আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হিটলারকে ছাড়িয়ে গেলেন শেখ হাসিনা!

আমি উচ্চারিত সত্যের মতো স্বপ্নের কথা বলতে চাই

হিটলার, জোসেফ স্টালিন, কিম জং ইল, ইদি আমিনকে ছাড়িয়ে বিশ্বের এক নম্বর একনায়ক হয়ে উঠলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দি টপ টেন নামক একটি সাইটে ভোটারদের ভোটে প্রধানমন্ত্রীর নাম সবার শীর্ষে উঠে এসেছে।

দি টপ টেন সাইটটি সাধারণত বিভিন্ন ইস্যুতে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ভোট ও সমীক্ষা চালিয়ে থাকে। ‘টপ ১০ ওর্স্ট ডিক্টেটরস ইন হিস্ট্রি’ (ইতিহাসের শীর্ষ ১০ ভয়ঙ্কর একনায়ক) শিরোনামে সাইটটি ব্যবহারকারীদের মতামত চেয়ে একটি উদ্যোগ চালু করে।

নির্ধারিত ইস্যুতে অংশগ্রহণকারী ব্যবহারকারীদের ভোটেই এই টপ টেনের তালিকা তৈরি করা হয়।

ভোটের সংখ্যার আধিক্য দিয়েই এই তালিকা যথাক্রমে সাজানো হয় বলে এর এফএকিউ'র নিয়মাবলীতে বলা হয়।

সাইটটিতে নিবন্ধিত ওজ্জি ভেন হেলেন নামক একটি একাউন্ট এই ‘টপ ১০ ওর্স্ট ডিক্টেটরস ইন হিস্ট্রি’ (ইতিহাসের শীর্ষ ১০ ভয়ঙ্কর একনায়ক) ইস্যুটি প্রস্তাব করে টপ টেনের জন্য ভোট চায়।

এতে দেখা যায়, ব্যবহারকারীরা যে পরিমাণ ভোট দিয়েছে, তাতে বিশ্বের ভয়ঙ্কর একনায়ক জার্মানির হিটলার, রাশিয়ার স্টালিন এবং রুয়ান্ডার ইদি আমিন, ইরাকের সাদ্দাম হোসেন ও দক্ষিণ কোরিয়ার কিম জং ইলকেও টপকিয়ে বর্তমান বিশ্বে ইতিহাসের একনায়ক হয়ে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বের সর্বশীর্ষ ভয়ঙ্কর একনায়ক আখ্যা দিয়ে যা বলা হয় তা হুবহু তুলে ধরা হল:

সমসাম্প্রতিক একনায়কদের মধ্যে তিনি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হত্যাকারী। প্রায় ৩৫ বছর আগে তিনি তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে যে সূচনা করেছিলেন ঠিক সেই শুরু থেকেই তিনি হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে পড়লেন।

এরপর দেখা যায় বহু মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল, শুধু এ কারণে যে তারা তাকে এবং তার দলকে বিরোধিতা করেছিল। এরপর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার দ্বিতীয় মেয়াদে এসে তিনি একেবারে অদম্য হয়ে ওঠেন। ”

গত চার বছরে বিরোধীদলকে ছেড়ে আসতে হাজার হাজার মানুষকে খুন করা হয়। তার এ সময়ে বেশ কয়েকটি বেসরকারী টিভি চ্যানেল ও সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়। বর্তমানে তিনি বাঁকাপথে অসুদোপায়ে একটি নির্বাচন করে আবারো নির্বাচিত হওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

প্রধান বিরোধী দলীয় জোট ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে তারা এ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে না। বিচার বিভাগকে দুর্নীতিগ্রস্ত করতে তিনি এক অবিশ্বাস্যরকম দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন। পুরো দেখকে যখন একেবারে গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছেন তিনি তখন আর কি বলা যেতে পারে।

গত ৫ মে মাসের দিবাগত রাত ৩ টার দিকে প্রায় ৪৫ মিনিটের মধ্যে ২৫ হাজার নিরস্ত্র সাধারণ প্রতিবাদকারীকে হত্যা করা হয়।

যখন ভবন ধসে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটল তখন তিনি বিদেশি দেশগুলোর কাছ থেকে সাহায্য নেয়াকেও প্রত্যাখ্যান করেন।

সিএনএনের লেইডকে তিনি বর্জন করেন। ভবন ধসের খবরাখবর কাভার করতে তিনি তারা সাংবাদিকদেরকেই অনুমতি দিয়েছিলেন। যেখানে তিনি অন্য কাউকে কার্যত অনুমতি দেননি।

তার সমর্থকরা বহু সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছেন। যারাই বর্তমান এই সরকারের ভুলত্রুটি অন্যায়ের প্রতিবাদ ও তাদের মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে বিক্ষোভ করতে গেছেন পুলিশ সেই নিরস্ত্র প্রতিবাদকারীদেরকে তার সরাসরি নির্দেশে হত্যা করেছে।



তিনি তার পিতার মত ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে আছেন। পিতা যেমনটি করেছেন কন্যা হয়ে তিনিও তাই করছেন। বাক স্বাধীনতার মত মৌলিক অধিকারকে তিনি নিষিদ্ধ করেছেন। এমনকি পণ্ডিত, সুধি, জাতীয় অধ্যাপক, সংবিধান রচয়িতার মত্য ব্যক্তিত্বদের মত সুশীল সমাজের যখন যারাই তার বিরুদ্ধে কথা বলছে তখন তিনি তাদেরকে পাগল বলে আখ্যায়িত করেছেন। এর একমাত্র কারণ এখন হাজার হাজার মানুষ তার কারণে মরছে।

প্রাণ দিচ্ছে।

সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তিনি এই সংঘাত-কলহ শুরু করেছেন। তিনি শুধুমাত্র ক্ষমতা ও শাসকচারিত্র কুক্ষিগত করে রাখতে চান। শুধু তার কারণেই এখন দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হতে চলেছে। তিনি এবং তার সমর্থকরা এখন অবৈধভাবে রাষ্ট্রের সব শীর্ষ পদ ও অবস্থান আঁকড়ে আছেন।

ইতোমধ্যে তিনি প্রশাসনের প্রতিটি জায়গায় তার দলীয় লোকদের ঢুকিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে পুলিশ বিভাগ, সেনাবাহিনী সর্বত্রই তিনি তার দলের লোকদেরকে নিযুক্ত করেছেন। আর এখন তিনি প্রশাসনে নিযুক্ত তার এসব দলীয় লোক দিয়েই গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিনই নিরপরাধ মানুষ প্রাণ দিচ্ছেন।

কেন আপনি একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ সংবিধানকে সংশোধন করলেন? কেন এখন আপনি আপনার নিজের সম্পাদন করা একটি সংবিধান দেখাচ্ছেন।

আপনি সবাইকে বলছেন, আপনি সংবিধান অনুসরণ করছেন। আপনি কি ভাবছেন, জনগণ পাগল, কিছুই বুঝে না? আপনার মত এরকম একজন ভয়ঙ্কর শাসকের আমাদের দরকার নাই। এমনকি খালেদার মত একজন নির্বোধ শাসককেও নয়। আমাদের জরুরি সেই নেতাই যিনি সত্যিকার একজন নেতার মত আমাদের দেশকে নেতৃত্ব দেবেন।

এতে দ্বিতীয় অবস্থানের রয়েছেন জার্মানির এডলফ হিটলার।

তৃতীয় অবস্থানে আছেন রাশিয়ার জোসেফ স্টালিন। এরপর যথাক্রমে চীনের মাও জে দঙ, ভ্যালসিয়ার ভ্লাদ ৩, উত্তর কোরিয়ার কিম জং ইল, কম্বোডিয়া পল পট, ইরাকের সাদ্দাম হোসাইন, উগান্ডার ইদি আমিন এবং ইসরাইলের কিং হেরড।

আমার বক্তব্য : ঘটনা যাই ঘটুক। দেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এ রকম ন্যাক্কারজনক পোস্টের জন্য এবং ভোটাভুটির বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সকলেরই প্রতিবাদ জানানো উচিত।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।