আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নির্বাচনী হাওয়াই মিঠাই ২০১৪: বিএনপির কবরের এপিটাফের একটা লাইন দরকার

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!

: চাচা, হাঁ কইরা চাইয়া আসমানে কি বিচড়াও?
: আমি কিছু বুঝলাম না। সকাল বেলা ঘুম থিকা উঠলাম, গোসল করলাম, চুল আচড়াইলাম।
: কি কও চাচা? মাথায় চুল কই পাইলা? মাথা তো দেখি তালতলার মাঠ!
: ধুরু ছ্যামড়া! আজকা ভুট দিতে গেছিলাম, গিয়া হুনি আমার ভুট নাকি আমি সকালে দিয়া দিছি। কিন্তু সকালে তো আমি ঘুমাইছিলাম।


: তো সমস্যা কি? তোমার নাতনী, পোলা তাগো ভোট দিয়া আসতা।
: পরে হেইডা চিন্তা কইরা আবারও লাইনে খাড়াইলাম। পরে ভিত্রে যাইয়া হুনলাম তাগো ভোটও দিয়া দিছে। তারা তো বাসায়, ভোট দিলো কখন?

অবশেষে বিপুল ভুটে ভোট সম্পন্ন হইলো। ভোটের আগে তারেক মামার ভিডু দেইখা মনে হইলো মালয়েশিয়ার আদমের দালাল কোট টাই পইড়া জাতে উঠছে।

আমার রুম মেট ফাল দিয়া কইলো,"মনোবল চাঙ্গা করার লিগা আচ্ছা দাওয়াই!"

সকাল বেলা ঘুম থিকা উইঠাই পেপার পইড়া বিএনপির অভিনন্দনের প্রেস রিলিজ পড়ে আর আনন্দে ভূড়ি দুলায়। কিন্তু রাইতের বেলা শুরু হইলো সমস্যা, মাথা চুলকাইতে চুলকাইতে কয়,"এক ভিডু দিয়া মাথা চাঙ্গা কেমনে হইবো? লোকজনই তো নাই। এক জামাত দিয়া সব কিছু উদ্ধার হয় না!"

তার আফসোস পুরো স্টক হোমের আনাচে কানাচে ভাইবার দিয়া ছড়ায় দিলো। এখন তার কান্নার রোলে ঘুমানোই দায়।

পুরানা একটা কথা মনে পড়লো।

বাবা মা যদি লেমেন্ডিস হয় তাইলে পোলাপানও সেরাম হইবো।

সরকারী দল দেখলো বিরোধী দল হিজড়া। তাই তারা এত বড় একখান আকাম করলো। পুরা ভোটকেন্দ্রে মাছি মারে, কিন্তু ভোট গুনতে গেলে লাখ খানেক ভোটে লীগার গুলান জিতে, তখন পুরা কাহিনীই পরিষ্কার।


এখন লোকসান দুইজনের।



জন গনের: শামীম ওসমান, হাজী সেলিম, কামাল আহমেদ মজুমদার স হ বড় বড় টেরর, গডফাদার, দুর্নীতিবাজরা জিতে যাওয়ায় জন গন সামনে আরও বড় সড় হরিলুটের দেখা পাবে। আমজনতা দেখবে বাংলাদেশের মধ্যে থাকা বাকী রসটুকু এরা চুষে খেয়ে দেশটাকে ফোপড়া বানিয়ে দিলো নব উৎসাহে।

বিএনপি: যেভাবেই জন্ম হোক, বিএনপি একটা বৃহত্তম দল ছিলো যার অনেক ব্যার্থতার পাশাপাশি অনেক সফলতাও ছিলো। জন গনের মাঝে বেশ জনপ্রিয়তা এখনো আছে। কিন্তু শুধুমাত্র জামাত নামক একটা রোগকে নিজের দেহে ব হন করে তাতে নির্ভরশীল হয়ে গিয়ে নিজের সবকিছু খুইয়ে ফেলেছে।

রাজপথে কোনো নেতা নেই, তৃণমূলে বিএনপি সমর্থক সব দিশেহারা বা জামাতের কাছে মাথা নত। জামাতের সমস্ত অপকর্মগুলো এখন বিএনপির নামে চালানো হচ্ছে। বিএনপির বর্তমান অযোগ্য নেতাগুলো তাদের ভয়াব হ দূরদর্শিতার অভাবে একটা আন্দোলনকে নাশকতার মাধ্যমে চালিয়ে দিয়ে নিজেদের যে ক্ষতিটা করেছে, তাতে ধরা যায় বিএনপির কবর রচিত হয়েছে। বিএনপির পাশে এখন কেউ নাই, খালেদার অদূরদর্শিতার কারনে আজকে লীগ নামক এক সন্ত্রাসী দল ক্ষমতায় আহরন করলো আবার।

শুধু একটাই প্রশ্ন জামাতের মতো একটা কীটকে নিজের করে নিয়ে এভাবে কবর রচনা করে কার লাভ হলো?


আদতে এ পরাজয় জন গনেরই।

যাই হোক, যুদ্ধপরাধী যে কটা আছে সব কয়টাকে ঝুলানো হোক! আর কি চাই!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.