আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢেকি কাহিনী

যAllah will help us until our purpose is honest. So our purposes should be honest.

আমার এক চাচাত ভাই ছিল শয়তানের হাড্ডি। ওর গাজা খাওয়ার অভ্যাস ছিল। ওর বাবা-মা অনেক বুঝিয়ে, পিটুনি দিয়ে, হুজুরের পানি পড়া খাইয়ে যখন ভালো হওয়ার লক্ষণ দেখা গেল না, তখন এলাকার মুরুব্বিদের পরামর্শে ওকে তাবলীগে পাঠানো হল। চল্লিশ দিনের চিল্লা। সবাই ভাবলো এইবার বুঝি পোলাডা জ্ঞান ফিরে পায়।



চল্লিশ দিন পর চাচাতো ভাই আমার ফিরে এল। মুখে দাঁড়ি। চিনাই যায়না। দেখা হইলেই সালাম দেয়। আমি হ্যার অনেক ছোট।

আমাকেও ছাড়ে না।

একদিন সন্ধ্যার দিকে চাচাতো ভাইদের বাড়ির পিছনে একটা ঝোপের ন্যায় ছিল, সেখানে গেছি ছোট কাজ সারতে। হঠাৎ নাকে একটা বিচ্ছিড়ি গন্ধ এলো। গাজার গন্ধ।

আমি তো পুরাই অবাক।

আমাদের পাড়ায় তো গাজা খাওয়ার মতো কেবল একজনই ছিল। তাও সে তাবলীগে গিয়া হুজুর হইয়া আসছে। তাইলে গাজার গন্ধ আসে কোথ্থেকে। আমি আওগাইয়া গেলাম ঝোপের অপর দিকে।

আমারে আরো অবাক করে দিয়ে আমার সেই হুজুর চাচাতো ভাই বলে উঠল, কাউরে কিছু বলবি না।

তোরে লেবেনচুষ দিমু।

আমি অবাক হইয়া জিজ্ঞেস করলাম, তুমি গাজা খাওয়ার অভ্যাস ছাড়ো নাই।

হ্যায় কয় এই অভ্যাস একবার ধরলে আর ছাড়োন যায় না।

কইলাম , তাইলে এই চল্লিশ দিন কি কইরা গাজা না খাইয়া কাটাইলা।

চাচাতো ভাই আমার কইল, শোন কাউরে কিছু বলবি না।

যাওয়ার আগে অনেক গুলা গাজা কিনা ব্যাগে নিয়াগেছিলাম। রাইতে যখন সবাই ঘুমাই পড়তো তখন মসজিদের বাইরে আড়ালে বইসা খাইতাম।


ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে।

আমার চাচাতো ভাই এখন বিরাট ব্যবসায়ী।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.