আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাযির ও নাযির : আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার আক্বীদা (বাতিলরা কিছু বলতে চাইলে দলীল পেশ করতে হবে)

জীবন কখনোই সংগ্রাম বিহীন হতে পারে না মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদ প্রদানকারী ও ভয় প্রদর্শনকারী হিসেবে প্রেরণ করেছি। ’ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিফত মুবারক হিসেবে সর্বত্র সবসময় হাযির ও নাযির। আর মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ক্ষমতা মুবারক উনার দ্বারা যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে হাযির-নাযির হতে পারেন। এটাই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের বিশুদ্ধ আক্বীদা। এর খিলাফ আক্বীদা পোষণ করা কুফরী হারাম ও গুমরাহীর অন্তর্ভুক্ত।

আক্বাইদের কিতাবে উল্লেখ আছে, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের ফতওয়া হলো, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইলম ও কুদরতের দ্বারা হাযির-নাযির; জাত হিসেবে নন। বিখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘পবিত্র আহকামুল কুরআন লিল আরাবী’ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে, “নিশ্চয়ই তিনি (মহান আল্লাহ পাক) উনার ইলম ও কুদরতের দ্বারা সমস্ত স্থানে রয়েছেন। ” মহান আল্লাহ পাক উনাকে হাযির ও নাযির জানার এটাই অর্থ যে, মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টি জগতের প্রত্যেক সৃষ্টির কার্যসমূহ পূর্ণরূপেই কুদরতী চোখ মুবারক-এ দেখেন এবং উনার ইলম সর্বত্র বিরাজমান অর্থাৎ তিনি সব জানেন। আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার ফতওয়া হলো, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মুবারক ছিফত হিসেবে সর্বত্র সবসময় হাযির ও নাযির। আর মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ক্ষমতায় যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে হাযির-নাযির হতে পারেন।

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাযির-নাযির হওয়া সম্পর্কে হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “আপনি যখন মসজিদে প্রবেশ করবেন তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সশ্রদ্ধ সালাম দিবেন। কারণ তিনি মসজিদসমূহে হাযির আছেন। ” সুবহানাল্লাহ! আল্লামা হযরত শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “নামাযে আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন করা হয়েছে। এটা যেনো এ কথারই ইঙ্গিতবহ যে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতদের মধ্যে নামাযীদের অবস্থা উনার কাছে এমনভাবে উদ্ভাসিত করেছেন, যেন তিনি তাদের মধ্যে হাযির বা উপস্থিত থেকেই দেখতে পাচ্ছেন, তাদের আমলসমূহ অনুধাবন করছেন। এ সম্বোধনের আরো একটি কারণ হচ্ছে উনার এ হাযির হওয়ার (উপস্থিতির) ধারণা অন্তরে অতিমাত্রায় বিনয় ও নম্রতার সৃষ্টি করে।

” আল্লামা হযরত ইমাম মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘শরহে শিফা’ শরীফ কিতাবে উল্লেখ করেন, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রূহ মুবারক মুসলমানদের ঘরে ঘরে হাযির আছেন। ” সুবহানাল্লাহ! হযরত ইমাম ইবনুল হাজ্জ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘মাদখাল’ গ্রন্থ ও হযরত ইমাম কুসতুলানী রহমতুল্লাহি উনার ‘মাওয়াহেব শরীফ’ গ্রন্থে উল্লেখ করেন, “আমাদের সুবিখ্যাত উলামায়ে কিরাম, উনারা বলেন যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হায়াত ও বিছাল মুবারক উনার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তিনি নিজ উম্মতকে দেখেন, তাদের অবস্থা, নিয়ত, ইচ্ছা ও মনের কথা জানেন। এগুলো উনার কাছে সম্পূর্ণরূপে সুস্পষ্ট; কোনোরূপ অস্পষ্টতা বা পুশিদা থাকে না। ” সুবহানাল্লাহ।

মূলকথা হলো- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিফত মুবারক হিসেবে সর্বত্র সবসময় হাযির ও নাযির। আর মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ক্ষমতা মুবারক উনার দ্বারা যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে তিনি হাযির-নাযির হতে পারেন; যা উনার সীমাহীন বৈশিষ্টের মধ্যে একটি বৈশিষ্ট্য। এটাই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের বিশুদ্ধ আক্বীদা। এর খিলাফ আক্বীদা পোষণ করা কুফরী হারাম ও গুমরাহীর অন্তর্ভুক্ত। (পরবর্তীতে আরো দলীলসহ বিস্তারিত লিখবো ইনশাআল্লাহ) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.