আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহাকাশে খাবার-দাবার

যুগের পর যুগ ধরে মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। যাচ্ছেন চাঁদে, যাচ্ছেন মঙ্গলে। ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র পাঠিয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছেন সৌরজগতের খুঁটি-নাটি। পৃথিবীর আলো-বাতাস আর সবুজের মায়ার বাঁধন ছিড়ে মহাকাশে কাটিয়ে আসছেন মাসের পর মাস। কিন্তু খাচ্ছেন কী সেখানে? মহাশূন্যে কি তাহলে ক্ষুধা লাগে না?

পেট যতক্ষণ সঙ্গে, ক্ষুধা না লেগে কি উপায় আছে? খেতে তো হবেই।

তাই বলে সবই তো আর সেখানে খাওয়া যায় না। আর মহাকাশে তো ৩০০ বা ৫০০ বেডের হাসপাতাল নেই যে এটা সেটা খেয়ে অসুস্থ হলে ডাক্তার এসে সাত দিনের জন্য আইসিইউতে ভর্তি করে রাখবে। আর মহাকাশেতো হাতের কাছে কাচাবাজার বা মুদিবাজারও মিলবে না যে খুশি হলেই কিছু কিনে এনে রান্না করে খাওয়া যাবে। তাই সেখানে খাবার নিতে হয় পরিকল্পনামাফিক, খাবার খেতে হয় পরিকল্পনামাফিক।

জানিয়ে রাখা ভাল মহাকাশে প্রতিকেজি খাবার নিয়ে যাবার জন্য এবং সেই খাবারকে খাবারের উপযোগী রাখতে খরচ পড়ে লক্ষ লক্ষ ডলার।

তাই প্রত্যেক মহাকাশচারীর জন্য খাবার নিদিষ্ট পরিমানেই নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমেই তাদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় একটি খাদ্য তালিকা। তালিকাটা হলোঃ

প্রাতরাশঃ ফল অথবা শষ্যদানা, গরুর মাংসের বড়া, দুধ ও মাখন মিশ্রিত ফেটানো ডিম, কোকো, ফলের রস।

দুপুরের খাবারঃ তুর্কি পাস্তা অথবা হট ডগ, পাউরুটি, কলা অথবা টুকরা করা কাগজি বাদাম, ফলের রস , সবজি।

রাতের খাবারঃ স্যুপ অথবা বিভিন্ন ধরণের ফলের মিশ্রণ, চালের পোলাও, পুডিং, ফলের রস।

খাবারগুলো পরিচিত মনে হলেও এগুলো কিন্তু আমাদের নিত্য দিনের মতো সাধারণ খাবার নয়। খাবার গুলো আসে ল্যাবরেটরি থেকে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে। কারণ মহাকাশে একবার ফুড পয়জনিং হয়ে বসলে কতটা বিপদ তা একবার ভেবে দেখুন। আর এসব খাদ্য তালিকায় অভ্যস্থ করে তুলতে অভিযানের আগেই নিতে হয় কঠোর প্রশিক্ষণ।  



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।