে পড়ে লেগেছে এর কবর না হলে সে যেন শান্তি পাচ্ছে না।

আজ মানুষের জন্য দেশ না একজন ব্যক্তির ইচ্ছাই দেশ ও তার ক্ষমতার জন্য দেশ ও দেশের সবাই যেন তার কেনা গোলাম। ভুল ভুল ভুল ।

আমি কথার ফাকে ট্রয় সিনেমার একটা উদাহরন দিব যেখানে দেখা যায় সম্রাটের ইচ্ছা ছিল রোমে গণতন্ত্র উন্মুক্ত করে দেবার, কিন্তু তার ছেলে তাকে হত্যা করে রাজা হয়ে তার বোনকে বলে যে রোমের জন্য দরকার একজন শাসক। সিনেমার শেষে দেখা যায় অনেক সংগ্রামের বিনিময়ে গণতন্ত্র ফিরে আসে” তাই গন্তন্ত্রকে যত ঈ দূরে সরিয়ে দেবার চেষ্টা করা হোক না কেন তা ফিরে আসবেই।
সরকারের অবস্থা এতই খারাপ যে সে তার প্রতিনিধিকে বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে পাঠায়নি, কেন পাঠায়নি তা সকলের কাছে বোধগোম্য , আমরা সাধারন মানুষ ঘাস খাই না আসলে জনগনের মুখোমুখি হবার কোন সাহস বা শক্তি তাদের নেই।

বুকে হাত দিয়ে জনগণের সামনে আসতে পারবে না বলেই নিরলজ্জের মতো ১৫৪ তা সিটের আগাম ফল নিয়ে বসে আছে । এর থেকে লজ্জার কাজ আছে বলে মনে হয় না। আজ কিভাবে দেশের ৫৩% মানুষকে ভোতের বাইরে রেখে নির্বাচন হবে তা আমি জানি না । তবে জানি নির্বাচন একটা হবেই । কারন জিয়ার বিধবা বউ যদি ৩ বারের প্রধান মন্ত্রী হয় তাহলে জাতির জনকের কন্যা কেন হবে না।



আজ যা দেখলাম তাতে বলা যায় যে লীগের মত উচ্ছন্নে যাওয়া দল বাংলাদেশে আর একটিও আছে কিনা ? আজ দেখলাম অপু উকিল নামের এক মহিলা নেত্রী ইট ভেঙ্গে মারছে ও অন্যকে দিচ্ছে, এরা দেখি টকশোতে বিরোধীদের দুর্নাম করে । এদের দেখে আমরা কি শিখব? জানি না।

আজ একদিকে এরশাদকে বন্দী করে রেখে দিয়েছে অন্যদিকে বিরোধীদলের নেতাকে আসামীর মত আটকে রেখে দিয়েছে , এর থেকে ভয়াবহ কিছু আছে? দেশে আইন বলে কিছু আছে কিনা জানি না। খালেদের বাড়ির সামনে বালির ট্রাক এনে রেখে রাস্তা বন্ধ করার নাম যদি হয় নিরাপত্তা দেওয়া তাহলে আর কিছু বলার নেই ? এক খালেদের বাড়ির সামঅনে ১০ প্লাটুন পুলিশ এর নাম নিরাপত্তা। বাহ কি দারুন ।



অন্তত লীগের ছেলেরা সুপ্রিম কোর্টে যা দেখাল এর থেকে ভাল কিছু আর তারা পারেনা , এর প্রমান তারা আগেও দেখিয়েছে এর আগে তারায় এই সুপ্রিম কোর্টে আগুন দিয়েছিল এবার কোর্টের ফটোক খুলে আইনজীবীদের যেভাবে পিটাল , বা শিক্ষকদের যেভাবে পিটাল তাতে জাতি অন্তত ভাল কিছু মেসেজ পেল না।

সরকারের প্রধান থেকে শুরু করে মন্ত্রীরা সবাই প্রতিদিন জাতিকে যেভাবে মিথ্যা বলে চলেছেন তাতে ভালো কিছু আসবে না । কারন এখন আমরা লাইভ দেখে আগে পরে শুনি নেতাদের মিথ্যা কথা।

বিনপি এমন কিছু করে নাই যে তাদের ভোট দিতে হবে , কিন্তু লীগ এমন সব কাম করছে যে মানুষ তাদের ভোট দিবে না এবং তারা তা বুঝে গেছে । খালেদা মানুষের জন্য কিছু করেনি, তার দল মানুষের জন্য আন্দোলন করেনি এমনি টিকফা নিয়ে বা রামপাল নিয়ে কথা বলেনি , লীগের অজনপ্রিয় কাজ ঈ তাদেরকে জনপ্রিয় করে।


আজ এই নিরবাচনে লীগ জিতলে বিজয় হয়ত আসবে সেই সাথে রাজনৈতিক মৃত্যু ও হয়ে যাবে তারা এখন সেটা বুঝবে না , কারন এটা বোঝার জন্য যে বুদ্ধি দরকার তা তাদের এখন নেই।

দেশের যদি কোন ক্ষতি হয় তাহলে এর জন্য বর্তমান সরকারকে একদিন হলেও জবাবদিহি করতে হবে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.